সকাল বেলাটা শুরু হল হালকা টেনশন আর একরাশ বিরক্তি নিয়ে। পোলাপাইনরে ৬টায় আসতে বললে তারা রেডি হওয়া শুরু করব ৬টায়। ফোন দিলে কইব, এইতো দোস্ত, আর ২ মিনিট। সেই ২ মিনিট ২০ মিনিটে যায়া শেষ হইব। যাই হোক, শাহবাগে যায়া হাজির হইলাম সকাল ৭টায়। চারিদিকে এত রঙ। তারমধ্যে ৫ বছরের এক পিচ্চিকে দেইখা, পিচ্চির ছবি তুইলা মনটা ফুরফুরা হয়ে গেল, বেলা ৯টার দিকে সাথের এক বন্ধু হঠাৎ কইরা উধাও, পরে খোজ নিয়া জানতে পারলাম, তার বান্ধবী তারে বুলাইসে। হালকার উপ্রে একটু আপ্সুস খাইলাম। তারপরে দুপুরের খানা খাইলাম বাসায়, ঘুম দিলাম বাসায়। এক্কেরে জেন্টলম্যান এর মত।
পিচ্চির নাম মম ...
যাউজ্ঞা, রিক্সায় উঠছি, উঠতেই রিক্সাওয়ালা জিজ্ঞেস করল, “মামা, পান্তা ভাত কেমন খাইলেন?” আমি জানি না উত্তর দেয়াতে সে বেশ উৎসাহ নিয়ে আমাকে বলল, “জানেন, এক থাল গরম ভাতের মইধ্যে ঠান্ডা পানি মাইরা, ছুডূ একখান ইলিশ মাছ, সাথে একটা হুকনা মরিচ, দাম ২৫০ টেকা...”। শুইনা মনে হইল, বৃথা এ জীবন আমার, চাকরী বাকরি কইরা, ব্লগ লেইখা কি হইব, পান্তা বেচি যায়া। এরি সাথে সাথেই ফকির আলমগীর গানের স্টেজ থেইকা হঠাৎ কইরা শুনলাম, এতক্ষন আপনারা এই গানটি শুনলেন অমুক এর দয়াতে। শুইনা মনে হইল বাঙ্গালীর প্রতিটা দিন পহেলা বৈশাখ হোক। কর্পোরেট পহেলা বৈশাখ।
আরেকটা ব্যাপার আছে, এই যে পহেলা বৈশাখ এ নতুন শাড়ি পাঞ্জাবী কিনতে হইব, এই জিনিষটা মনে হয় ইদানিং দেখতাসি। আমার কেন জানি মনে হয়, এইটাতে ছেলেদের চাইতে মেয়েদের অবদান বেশি। হেতেরা নিজেরা আগে শাড়ী কিনে, অথবা উপহার (!) পায়, পরে পোলাগুলা হেই শাড়ীর সাথে মিলায়া পাঞ্জাবী কিনে। কেউ যদি টেকা খরচ করার জায়গা না পায় তাইলে আমারে নির্দ্বিধায় দিয়া দিতে পারেন। কুনু সমস্যা নাই।
এইবারে কিছু অফটপিক ব্যাপার স্যাপারঃ
পপুলারে ইমার্জেন্সি তে একজনকে নিয়ে গেলাম পা ফ্র্যাকচার হয়ে যাওয়াতে। ইমার্জেন্সির ডাক্তার দেখে বললেন এক্স রে লাগবে। এক্স রের জন্যে বিল পে করতে কাউন্টারে যেয়ে কাউন্টারম্যান দের কি বোর্ডের একটা একটা করে কি চাপা দেখতে দেখতে ২০ মিনিটে একটা বিল তৈরী হল। এক্স রে এনে ডাক্তার কে দেখানোর পরে ডাক্তার বললেন, ‘আপনি আমাদের পাশের কনসাল্টেশন বিল্ডিং এ নিয়ে যান এবং একজন অর্থোপেডিক্স ডাক্তার কে দেখান।’ আমি বোকার মত প্রশ্ন করলাম, ‘তারমানে কি? প্লাষ্টার আপনি করবেন না?’ আর কথা বা বাড়িয়ে ওই ডাক্তারের ফি ৩০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বের হয়ে চলে আসলাম।
এবার কনসালটেশন বিল্ডিং এর পালা। ডাক্তারের কথা বার্তা আমার অনেক পছন্দ হইসিল, কিন্তু প্লাষ্টার করা শেষ হইলে উনি প্রায় ৪০০০ টাকার একটা বিল ধরিয়ে দিলেন, যথারীতি এখানেও আমার কিছু বলার নেই, টাকা দিয়ে চুপচাপ চলে আসলাম। রাতে এর ডাক্তার বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম, “আচ্ছা বল তো, সবচেয়ে ভালো উপাদান দিয়ে প্লাষ্টার করলে কত খরচ হবে?” ডাক্তার বন্ধুটি বলল, “ম্যাক্সিমাম ১০০০ টাকা।”
আমার আর কিছু বলার নাই।
মোস্তফা জব্বার সাহেব বাংলাদেশ এর একজন স্বনামধন্য আইটি বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেছেন অভ্র একটা পাইরেটেড সফটওয়্যার এবং ইউএনডিপি এই পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করেছে। প্রসঙ্গত, আমি গত ৫ বছর ধরে এই অভ্র ব্যবহার করে আসছি, এই ২০১০ এ এসেই উনার এই অভিযোগ তুলতে হল কেন এটা বুঝতে পারছি না।
এইখানে আমার কিছু বলার আছে, জব্বার সাহেবকে একটা মেইল দিয়েছি, দেখি উনি কি রিপ্লাই দেন।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:২৬