বঙ্গদেশে গুণীজনের কদর পাইতে, স্বীকৃতি পাইতে, পুরস্কার পাইতেও বহুত কিছু করন লাগে। শুধুই প্রতিভা দিয়া কিচ্ছু মিলে না। পাওন যায় না। পলিটিক্স করন লাগে। তৈল মর্দন করন লাগে। ক্ষমতাসীনদের প্রিয় পাত্র হউন লাগে। তাদের হইয়া কথা কওন লাগে। তোষামুদে নীতি মানন লাগে। তবেই না গুণীজনের কদর, স্বীকৃতি, জাতীয় পুরস্কার সব একদম সব পদতলে আইসা লুটোপুটি খায়।
উপরিউক্ত তরিকা/সিলসিলা যদি মানন যায়, তবে আপনাকে আর পায় কে? আপনি গুণীজন না হইয়াও মহাগুনী! আপনি প্রতিভাধর না হইয়াও প্রতিভাবান! সাহিত্যে/সাংবাদিকতায়/সংস্কৃতিতে উল্লেখযোগ্য কিছু না করিয়াও আপনি সাঙ্ঘাতিক যোগ্য কীর্তিমান ব্যক্তিত্ব! রাজাকার হইয়াও আপনিই মহা দেশপ্রেমিক! মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে যত মজবুত অডিও/ভিডিও/চিত্র প্রমাণ থাকুক না কেন আপনি আলবৎ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ! গর্বিত মুক্তিযোদ্ধা! ব্যস! আপনাকে পায় কে! দু চারটা পদক সে তো আপনার প্রাপ্যই বটে!
যাকগে, মূল কথায় আসি, সিনেমার পর্দায় গুন্ডামি করে অনেকের ভাগ্যে একুশে পদক জুটলেও বাস্তব জগতের নায়কেরা রাষ্ট্রের কাছে উপেক্ষিত থেকে যায় ৷ উদাহরন,অভ্র টীম প্রধান মেহেদী ভাই ও অভ্র টিম!
ভাষার মাস এলে আমার বেশ কিছু মানুষকে খুব ইচ্ছে হয় সন্মাননা জানাতে। পুরস্কার দিতে। যারা এ রাষ্ট্রে চরম অবহেলিত। অপরাধ তাদের বুঝি ঐ একটাই, উপরিউক্ত তরিকা/সিলসিলা না মেনে চলা! বাংলা ভাষার জন্যে অসাধারণ কর্ম সম্পাদনকারী, অনলাইনে বাংলা লেখায় বিপ্লব সাধনকারী অভ্র টীমের জন্যে আমরা কিছুই কি করতে পারি না? ভাষার জন্যে যে অসাধারণ অতুলনীয় চমৎকার এক সৃজনশীল কর্ম তারা আন্জাম দিয়ে চলেছেন বহু আগেই কি তাদের একুশে পদক প্রাপ্য ছিল না??