somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তোমার সাথে আমার কল্প কথা !!

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পুরো দিনের মধ্যে এই সকাল বেলাটাই মিলির খুব প্রিয় । এই সকাল বেলাতেই আবীর অফিস যায় । এই সময় এটা ওটা এগিয়ে দিতে হয় । কেবল এই সময়টাতেই মিলি আবীরের কাছাকাছি থাকতে পারে । কি যে ভাল লাগে ওর ! মনে হয় যদি এমন ভাবেই আবীর সাথে সাথে থাকতে পারতো !
আবীর শোবার ঘরে তৈরি হচ্ছিল । মিলি ভয়ে ভয়ে আবীরের পেছনে গিয়ে দাড়াল ।
-আপনার আর কিছু লাগবে ?
আবীর পেছন ফিরে তাকাল ।
-না আর কিছু লাগবে না ।
মিলির আরো কয়টা কথা জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছা করে । কিন্তু করতে পারে না । মিলি খুব ভাল করেই জানে আবীর এসব কথা পছন্দ করে না । কিন্তু কেন জানি মানুষটার সাথে কেবলই কথা বলতে ইচ্ছা করে ।

ছোট বেলা থেকেই মিলি স্বপ্ন দেখতো এমন একটা মানুষের সাথে তার বিয়ে হবে যে ওকে পাগলের মত ভালবাসবে ! সারাদিন ওর আসেপাশে ঘোড়াