লেবু বেশি কচলাইলে তিতা হয়,খাদ্য থেকে অখাদ্যে রুপান্তর ঘটে তেমনি হরতাল অবরোধ আন্দোলন বেশিদিন দীর্ঘায়িত করলে সেটির আবেদন কমে আসে। জনসমর্থন কমে যায়। বিরক্তি বৃদ্ধি পায়। আশাহত হতে হয়। হতাশা বাড়ে। আগ্রহ কমে যায়। চলমান আন্দোলন বুঝি সে পথেই অগ্রসরমান...। আওয়ামীদের এবারের পলিটিকাল টাক্টিক্স বুঝি এমনি। কত হরতাল অবরোধ দিবি দে। জনগণই বিরক্তি হয়ে তোদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। আমাদের কিচ্ছু করা লাগবে না নে।
একটি দলের প্রধান নেত্রী ও তার নেতা কর্মীর সাথে দমন পীড়ন জুলুম নির্যাতন অভব্য অসভ্য ফ্যাসীবাদী স্বৈরাচারী আচরণের কিছু কি বাকি রয়েছে?? এবার কি দলের চেয়ারপার্সনের অভুক্ত থেকে মৃত্যু দেখার অপেক্ষায় রয়েছে ঢাকা মহানগর বিএনপি?? রাজধানী ঢাকা নামক ক্ষমতাসীনদের এই মহা দূর্গ এর পতন না ঘটাতে পারলে, এর মসনদের খুঁটিগুলি নড়বড়ে করতে না পারলে শুধুই হরতাল অবরোধ দিয়ে আওয়ামী সরকার ফেলে দেয়া সত্যি কতটা সম্ভব?
বিএনপিদের দেখছি এখনও বিদেশীদের পানে চাইয়া থাকতে! বিদেশিরাই ক্ষমতায় বসাবে এই দিবাস্বপ্ন কবে ভাঙবে বন্ধুগণ?? এই পরিবর্তিত বিশ্বে এখন আর সেইদিনটি নাই। একটি জঙ্গিবাদ মুক্ত গণতান্ত্রিক দেশে আমেরিকা কিংবা জাতিসঙ্ঘ কখনই সেই কাজটি করবে না। তারা হয়ত একটি পথ দেখানোর প্রচেষ্টা করবে। বিদেশিরা ডিপলম্যাটিক ভাষায় বারবারই একটি কথা কিন্তু বলে আসছে, সরকার রাখা না রাখার ব্যাপারটা জনগণ বুঝবে। জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দ্যাটস দ্যা মেসেজ। দ্যা ফ্যাক্ট।
আচ্ছা, গেল ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে কি বর্তমান থেকেও আরও বেশি কূটনৈতিক চাপ সরকারের উপর ছিল না? সব কিছুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে আওয়ামীরা কি সেটিও টপকে যায় নি? ধাপ্পাবাজি নির্বাচন করে নি? এই সব সংলাপ দিয়ে কিচ্ছু হয়েছে কি? বিদেশিদেরকে তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বড় বড় টোপ ফেলে শান্ত করা আওয়ামীদের মত কূটকৌশলীদের পক্ষে অসম্ভব কিছু কি?
যাকগে, ঢাকা মহানগর বিএনপি- জামাত যদি ফিনিশিং অ্যাকশনে না আসে তবে হয়তো এই সুদীর্ঘ মেয়াদী আন্দোলন এবং সর্বশেষ প্রচেষ্টা সুযোগ সবই ভেস্তে যাবে। একই সঙ্গে তাদের স্ব স্ব অস্তিত্বও নয় কি?