somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভয় পেলে কি ভালবাসা যায় তবুও ভয়টাতো দুর নাহি হয় !!

২৬ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১০:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একদিন ম্যাচের পল্টুভাই আমাকে ডেকে বলল “কি ? প্রেম করেছিস কয়টা” ?
এমন একটা ভাব করলাম যেন লজ্জায় আমি মরে যাচ্ছি ।
“কি যে বলেন ভাই” !
“কি এখনও করিস নি তার মানে” ?
“না ভাই” । দুঃখি দুঃখি একটা চেহারা করে বললাম “আমার কপালে কি আর ওসব আছে” ?
পল্টু ভাই খানিকক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে বলল “তোর চেহারা তো বলছে অন্য কথা” ।
“কি বলতাছেন ভাই” ?
“হুম, তোর আবভাব ভাল ঠেকছে না । তুই খুব শীঘ্রই প্রেমে পড়বি” ।
আমি চোখ কপালে তোলার চেষ্টা করলাম কিন্তু খুব বেশি উপরে উঠল না । বললাম “হায় হায় বলেন কি ? এখন উপায়” ?
পল্টু ভাই বিরক্ত হল । বলল “এমন ভাব করছিস যেন প্রেমে না গভীর খাদে পড়তে যাচ্ছিস” ।
“কিন্তু পল্টু ভাই প্রেমে পড়া আর গভীর খাদে পড়া তো একই কথা । দুটোটেই জীবন ছাপাছাপা” ।
পল্টু ভাই কিছুক্ষন যেন কি ভাবল । তারপর বলল “তুই তো ভাল কথা বলেছিস । সত্যি প্রেমে আর গভীর খাদ একই জিনিস” ।
“তাহলে উপায়” ? আমি চিৎকার করে উঠি ।
“আরে অতো ভাবছিস কেন ? আমি আছি না ! একটু সাবধান হলেই সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে” ।
আমি এমন একটা ভাব করলাম যেন আমার উপর থেকে দশমনের বোঝা সরে গেল ।
“শোন” । পল্টু ভাই শুরু করল । “কখনও নিজের থেকে বেশি স্মার্ট মেয়ের সাথে প্রেম করবি না” ।
“কেন ভাই ? স্মার্ট মেয়েতো সবাই পছন্দ করে” ।
“আরে গাধা চুপ করে শোন কি বলি । স্মার্ট আর আধুনিক মেয়েদের সব থেকে বড় সমস্যা কি” ?
“কি ভাই” ?
“আরে জানিস না ? সপিং । ওরা সপিং করতে খুব ভালবাসে” ।
“তাতে সমস্যা তা কোথায়”?
“সমস্যাটা হল যখন তোর যথন তোর গার্লফেন্ড সপিং করবে তোকে তার সেই ব্যাগ গুলো বহন করতে হবে । আর ক্ষেত্র বিশেষে সেই সপিংয়ের আংশিক অথবা পুরো বিলটা তোকেই দিতে হবে” ।
“কেন আমাকে কেন দিতে হবে” ?
“আহা ! তোমার মত ক্ষ্যাত মার্কা ছেলের সাথে সে রিলেশন করেছে আর তুমি তার জন্য সামান্য বিলটা দিতে পারবে না । তারপর তোর জিএফ যদি স্মার্ট আর আধুনিক হয় তাহলে তুই কথনও তাকে ডেটিংয়ের জন্য ধানমন্ডি লেক কিংবা চিড়িয়াখানায় নিয়ে যেতে পারবি না” ।
“তাহলে কোথায় নিয়ে যেতে হবে” ?
“কেএফসি অথবা পিজ্জাহার্টে নিয়ে যেতে হবে । এবং অবধারিত ভাবে বিলটা তোকেই দিতে হবে” ।
“ আর” ?
“আর মনে কর ওরা কথনও পাবলিক বাসে ওঠে না । চলাচলে জন্য সব সময় সিএনছি আর ইয়োলো ক্যাব ডাকতে হবে । আর বুঝতেই পারছিস সেটার বিলটাও তোর পকেট থেকেই যাবে” ।
“থাক ভাই আর বলতে হবে না । আমি ভাই স্মার্ট মেয়ে কেন কোন মেয়ের সাথেই প্রেম করব না । একলা আছি ভাল আছি” ।
“আরে এতো গেল কেবল ফাইন্যালশিয়াল কথা । আরো হাজারটা প্রবলেম” ।
“আরো আছে” ?
