somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এক লাইনের চিঠির জবাব পেতে সময় লাগল সাত বছর !! চিঠি আর একটু বড় হলে কি হত কে জানে !!

২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ২:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-ড্রাইভার চল !
ড্রাইভার ?? আমার পুরো জীবনে মানুষ জন আমাকে বিভিন্ন উপাধি দিয়েছে । কিন্তু তাই বলে ড্রাইভার !
লুকিং গ্লাসে নিজের চেহারাটা আর একবার দেখে নিলাম । রাজপুত্রের মত চেহারা না হলেও ড্রাইভারের মত নিশ্চই না ।
আর নিজের গাড়ি । গত মাসেই কিনেছি ।কিনেছি মানে বাবা কিনে দিয়েছে ।
আসলে বাবা বিশ্বাসই করতে পারে নি যে আমি কোন দিন পড়াশুনা শেষ করবো । যখন চাকরীর খবরটা বাবাকে দিলাম বাবাতো প্রথমে বিশ্বাস করে নি । এপয়েন্টমেন্ট লেটার দেখানোর পরও বিশ্বাস করেনি । সন্দেহের চোখে বলেছে
-নীলক্ষেন বানিয়ে আনিস নি তো ?
যাই হোক নিজের গাড়িতো । নিজের গাড়ি অন্য কেউ হুট করে ঢুকে যদি বলে ড্রাইভার চল , তাহলে কেমন লাগে !!
বিকেল বেলা অফিস থেকে বাসায় ফিরছিলাম । জ্যামের কারনে বেশ বিরক্তই ছিলাম । অফিস থেকে বের হবার সময় আকাশে বেশ মেঘ ছিল । রাপা প্লাজার এখানে আসতে আসতে তুমুল বৃষ্টি নেমে গেল ।
বৃষ্টি আমার বরাবরই ভাল লাগে । কাচ তুলে তাই বৃষ্টি দেখছিলাম । ঠিক এমন সময় গাড়ীর পেছনের দরজা খুলে একজন ঘুকে পরে । তারপরই বলে ড্রাইভার চল ।
আমি পেছন ঘুরে তাকালাম । ২৩/২৪ বছরের একজন তরুণী হবে । সবুজ রংয়ের একটা সেলোয়ার কামিজ পরে আছে । আর হাতে অনেক গুলো শপিংয়ের ব্যাগ ।
গাড়ীর মধ্যে ঘুকে একবারও আমার দিকে তাকায় নি এখনও । শপিংব্যাগ গুলো সামলাতেই ব্যস্ত । মোটামুটি ব্যাগ গুলো গোসানো হলে মেয়েটি এবার বলল
-কি হল ড্রাইভার যাচ্ছ না কেন ?
-কি ভাবে যাবো ম্যাডাম ? সামনে তো জ্যাম ?
মেয়েটা এবার আমার দিকে মুখ তুলে তাকাল । তুমি মেয়েটার কথা খানিকটা আটকে গেল
-মানে, আপনি ....
মেয়েটা ততক্ষনে তার ভুল বুঝতে পেরেছে । মেয়েটা লজ্জা মিশ্রিত চোখে হাসল । আমি কিছু বলতে যাবো কথনই আমি লক্ষ্য করলাম মেয়েটাকে কেমন জানি চেনা চেনা লাগছে ।
আরে ...... এতো ....
আমার চোখকে বিশ্বাস হচ্ছিল না । সত্যি বিশ্বাস হচ্ছিল না যে ফারিয়াকে এখানে এভাবে দেখতে পাবো । ফারিয়া তখনও আমাকে বোধহয় চিন্তে পারে নি । ফারিয়া বলল
-আমি আসলে বুঝতে পারি নি । বাইরে বৃষ্টি হচ্ছেতো খুব । আর আমার গাড়িটাও হুবাহু আপনার মতই ।
আমি হাসলাম । বললাম
-অভ্যাসটা এখনও যায়নি যে !
ফারিয়াকে কেমন যেন বিভ্রান্ত মনে হল ।
-মানে ? আপনি ...
ফারিয়া আমার দিকে এবার ভাল করে তাকাল ।
-আবীর ??
হঠাৎ ওর চোখমুখে একরাশ বিশ্ময় ফুটে উঠল ।
-আবীর তুমি ? সত্যিই তুমি ?
ফারিয়া আর কথা না বলে আমার দিকে তাকিয়েই থাকল । আমি আবারও হাসলাম ।
-আমার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না আবীর সত্যি এটা তুমি ! আর আমি কিনা তোমার গাড়িতেই ভুল করে উঠে পড়লাম । তুমি সত্যি বলেছ । আমার জিনিস কপি করার অভ্যাস তোমার এখনও যাই নি । দাড়াও
