এদেশে পলিটিশিয়ানদের পরই মোষ্ট অপর্চুনিষ্ট সেলফিশ জাতীয় বেঈমান মীর জাফর টাইপের মানুষরা হলেন সিনেমা টিভি মিডিয়া স্পোর্টসের সেলিব্রেটিরা। কেন?!
কারণ:
এরা প্রচন্ড অকৃতজ্ঞ। প্রতারক। বেঈমান। দেশ জাতির সংকটকালে এরা মুখে কুলুপ এঁটে চুপচাপ থাকবে। টু শব্দটি করবে না। প্রতিবাদ জানাবে না। ভূমিকা রাখবে না। এসব তাদের কাছে নোংরা পলিটিক্স! হালজামানার এসব সেলিব্রেটিরা আবার নোংরা পলিটিক্স নিয়ে কথাই বলতে চান না। পাছে আবার যদি কিছু হয়। সুযোগ সুবিধায় টান পড়ে। দেশ এদেরকে যত দিবে ততই চাইবে। গ্রহণ করেই যাবে বাট দেবে খুবই সামান্য। যাও দেবে সেটিও বিজনেস পলিসি আওতাভুক্ত। অর্থ খ্যাতি যশ এর বাইরে এরা কিছুই ভাবেন না। করেন না। ঐ যে বললাম মোষ্ট অপর্চুনিষ্ট। এরাই দেশের সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী নাগরিক। কিন্তু নাগরিকদের,ভক্তবৃন্দের সংকটকালে ওরা নেই।
সারাক্ষণ এরা 'দেশপ্রেম দেশপ্রেম' আবেগ দেখাবে, দাবি করবে গানে নাটকে সিনেমায় বাট ইন রিয়েলিটি, অন দ্যা স্পট, আউট অফ স্ক্রিন, দে আর অ্যাবসেন্ট টোটালি! এদের হিপোক্রেসির উদাহরণ এখানেই শেষ নয়। অর্থ যশ খ্যাতিতে টান পড়লেই ফুরুৎ করে উড়ে এরা দেশ ত্যাগ করবে। এবং ডেভেলপ্ড কান্ট্রির সিনিজেনশীপ নিয়ে সেখানেই বাকি জীবন কাটিয়ে দিবে। ব্যস।
হঠাৎ এসব বলছি কেন?
সম্প্রতি মিউজিশিয়ান,কম্পোজার ফুয়াদের গাড়িতে রাজনৈতিক অস্থিরতাহেতু ইট এসে পড়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে একটি স্টাটাস প্রসব করেছেন। তা তিনি করতেই পারেন। কিন্তু সেখানে তিনি অসংযত,অভব্য,অবিবেচক,অকৃতজ্ঞ এবং অমানবিকভাবে পুরো জাতিটাকেই Fuck করতে চেয়েছেন!! কেবল তাই নয়, একজনের কমেন্টের জবাবে তিনি তার মাকেও...!! এবং মুড নিয়ে দেশ ত্যাগ করার কথা জানিয়েছেন।
এদের ভন্ডামি হিপোক্রেসি অকৃতজ্ঞতা ধরতে পারছেন? এতো এতো জ্বালাও-পোড়াও কাহিনী ঘটল তিনি একটা টু শব্দটি করেন নি, অথচ যেই না একটা ইট পড়ল উনার গাড়িতে, বউয়ের গায়ে আর ওমনি রাগ ক্রোধে ফেটে পড়ে Fuck করতে চাইছেন হোল বাংলাদেশকে এবং ভাগতেছেন দেশ ছেড়ে!
ওয়াও দেশপ্রেম! ইটা নিজের গায়ে না পরলে, আই লাভ বাংলাদেশ। গায়ে পরলে, ফাক বাংলাদেশ! গ্রেট!
এরপরও এদের নিয়ে আপনি মাতামাতি করেন? গর্বিত হোন? লজ্জা করে না?