somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তোকে ভালোবাসি সরি তোমাকে ভালোবাসি পর্ব ২

২০ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

“তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছিল, তাই” একথা বলেই ঈশিতা আবার চুপ হয়ে গেল ।
অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম ওর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে ।
আশ্চর্য এখানে কান্নার কি হল ? আমি এমন কি বলেছি ? আশ্চর্য ! আর সব থেকে অবাক করার বিষয় হল ও আমাকে তুমি করে বলতেছে ক্যান ??
ঈশিতা কাঁদছে । আর আমি অসস্তি এবং বিশ্ময় নিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছি । ও আজ এমন অদ্ভুদ আচরন কেন করছে ? খানিকটা অসস্তি নিয়ে ঈশাতার হাত ধরলাম ।
বললাম “ তুইতো জানিস আমি কখন কি বলি তার ঠিক নাই । প্লিজ তুই কিছু মনে করিস না । আই এম সরি ।“
কিছুক্ষন পর ওর কান্না থামল । নিজেকে খানিকটা সামলে নিয়ে ও বলল “ তুই কেন সরি বলছিস ? তোর কোন দোষ নাই । আসলে আমি কেমন জানি অদ্ভুদ আচরন করছি । আমি জানি আমার বিহেইভে তুই খুব অবাক হচ্ছিস । আমি তোকে অসস্তিতে ফেলে দিয়েছি । আমি তোকে কথা দিচ্ছি বিকেলের পর তোর কাছে সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে ।“
অসস্তি খানিকটা কমলো । তুমি থেকে তুই তে তো এসেছে । অনেক্ষন পর ও আমার দিকে তাকাল । ওর চোখে এখনও খানিকটা পানি লেগে আছে । কি অদ্ভুদ সুন্দর যে লাগছে ওকে । খুব ইচ্ছা হল ওর চোখে পানি টা মিছে দিই । দিতে পারলাম না অসস্তি লাগার কারনে ।
ওকে বললাম “ কি করবি এখন বল ?”
“ জানি না ।“
“ আরে না জানলে কেমন করে হবে ? সময়তো কাটাতে হবে, নাকি ?”
ও বলল “কোখা থেকে ঘুরে আসি চল । তোর সাথে তো কখনও কোথাও যাওয়া হয়নি ।“
“ কোথায় যেতে চাস বল ?”
“ চল কোথাও ।“
“ আচ্ছা চল ।“
বাচ্চা ছেলে মেয়ে দের মত সারা দিন খুব ঘুরলাম ।লালবাগ কেল্লা, শিশুপার্ক , জাদুঘর আরো কত জায়গায় । জাদুঘর থেকে যখন বের হলাম তখন বিকেল প্রায় শেষ ।
ও বলল” চল পিছন দিকে যাই ।“
জাদুঘরের পিছনে বিশাল শান বাঁধানো পুকুর । দুজন ঐ পুকুর পাড়েই বসলাম ।
ঈশিতা খানিক্ষন চুপ করে থেকে বলল “আজ তোকে অনেক কষ্ট দিলাম তাই না ?”
“ না কষ্ট হবে কেন ? আমাদের সময়টা অনেক সুন্দর কাটলো না একসাথে ?”
ও হাসলো । বলল “জানিস অপু এই পুরো পৃথিবীতে আমি যতক্ষন তোর সাথে থাকি ততক্ষন আমার সময় খুব ভাল কাটে ।“
বললাম “তোর সাথে আমার সময়ও খুব কাটে” ।
ঈশিতা আমার চোখের দিকে তাকালো । ওর চোখে অন্য কিছু ছিল । ও অন্য কিছু বোঝাতে চেয়েছে । আমার অসস্তিটা আবার ফিরে আসতে শুরু করে ।
ও বলতে থাকে “এবার তোকে কিছু কথা বলি । কথা গুলো কাউকে বলিস না কেমন !”
ও আমার দিকে তাকালো আবার । অদ্ভুদ সেই দৃষ্টিতে ।
“জানিস যখন আমি এইটে পড়ি একজনের প্রেমে পড়েছিলাম । কি ভালই না বেসেছিলাম ঐ ছেলেটাকে । নিজের মন প্রান উজার করে । কিন্তু ঐ ছেলেটা আমার বিশ্বাসকে এমন ভাবে ভেঙ্গেছিল যে ছেলে মানুষের উপর থেকে আমার বিশ্বাস উঠে গিয়ে ছিল । বিশ্বাস উঠেছিল ভালবাসার উপর থেকেও ।কখনও আর কাউকে মনের ভিতর প্রশয় দেই নি । সব কিছু ভাল চলছিল । কিন্তু তুই এসে সব কিছু ওলট পালট করে দিলি । তোর সাথে মিশার পর নিজেকে যেন নতুন ভাবে আবিষ্কার করলাম । আর কিছুতেই নিজেকে তোর প্রেমে পড়া থেকে বিরত রাখতে পাড়লাম না । আমি জানি না তুই আমাকে গ্রহন করবি নাকি ফিরিয়ে দিবি, তোকে কেবল এই কথাটা বলতে চাই যে আমি তোকে ভালবাসি ।“
আমি যে কি বলব বুঝতে পারছি না ।
ও বলতে থাকি “ আমি সত্যি তোকে অনেক ভালবাসি । তুই যখন আমার আশেপাশে থাকিস সব কিছু যেন অন্য রকম হয়ে যায় ।তোকে ছেড়ে যেতে মন চায় না । কত বাহানায় তোর কাছে ফোন করি । কেবল তোর সাথে কথা বলব বলে । আজ সারা দিন তুই আমার সাথে ছিলি আমার যে কি ভাল লাগছিল তোকে আমি বলে বোঝাতে পারবো না । এটাকে ভালবাসা না বললে আর কি বলে, বল ?”
তারপর ও একটু দম নেয় ।
“ অপু তুই আমাকে ইচ্ছা করলে ফিরিয়ে দিতে পারিস কিন্তু প্লিজ আমার সাথে বন্ধুত্ব নষ্ট করিস না । বল করবি না । বল !!”

(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:৪৫
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×