somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি ভৌতিক প্রেমের গল্প ( পর্ব ০১)

২৯ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

“এভাবে বাচ্চা মেয়ে মত মন খারাপ করলে চলে ?”
আমি খানিকটা চমকালাম । সত্যি আমার মন খারাপ । সকাল বেলা আব্বু আমাকে আচ্ছা করে বকেছে । আর পরিস্কার বলে দিয়েছে নতুন কোন মোবাইল তিনি কিনে দেবেন না । তখন আমার খুব রাগ হয়েছিল বাবার উপর ।
কেবল তো মোবাইলই সে চেয়েছিলাম । এখনকার মোবাইল টা পুরানো হয়ে গেছে । বান্ধবীদের কাছে সব নতুন নতুন ফোন । আর আমারটা কত পুরানো । সকালবেলা আব্বুকেও আজেবাজে বলেছি ।
একটা মোবাইল কিনে দিতে পারে না !
“ কি ব্যাপার নীলু কথা বলছো না কেন ?”
আরে এই লোকটা কে ? আর এ কেমন করে জানে যে আমার মন খারাপ ?
আমি নম্বরটা আর একবার দেখলাম । আননোন নাম্বার ।
“কে আপনি ?”
লোকটার আমার কথা মনে হল কানে গেল না ।
লোকটা বলল “তুমি যে সকালবেলা করে তোমার বাবার সাথে এমন খারাপ ব্যবহার করলে এটা কি ঠিক হয়েছে ? তোমার বাবার মন কিন্তু খুব খারাপ হয়েছে ।“
সত্যি সকালবেলা করে আব্বুর সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে ।
“সে সব সময়ই তো তোমার ইচ্ছা পুরন করতে ট্রাই করে । তুমি কি জানো তোমার জন্য মোবাইল কেনার জন্য তোমার রফিক আংকেলের কাছ থেকে টাকা ধার করার কথা ভাবছে । এটা কি ঠিক হল বল ? আর তুমি তার সাথে কি ব্যবহারটাই না করলে !”
এই টুকু বলেই লোকটা লাইন কেটে গেল । আর আমার মাঝে এক অনুশোচনা বোধ দেখা দিল ।
ছিঃ কি করলাম আমি ? সামান্য একটা মোবাইলের জন্য আব্বুকে এমন ভাবে কষ্ট দিলাম ?
চোখে হাত দিয়ে দেখি চোখ দিয়ে পানি পড়ছে । কাঁদতে কাঁদতেই আব্বুকে ফোন দিলাম ।
“হ্যালো আব্বু !”
“ কি রে মা কি হয়েছে ?”
“ আই এম সরি আব্বু । আমাকে তুমি মাফ করে দেও ।“
“ আরে বোকা মেয়ে কাঁদছিস কেন ? তুই তো এমন কিছু করিস নি ।“
“ না আব্বু আমি খুব খারাপ কাজ করেছি । তোমার সাথে এমন ব্যবহার করা আমার একদম ঠিক হয়নি । আমাকে তুমি মাফ করে দেও ।“
“ আগে কান্না থামা । আমি কিছু মনে করি নি । আর তুই আমার কাছে চাবি না তো কার কাছে চাবি বল !”
কান্না সামলাতে কিছু সময় লাগলো । বললাম “আব্বু আমার কোন মোবাইল লাগবে না । আর তুমি খবরদার রফিক আংকেলের কাছ থেকে টাকা ধার করবে না ।“
“কি বললি ?”
“ হ্যা আমার মোবাইল লাগবে না ।“
“ আচ্ছা ঠিক আছে লাগবে না । কিন্তু আমি যে রফিকের কাছ থেকে টাকা ধার করবো তুই কিভাবে জানলি ?”
“ জেনেছি । ও তোমার শুনতে হবে না ।“
“ আচ্ছা ঠিক আছে । করবো না । এখন রাখি । পরে কথা বলি ?”
ফোন রাখার পর আমার মনটা ভাল হয়ে গেল আপনা আপনি । ঠিক তখনই আবার ফোনটা বেজে উঠল । সেই অপরিচিত নম্বর । ফোন রিসিভ করলাম ।
“এই তো গুড গার্ল । এখন কত ভাল লাগছে না ?”
“ হু ।“
“ আপনি কে বলুন তো সত্যি করে । এতো কিছু কিভাবে জানেন ।“
“ জানি । আমি তোমার সব কথা জানি । আর তুমি একটা খুব ভাল কাজ করেছ তোমার বাবা টাকা ধার করতে মানা করে । রফিক সাহেব লোকটা ঠিক সুবিধার না ।“
আরে এই লোকটা এতো কিছু জানে কিভাবে ? আসলেই রফিক আংকেল কে আমি একদম পছন্দ করি না । আমাদের বাসায় কয়েক বার এসেছে । কেমন যেন একটা চোখের দৃষ্টি । আমার দিকে কেমন করে তাকায় । আমি ওনার সামনেই যাই না । আমি আবার বলি “কে আপনি ? আমার সম্পর্কে এতো কিছু জানেন কিভাবে ?”
“ বললাম না আমি তোমার সব কিছু জানি ।“
লোকটা হাসতে থাকে । কেন জানি লোকটার হাসি আমার কাছে খুব ভাল লাগে ।
এর থেকে আবীররের ফোন নিয়মিত আসতে থাকে ।
হ্যা । ও নিজের নাম আবীর বলে । আবীর আমার সম্মন্ধে সব কিছু জানে । আমি কথন কি করি না করি কি খাই না খাই সব কিছু । প্রথম প্রথম খুব অবাক লাগতো তারপর সব স্বাভাবিক হয়ে যায় । আমি মোটামুটি ওর কথা তেই চলতে থাকি । ওর সব কিছুই ঠিক আছে ।
কিন্তু দেখা করতে চাইলেই কেন জানি গরিমসি করে ।
আমি বলি “তুমি আমাকে প্রতিদিন দেখ আর তোমাকে দেখতে পারি না । তুমি যদি আমার সাথে দেখা না কর তাহলে কিন্তু তোমার সাথে আমি আর কথা বল বলবো না । তোমার ফোনও ধরবো না ।“
শুনে আবির হাসে । বলে “যদি ফোন না ধরে থাকতে পারো তাহলে ধরো না ! তবে আমি যতদুর জানি তুমি পারবে না । কিছুতেই পারবে না ।“
কথা সত্যি । ও ফোন করলে আমি না ধরে থাকতে পারবো না । এভাবেই চলতে থাকে ।
(চলবে)
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×