“হুম তুই ভেবছিস কি ? এতো সহজ ! শোন তাহলে” ।পল্টু ভাই শুরু করল । “প্রথম কথা হল তুই কথনও তোর গার্লফ্রেন্ডের উপর কথা বলতে পারবি না । সব বিষয়ে তার কথাই শেষ কথা । সব কিছু সে যেমন টি চাইবে তেমনটিই হওয়া লাগবে” ।
“ তারপর” ?
“তারপর ধর তার সাথে থাকা কালীন ভদ্র আর স্মার্ট হয়ে থাকতে হবে । শব্দ করে কাশি দেওয়া যাবে না । শব্দ করে হাসা যাবে না । আর শব্দ করে চা খাওয়া মানে তো তাকে অপমান করা বোঝাবে” ।
আমি একটু ঢোক গিললাম ।
“তারপর মনেকর তোর খুব জোরে বাথরুম চেপেছে তুই কি করবি ? আর মনে কর আসেপাশে কোন টয়লেটও নাই”।
“খুব বেশি চাপ হলে কোন দেওয়াল বা গাছের ধারে চাপ কমাবো” ।
পল্টু ভাই করুন করে হাসল । বলল “এই কাজটাতো করাই যাবে না । এমনটি ব্লাডার বাস্ট হয়ে গেলেও না । তারপর নাক ঝাড়া যাবে না । সব সময় টিস্যু ব্যবহার করতে হবে” ।
আমি বললাম ভাই “কিছু আছে” ?
“আছে মানে ? এখনো তো কিছু শুরুই করি নি” ।
“ ভাই আমি আর শুনবো না” ।
“আরে আর একটা ইম্পর্টেন্ট কথা শোন । সব সময় তাকে বলতে হবে আজ তোমাকে কেন জানি খুব সুন্দর লাগছে । খুব সেক্সী লাগছে । তা সে যতই পেত্নীর মত লাগুক না কেন । আর একটা কথা” ।
“কি কথা ভাই” ?
“জিএফ সাথে থাকা সময় , কোন অবস্থাতেই অন্য মেয়েদের দিকে তাকানো যাবে না” ।
“কেন ভাই তাকালে কি হবে” ?
পল্টু ভাই আবার সেই করুন হাসি হাসল । বলল “তাহলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে । তুই সেখানে হবি পরাজিত পক্ষ আর শান্তি চুক্তির সময় তোর উপর এমন সব শর্ত আরোপ করা হবে তুই ভাবতেও পারবি না” ।
“কিন্তু ভাই এতো কিছু আপনি কিভাবে জানেন” ?
হঠাৎ পল্টুর ভায়ের মুখটা বিমর্ষ হয়ে গেল । বড় দুঃখি গলায় বলল “আর বলিস না” ।
“কেন কেন ভাই ? সমস্যা কি” ?
পল্টু ভাই বলল “অভিজ্ঞতা থেকে শিখাছি । রিয়েল লাইফ এক্সপিরিয়েন্স” ।
পল্টু ভয় ধরিয়ে দিল মনের মধ্য । কিন্তু সমস্যায় পড়লাম আমি । এখন কি করবো ?
