সুর্যঃ
একদিন ভোরবেলা লাল সুর্যটাকে দেখে মুগ্ধ দৃষ্টিতে কিছুক্ষন তাকিয়ে ছিলাম। বুকে কেমন জানি অস্থির এক অনুভুতি। ভালোবেসে ফেললাম সুর্যটাকে। তারপর সারাদিন অপেক্ষা...আর কষ্ট...সুর্যটা শুধু আমার কষ্টের প্রহরগুলোকে আরো খাঁটি করে তুলল। দিনান্তে হারিয়েও গেল। অপলক তাকিয়ে আবারো কষ্ট মেশানো মুগ্ধতা। নির্ঘুম সারারাত, কখন ভোর হবে। অতঃপর আবার ভালোবাসা, আবার খাঁটি হওয়া, আবার নির্ঘুম। খুব নিপুন হাতে আকা একটা বৃত্ত। ভাঙ্গার সাধ্যই নেই আমার। আচ্ছা, সুর্য কি বলতে পারে তার কতটুকু কাছে গেলে, তাকে কতটুকু ভালোবাসলে সে বুঝবে আমায়? আগুনরঙ্গা প্রজাপতি চাই আমার, উড়ে যাবো, সুর্যের দিকে ...
গোধুলীঃ
গোধুলীটা আমার সবসময়ই প্রিয়। কেমন জানি একটা মায়া ছড়িয়ে দেয়। মায়া নামে কারো সাথে পরিচয় হবার ইচ্ছে ছিল কোন একসময়। পরে লজ্জায় আর কাউকে বলতে পারতাম না। ছায়ার মায়া যে জোনাকীর আলোর মত অদ্ভুত স্নিগ্ধময়, চোখের পাতা পরে না, ভয় হয় এই বুঝি নিভে গেলো, আসলেই কি জ্বলেছিল আমার জন্যে? নাকি মায়া?
নদীঃ
আমি না হয় শান্ত নদী হব। উত্তাল ঢেঊ অন্য কারো জন্যে তোলা থাক। একজন খুব দরদ দিয়ে গাইত, এই ঝিনুক ফোঁটা সাগর বেলায়... খুব জানতে ইচ্ছে করে, ঝিনুকের আমন্ত্রন উপেক্ষা করার শক্তি সে কোথা থেকে পেল। নদীর তীরে ঝিনিক কুড়ানো হয়নি কখনো, নদীর তীরে মনে হয় ঝিনুকদের থাকতে নেই, তবু আমি শান্ত নদী হব...
সাঁঝবাতির রুপকথাঃ
মা প্রতি সন্ধ্যায় সাঁঝবাতি দিয়ে প্রনাম করতে বলতেন। সেই থেকে শুরু, আজো নত হয়ে আছি। কখন যে সাঁঝবাতিকে জড়িয়ে রুপকথা হলো বিন্দুমাত্র টের পাইনি। রুপকথা নিয়ে আরো রুপকথা। এভাবেই রুপকথারা ...সব কিছুই জীর্ন হয়, সাঁঝবাতি উজ্জল থেকে উজ্জলতর, ধ্রুবতারার মত। রুপকথাগুলোকে রেখে দিব, ছুঁতে দেবনা কাউকে...
শামুক ও নদীঃ
ছোটবেলা থেকেই শামুক দেখে কেমন জানি লাগত। খানিকটা লবন এনে ছড়িয়ে দিলেই ব্যস। ইদানিং কি যা হয়েছে, নিজেকে শামুকের মত মনে হয়, যথারীতি লবন দেয়ার মানুষের অভাব হয়না। আমিও চুপচাপ। আমার তো রক্ত নেই, আমার আবার কিসের ভয়? শামুক আর নদীর মধ্যে একটা মিল আছে, দুটোই শান্ত। আমিও শান্ত ...
মানুষগুলো কেমন জানি অন্যরকম, কোন গভীরতা নেই, সব অস্থির ...
নির্ঝরের মুক্তগদ্য দেখে খুব হিংসা হত, আমি কেন উনার মত লিখতে পারি না, আজ সাহস করে শুরু করে দিলাম। জানি কিছুই হয়নি ...তবু ...
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:১৪