somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি ভৌতিক প্রেমের গল্প ( পর্ব ০২)

৩০ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিছুদিন পর । আমি আমার কলেজে যাবো । নবীন বরন অনুষ্ঠান হবে । সেজেগুজে বের হব তখন আবীরের ফোন ।০ “তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে ।“
“ তুমি আমাকে কিভাবে দেখো বল তো ?”
“ দুরবীন দিয়ে দেখি বুঝেছ ?”
“ বুঝলাম ।“ মনে মনে রাগ লাগে । আবীর বলল “শোন এখন কলেজে যেতে হবে না ।“
“ কেন ? কলেজে যাবো না কেন ?”
“ আজ কলেজে মারামারি হবে । যেতে হবে না ।‘
“ বলেছে তোমাকে ? কে বলেছে তোমাকে ?”
“ শোন বেশি কথা বলবে না ।“ গলায় অনেকটা কর্তৃতের সুর । “যা বলছি কর । এখন গেলে বিপদ হবে ।“
“ হলে হবে । আমি যাবো ।“
আবীর খুব জোড়ে একটা ধমক লাগাল । বলল “তুমি যদি যাও তবে আমি কিন্তু আর কোন দিন তোমাকে ফোন করবো না ।“
কি করবো । কলেজে যেতে পারি না । ঘন্টা খানেক পর মা ঘরে আসে । বলে তোর বাবা ফোন করেছিল । তোদের কলেজে নাকি খুব গোলমাল হচ্ছে । তুই যাসনি শুনে স্বস্তি পেয়েছ । আমি আবার অবাক হই ।
মা ঘর থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে ফোন বেজে ওঠে ।
“কি বলেছিলাম ম্যাডাম । আমার কথা বিশ্বাস হলতো !”
এভাবে আবীর আমাকে নিয়মিত ফোন করতে থাকে । আমি কখন কি করবো না করবো ওই আমাকে বলে দেয় । আমিও সব কিছু ওর উপর ছেড়ে দিই । মাঝে মাঝে ও আমার কথা ছলে আদর করে । মাঝে মাঝে ধমক দেয় । আমার খুব ভাল লাগে ।
সেদিন আবীর সারাদিন ফোন করে নি । কি যে অস্বস্থির লাগছিল । অবশ্য আগের দিন রাতেই ও বলেছিল কি এক কাজ আছে সারাদিন ব্যস্ত থাকবে । রাতে ফোন দিবে । তবুও আমি খুব অস্বস্থির হই । যতবার ফোন দিতে যাই বন্ধ আসে ওর ফোন । ভাল লাগে না । বিকেল বেলা আব্বু আম্মু দুজনেই ডাক্তারের কাছে যায় । পুরো বাসায় আমি একা । তখন ওর কথা আরো বেশি করে মনে পড়ে ।
কি এমন কাজে বিজি সে ?
একটা বার ফোনও করা যায় না । খুব রাগ হয় । চোখ ফেটে কান্না আসতে চায় । কিন্তু কিছুতেই কিছু ভাল লাগে না ।
এমন সময় কলিংবেল বেজে ওঠে । এতো জলদি আব্বুরা চলে আসলো । কিন্তু দরজা খুলেই দেখি রফিক আংকেল । এই লোকটা কে দেখে আরো রাগ হয় । বললাম “আব্বু তো বাসায় নাই ।“
“ আমি ফোন দিছিলাম । একটু পরেই চলে আসবে । আমাকে ওয়েট করতে বলেছে ।“
কি আর করা ঘরে ঢুকতে দিতে হয় । কিন্তু আমার মনের কাছে কেন জানি ভাল লাগছিল না । আমি আংকেল কে বসতে বলি ।
আংকেল বলেন “বাসায় আর কেউ নাই ?”
“ জ্বি না আর তো কেউ নাই ।“
কেমন জানি ওনার চোখ চকচক করে ওঠে । আমার একদম ভাল লাগে না । কি বিশ্রি চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে । এমন সময় আমার ফোন বেজে ওঠে ।
আবীরের ফোন । আংকেল কে বললাম “আমার এক বন্ধু ফোন করেছে । আমি একটু কথা বলে আসি ।“
বলেই আমি নিজের ঘরে চলে আসি ।
“ এতোক্ষন লাগে ফোন ধরতে ।“ ওর কণ্ঠে কেমন যেন একটা এক বেপরয়া ভাব ।
“কি হয়েছে ? এমন ভাবে কথা বলছো কেন ?”
“ তুমি এখনই তোমার ঘরের দরজা বন্ধ করো । এখনই কর । এই রফিক ব্যাটার মতলব খারাপ । জলদি করো ।‘
আমি কেমন যেন একটা দিশেহারা অনুভব করলাম । ফোন রেখে দরজা বন্ধ করতে যাবো এমন সময় দেখি রফিক আংকেল ঘরে ঢুকছে । মুখে এক কি বিশ্রি হাসি । ঘরে ঢাকেই উনি দরজা বন্ধ করে দিলেন ।
“কি ব্যপার আপনি দরজা বন্ধ করছেন কেন ।“
উনি আরার সেই শয়তানের মত হাসি দেন । বলেন “বুঝতেছো না কি জন্য করতেছি । অনেক দিন ধরে টকে ছিলাম আজ তোমারে পাইছি ।“
“আমি কিন্তু চিত্কার করবো “
“ কর । তোমার মান সম্মান যাবে । তারপর দেখি তুমি সমাজে কি ভাবে থাকো । আর লোকজন আসতে আসতে যা হবারহয়ে যাবে । এর থেকে চুপচাপ থাকো । কেউ জানবে না । কোন সমস্যা হবে না ।“
আমি এখন কি করবো । ঐ শয়তান টা লোল ফেলতে ফেলতে আমার দিকে এগিয়ে আসে । আর আমি আতংকে নীল হয়ে যাই । কি করবো মাথায় কিছুই কাজ করে না ।
এখন আমাকে কেবল আবীর বাঁচাতে পারে । জোড়ে জোড়েই বলি “আবীর কোথায় তুমি ? আমাকে বাঁচাও । আমাকে বাঁচাও ।“
শয়তান টা হেসে উঠল । “কোন আবীর ফাবীর তোরে বাঁচাতে পারবে না ।“
আমার কাছে চলে আসে । আমাকে ধরতে যাবে ঠিক এমন সময় একটা কাজ হয় ।
আমার ঘরে আলো গুলো নিভে যায় । খুব মিষ্টি একটা গন্ধে সারা ঘর সুরভিত হয়ে যায় । হঠাত্ করেই মনের সব ভয় কোথায় যেন গায়েব হয়ে যায় । মনে হয় আবীর এসেছে । আমাকে বাঁচাতে এসেছে ।
(চলবে)
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×