রাশিনকে কি তাহলে প্রোপজ করবো না ? যদি পল্টু ভায়ের কথা ঠিক হয় তাহলে প্রোপজ করা ঠিক হবে না । আমি গরিব মানুষের পোলা । টিউশনি করে পেট চালাই । রাশিনের মত আধুনিক মেয়েকে এফোর্ড করা আমার কর্ম হবে না ।
কিন্তু মনকে তো কিছুতেই বুঝাতে পারছি না । মেয়েটাকে আমি খুবই পছন্দ করি । আর এদিক ওদিক থেকে খোজ খবর পেয়েছি যে রাশিন আমাকে অপছন্দ করে না । আর ওর কোন বয়ফ্রেন্ডও নাই যতদুর জানি । তার মানে প্রোপজ করলে একসেপ্ট করার সমূহ সম্বাবনা ।
কিন্তু পল্টু ভায়ের কথায় একটু একটু ভয় পাচ্ছিলাম প্রোপজ করতে । কয়দিন তো ভাবলাম দরকারই নাই এসব ঝামেলার । একা আছি বড় ভাল আছি । কি দরকার ডেকে ষাড় পোয়াল গাদায় নিয়ে আশা । মনে মনে বললাম দরকার নাই এসবে । রাশিন থাকুক রাশিনের মত আমি থাকি আমার মত ।
বন্ধু তুহিন রাশিনের ব্যপারটা জানতো । ও অনেক বোঝাল । আশ্বাস দিলো যে পল্টু ভায়ের কথা ঠিক না । সব মেয়েতো আর এক রকম হয় না । আর রাশিন ঐ রকম মেয়েই না । তুই একবার বলেই দেখ না ? বুকে যেন আবার বল পেলাম ।
তাই একদিন রাশিন কে ডেকে বলেই ফেললাম মনে কথা গুলো । বলার পরই আবার সেই ভয়টা ফিরে এল । আল্লাহ যদি পল্টু ভায়ের কথা ঠিক হয় ! আমার জীবন তো তাইলে শেষ ! রাশিন তখনই কিছু বলল না । আমার মনে হল যাক বাবা বেঁচে গেলাম । ও মনে হয় আমার প্রোপজাল একসেপ্ট করবে না ।
কিন্তু আমার এ ভুল ভাঙ্গতে খুব বেশি দেরি হল না । রাত্রে বলা রাশিন ফোন দিয়ে বলল “কাল সকালে কেএফসির সামনে দাড়াবা” ।
আমার বুকের মাঝে ধক করে উঠল । মিন মিন গলায় বললাম “কেন” ?
“সেটা তখনই দেখতে পারবা । দাড়াতে বলছি দাড়াবা । অত প্রশ্নের জবাব দিতে পারবো না” ।
কি কর্তৃত্বের সুর গলায় ! আগে যখন রাশিনের সাথে কথা বলতাম কি মোলায়েম স্বর ছিল । কোন কিছু বলতে হলে কিংবা দরকার হলে কি নরম স্বরে অনুরোধ করতো । আর আজকে যেন অর্ডার করতেছে ।
ওমাইগড ! পল্টু ভায়ের কথা তাহলে সত্য হতে চলেছে । তারমানে আমি শেষ ।
সকালবেলা কে এফসির সামনে দাড়ালাম । একটু আগে আগেই এলাম ।
পল্টু ভাই বলেছিল মেয়েরা দেরি করবে কোন সমস্যা নাই কিন্তু তুই যদি একটা মিনিট দেরি করিস তাহলে তুলকালাম কান্ড ঘটে যাবে ।
রাশিন যথা সময়ে এল । আমি রিক্সা ভাড়া দিতে গেলাম । ও বাধা দিল ।
বলল “রিক্সায় উঠে এস” ।
“কেন” ? আমি অবাক হলাম ।
“উঠে এস । এখন এর মধ্য ঢুকতে ইচ্ছা করছে না” ।
রিক্সা ওয়ালাকে বোধহয় আগেই বলা ছিল । রিক্সা ওয়ালা আট নম্বর ব্রীজের কাছে এসে থামল । রাশিন আমাকে নামতে ইশারা করল ।
আমি রিক্সা ভাড়া দিতে গেলে রাশিন বলল “কি ব্যপার টাকা পয়সা কি বেশি হয়ে গেছে নাকি ? রিক্সা আমি ঠিক করেছি তুমি ভাড়া দিতে যাচ্ছ কেন” ?
“না মানে ……...” আমি আমতা আমতা করতে থাকি ।
রিক্সা থেকে নেমে রাশিন লেকপাড়ে বসল । আমিও বসলাম ওর পাশেই ।
কিছুক্ষন কি যেন ভাবল তারপর বলল “দেখ যেহেতু আমাদের মধ্যে নতুন একটা রিলেশন তৈরি হতে যাচ্ছে কিছু কথা তোমাকে বলে রাখি” ।
“বল” । আমি একটু নার্ভাস ফিল করি ।
“আমার সাথে থাকতে হলে আমার কিছু কথা তোমাকে শুনতে হবে” । কিন্তু ওর কন্ঠটা এমন শোনাল যে তোকে শুনতেই হবে তা না হলে তোর ১২টা আমি বাজাবো ।
আমি একটা ঢোক গিলে বললাম “তা তো অবশ্যই । বল কি কথা” ।
“শোন প্রথম কথা হল আমার সাথে কোন আর্গুমেন্ট করা যাবে না । আমার চলার সময় ভাল ভাবে থাকতে হবে । ভাল পোষাক আষাক পরতে হবে । ওয়েল বিহেবড হতে হবে । শব্দ করে হাসা যাবে না ।হাত দিয়ে নাক ঝাড়া যাবে না । রাস্তার ধারে বাথরুম করা যাবে না । অন্য কোন মেয়ে .........................”
