কেজরিওয়াল সুনামিত লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি।মোদির জাদু কারিশমা এমনকি ওবামা নিয়ে এত চমক দেখিয়েও কিচ্ছুই হইল না! আর দেশটির সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দল কংগ্রেস হয়েছে নিশ্চিহ্ন! দিল্লি রাজ্যসভার ৭০ আসনের মধ্যে আম আদমি পার্টি একাই জিতেছে ৬৭টি আসন। ক্ষমতাসীন বিজেপি পেয়েছে মাত্র ৩ আসন। নির্বাচনে যথারীতি কংগ্রেসের কলঙ্কজনক ভরাডুবি ঘটেছে। দলটি কোনো আসনই পায়নি
আম আদমি পার্টির প্রধান এবং দুর্নীতিবিরোধী নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আমরা গেল বছর থেকে জানতে শুরু করি। মানুষটির ছিমছাম সাধাসিধে পোশাক,লাইফ স্টাইল ও পলিটিকাল পলিসি মুগ্ধ করবার মতই। তার দলের প্রতীকটিও বেশ প্রতিবাদী এবং আকর্ষক। প্রতীক ঝাড়ু! দুর্নীতিকে ঝেটিয়ে বিদায় দেবার জন্যে এমন প্রতীকই অর্থপূর্ণ বৈকি।
এ নির্বাচনকে ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সত্যিকারের জনপ্রিয়তা যাচাই হিসেবে দেখা হচ্ছিল। রাজধানী শহরে বিজেপির এই শোচনীয় পরাজয় মোদির জন্য একটি বড় ধাক্কা, যিনি মাত্র আট মাস আগে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন।
স্পষ্ট করে বললে, ইন্ডিয়ানরা ক্ষমতাসীনদের জানাইয়া দিল: দেশ নিয়া,জনস্বার্থ নিয়া নো চুদুরবুদুর!নো তাফালিং!নো বেইল!মোদি হোক আর মনমোহনই হোক। জনস্বার্থে জনউন্নয়নে কাজ করলে ভোট পাবা নইলে বাই বাই। রিয়েলি ডে আর স্মার্ট!
এবার বাংলার জনগনের প্রসঙ্গে আসা যাক। আমি এর আগেও বলেছি, এ দেশের মানুষ ইন্ডিয়ার কত কিছুই না ফলো করে। পসন্দ করে। ভালবাসে। পোষাকে ফ্যাশনে ফিল্মে গানে টিভি সিরিয়ালে কালচারে এমনকি দৈনন্দিন জীবনের খানা খাদ্যতেও দাদাদের জিনিস না হলে চলেই না! সেই আমরা কি একটু তাদের পলিটিকাল কালচারটা নিতে পারি না? শিখতে পারি না? দেখতে পায় না? ফলো করা যায় না?
দিল্লীর জনগণ এই যে দু'টি প্রাচীন বৃহৎ দলকে পাত্তা না দিয়ে একটি নতুন বিকল্পধারার রাজনৈতিক শক্তিকে গ্রহণ করল। সামনে এগিয়ে নিল। আমরা কি তা পারতাম? পারছি সেভাবে আজও ভাবতে? বিএনপি আওয়ামীর বাইরে যেয়ে কেন আজও আমরা কিছুই করতে পারলাম না? ভাবতে পারলাম না? দু'দলের ভেতর এই বন্দিদশা আর কতকাল হে বঙ্গবাসী??
অভিনন্দন আম আদমি পার্টি। অভিনন্দন দিল্লির স্মার্ট জনগনকে। বাঙ্গালীরে ভালো কিছু দেখাইলা তোমরা মাগার আহা শিখাইতে যদি কিছু পারতা...।