বলে ফারিয়া গাড়ীর দরজা খুলে বাইরে বের গেল তাড়াহুড়া করে । দুতিন মিনিট পর আবার ফিরে এল । এবার বসল সামনের সিটে । একেবারে মুখোমুখি ।
-আমার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না যে তোমার সাথে আমার আবার দেখা হয়ে গেছে ।
আমি বললাম না কিছুই । ফারিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকলাম । ফারিয়া আগেও সুন্দর ছিল কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আরো সুন্দর হয়েছে । গায়ের রংটা আরো একটু উজ্জল হয়েছে । চুলগুলো আর একটু ঘন । চোখ গুলো অবশ্য আগের মতই আছে । চঞ্চল ।
ফারিয়া বলল
-কতদিন পর দেখা হল হিসাব আছে ?
-প্রায় সাত বছর ।
-সাত বছর পরে তোমার সাথে দেখা হল । ওমাইগড !
আমি বললাম
-তোমার সাথে এভাবে দেখা হবে ভাবি নি । তবে তোমার সাথে আবার দেখা হবে এটা আমি জানতাভ ।
-আচ্ছা ? কিভাবে জানতে ?
-আমার উত্তরটা এখনও জানা বাকি আছে যে !
ফারিয়া কিছু বলল না । কেবল তাকিয়ে থাকলো আমার দিকে । ওর চোখে কেমন একটা আনন্দ দেখছিলাম আমি । আনন্দ আমারও খুব হচ্ছিল ।
কিন্তু মনের মধ্যে কেমন জানি একটা চাপা সংকা কাজ করছিল । বার বার মনে হচ্ছিল ফারিয়া কি আগের মত আছে ? অবশ্য না থাকার সম্ভাবনাই বেশি । সাত বছর অনেক লম্বা সময় । এই লম্বা সময়ে সবার মধ্যেই পরিবর্তন আসে ।
ওর মধ্যেও নিশ্চই পরিবর্তন এসেছে । আসাটাই স্বাভাবিক । কিন্তু আমিতো আগের মতই আছি । তাহলে ও কেন থাকবে না ?
নাহ ।
এরকম কেন হবে ? ও কেনই বা আগের মত থাকবে ? এতো দিন পর ওর সাথে দেখা হল কেবল একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছা করছে । কিন্তু করা ঠিক হবে কিনা বুঝতে পারছিলাম না ।
যখন স্কুলে পড়তাম তখন থেকেই ফারিয়াকে চিনতাম । বাবা সিভিল সার্জন ছিলেন । প্রায়ই বদলি হতেন । যখন আমি ক্লাস নাইনে উঠি সেবার বাবা ফারিয়াদের এলাকায় বদলি হয়ে এলেন ।
স্কুলে ফারিয়াকে প্রথম দিন দেখেই আমার ভাল লেগে গেল । কি চঞ্চল একটা মেয়ে । সব সময় হাসতে হাসাচ্ছে কথা বলছে পুরো ক্লাসটা যেন ও মাতিয়ে রাখছে । ফারিয়াকে আসলেই ভাল লেগে গেল ।
কিন্তু আমার স্বভাবের কারনে আমি ওকে কিছুতেই কিছু বলতে পারলাম না । তবে একটা কাজ করতাম ও যা যা যেরকম জিনিস ব্যবহার করতাম । যেমন ওর ব্যাগের রং ছিল কালো । আমি কালো রংয়ের ব্যাগ কিনে ফেললাম । ও যেই কলম ব্যবহার করে আমিও সেই রংয়ের কলম ব্যবহার করতে শুরু করি । প্রথম প্রথম কেউ ব্যাপারটা লক্ষ্য না করলেও আসতে আসতে সবাই ব্যাপারটা ধরে ফেলে ।
এমন কি ফারিয়াও ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছিল । কিন্তু আমি কোন দিন কিছু বলি নি । এসএসসি পরীক্ষার পর বাবা আবার বদলী হয়ে গেল ।
যেদিন আমরা ফারিয়ার এলাকা থেকে চলে আসবো তার ঠিক একদিন আগে আমি ফারিয়াকে চিঠি লিখি । কেবল এক লাইনের একটা চিঠি ।