রাশিন বলেই চলল আর শুনেই চললাম । আমার মাথা ঘুরতে শুরু করল । পল্টু ভাই ঠিকই বলেছিল ।
আমি একা ছিলাম ভাল ছিলাম নিজের পায়ে নি কুড়াল কেন মারলাম । না ঠিক হল না । নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারি নি । কুড়াল ছিল নিজের জায়গায় । আমি নিজের পা কুড়ালটার উপর মেরেছি ।
আমি এসব কথাই ভাবছি এমন সময় হাসির শব্দ শুনলাম । তাকিয়ে দেখি রাশিন হাসছে ।
হাসতে হাসতে আমাকে জিজ্ঞেস করল “আমি এতোক্ষন যা বলেছি শুনেছি” ?
আমি বললাম “হ্যা শুনেছি তো” ।
“তাহলে বল শেষ কথাটা কি বলেছি” ?
আমি বোকার মত তাকিয়ে রইলাম । আসলে আমি তখন অন্য কথা ভাবছিলাম । ওর কথা ঠিক শুনতে পাইনি । কিন্তু এই কথাতো বলার উপায় নাই ।
আমতা আমতা করে বললাম “আসলে আসলে .....”
আমার এ অবস্থা দেখে রাশিন আরো জোরে হাসতে লাগল । এতোই জোরে যে আসে পাশের লোকজন ঘুড়ে তাকাতে লাগল । অনেক কষ্টে হাসি থাকিয়ে বলল “এতো দিন তোমার পল্টু ভাই তোমার মাথার মধ্যে যা যা ঢুকিয়েছে সব ঝেড়ে ফেলে দাও ঠিক আছে” !
“মানে” ?
আমি ঠিক বুঝলাম না ওর কথা ।
রাশিন তখন আমার আরো একটু কাছে এসে বলল “তুমি নিশ্চই তোমার পল্টু ভায়ের মত গাধা না” ।
“কেন এই কথা কেন বলছ” ?
“বলছি কারন তোমার পল্টু ভাই হল এক নম্বরের গাধা আর তাই জন্য তার গার্লফ্রেন্ড তাকে এভাবে নাকানী চুবানী খাইয়েছে । বুঝছ” ?
“হুম । কিন্তু তুমি পল্টু ভায়ের কথা জানলে কিভাবে” ? আমি খানিকটা অবাকই হলাম ।
রাশিন বলল “তুহিন বলেছে । তোমার খোজ খরব আমি তুহিনের কাছ থেকেই পেতাম । আমিতো ভেবেছিলাম তুমি হয়তো আর ভয়তে বললাই না কথা । তোমার ঐ পল্টু ভায়ের উপর এতো রাগ হল ! তোমার উপরও রাগ হয়ে ছিল । তাই একটু মজা করলাম” ।
আমি কোন কথাই বলতে পারলাম না । আসলে আমার ঠিক বিশ্বাসই হচ্ছিল না কথা গুলো ।
“তুমি আমাকে ভালবাসো তারমানে এই নয় যে আমার সব কথা তোমাকে শুনতে হবে । ঠিক আছে” ?
রাশিন মিষ্টি করে হাসল । ওর এই হাসি দেখে আমার সব টেনশন দুর হয়ে গেল ।
কি সব ভেবেছি এতো দিন ? সব ঐ পল্টু ভাইয়ের দোষ । বেটা আহম্মক । অবশ্য আমি কম গাধা না ।
রাশিন আমার হাতটা ধরে বলল “তোমার যা ইচ্ছা কর । কেবল একটা রিকোয়েস্ট এমন কিছু কর না যা আমাকে কষ্ট দেয় । ঠিক আছে” ?
আমি কেবল ওর দিকে তাকিয়ে থাকলাম । অদ্ভুদ এক ভাল লাগা আমার পুরো মন জুরে বয়ে গেল ।
একটু হেসে বললাম “ঠিক আছে” ।
১৯টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×