তোমাকে বলা হল না তোমাকে ভালবাসি

আমার এক বন্ধুর হাতে দিয়ে ওটা পাঠিয়ে দেই ফারিয়ার কাছে ।
আশা ছিল ফারিয়া হয়তো আসবে । আমার এক লাইনের চিঠির জবাব দিবে ।
যাওয়ার দিন অনেকেই এল বিদায় জানাতে । কিন্তু হায় ! অনেকে এলেও ফারিয়া এল না ।
কেন এল না ? একটুতো খারাপ লেগেছিলই । আমার প্রস্তাবে রাজি হত না হত অন্তত একবায় আসা দরকার ছিল । ঐ দিন যাবার সময় কতবার যে আমি পিছন ফিরে তাকিয়ে ছিলাম । যদি ওকে একবার দেখতে পাই ! যদি ও একবার আসে !

-তারপর কি করছো আজ কাল ?
-তেমন কিছু না । এই ছোট খাটো একটা চাকরি করি ।
-তুমি ?
-আমিও একটা জব করি আর কি ?
আরো টুকটাক কথা বার্তা হতে থাকে । একটা কথা জিজ্ঞেস করার চেষ্টা করছিলাম কিন্তু একটু যেন সংকোচ হচ্ছিল । কিন্তু আমার আগে বলার আগে দেখলাম ফারিয়া নিজের জিজ্ঞেস করলো
-বিয়ে করেছ ?
-বিয়ে ?
আমি না হেসে পারলাম না ।
-বিয়ের বাড়ি কোথায় পাচ্ছ ?
-গার্লফ্রেন্ড ?
-গার্লফ্রেন্ড !!
-এখনও হ্যাঙ্গিং আছে ।
-মানে ?
-মানে কিছু না ।
-তোমাকে কোথায় নামিয়ে দেবো বল ?
ফারিয়া বাড়ির ঠিকানা বলল । আমি ওকে নামিয়ে দিলাম । আরো কিছুক্ষন ওর সাথে থাকতে পারলে ভাল হত । কিন্তু কেন জানি পুরানো কথা মনে পড়ে গেল । মনের মধ্যে একটা চাপা অভিমানও দেখা দিল । সেদিন কি একটা বারের জন্যও আসা যেত না ? সেদিন ফারিয়া আমাকে এভাবে অবহেলা না করলেও পারতো !

রাতের বেলা ফারিয়া আমাকে ফোন দিল । ঘুমাতে যাচ্ছিলাম ।
-হাই !
-বল !
-কি করছিলে ?
-এইতো ঘুমাতে যাবো ।
-ও ।
এই বলে ফারিয়া কিছুক্ষন চুপ কয়ে থাকলো । তারপর বলল
-আবীর ।
-হুম ।
-কাল কি আমার সাথে একটু দেখা করা যায় ?
-কখন ?
-কালতো ছুটির দিন । এই সকালের দিকে ।
-আচ্ছা । কিন্তু কোন বিশেষ কারন নাকি ?
-হুম । কালকে আসো প্লিজ ।
-ওকে ।

সকাল এগারটার দিকে ওর সাথে দেখা হল ।
-বল তোমার বিশেষ কারনটা কি ?
ফারিয়া কোন ভুমিকা না করেই বলল
-তুমি আমার উপর খানিকটা রেগে আছো তাই না ?
-কেন রেগে থাকবো কেন ?
-তুমি কি জানো আমি সেদিন এসেছিল !
-তুমি এসেছিলে !? সত্যিই এসেছিলে ?
-বিশ্বাস কর আমি এসেছিলাম । আসলে আমি বুঝতে পারি যে তোমরা এতো সকাল সকাল রওনা দিয়ে দেবে । আমি যখন পৌছায় ততক্ষনে তোমরা চলে গেছ । কি যে কষ্ট সেদিন আমি পেয়েছিলাম ।
আমি কি বলবো ঠিক বুঝতে পারছিলাম না । ফারিয়া তারপর ব্যাগ থেকে দুটো খাম বের করলো । খুব সাবধানে বের করল । কেমন যেন মলিন । খাম দুটো বেশ পুরানো মনে হল ।
একটা খাম খোলা । অন্যটা বন্ধ । খোলা খামটা হাতে নিয়ে ফারিয়া বলল
-এই খামটা চিনতে পারো ?
আমি চিনতে পারলাম না ।
-চিনতে পারো নি, না ?
ফারিয়া হাসল । আমি চুপ করেই থাকলাম । ওর হাতের খাম আমি কিভাবে চিনবো ? ফারিয়া আবার বলল
-না চেনারই কথা । সাত বছর আগে দিয়েছিলে । এখনকি মনে থাকে !
-মানে ?
আমি সত্যিই খুব অবাক হলাম । ফারিয়া এখনও এই চিঠিটা রেখা দিয়েছে ! অন্য খামটা দেখিয়ে বললাম
-ওটা কিসের ।
-এটা ....
ফারিয়াকে খানিকটা বিষন্ন মনে হল ।
-এটা আমি লিখেছিলাম তোমাকে দেবার জন্য । কিন্তু দিতে পারি নি ।
আমি কাঁপা হাতে চিঠিটা নিলাম । বুকের মধ্যে কেমন যেন একটা ধকধকানি করতে লাগল ।
কাগজটা কেমন যেন নরম আর মলিন হয়ে গেছে । আমি খামটা খুলে খুব সাবধানে ভিতরের কাগজটা খুব সাবধানে বের করে এলাম । একটা মাত্র লাইন লেখা । এতো দিনের লেখা কালিটা কেমন ফ্যাকাসে হয়ে গেছে ।

তোমার মুখ থেকে ভালবাসি শোনা হল না

আমি লাইনটা পরে খানিক ক্ষন চুপ করে থাকলাম ।



গল্পটা এখানে আছে
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ২:৩৪
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×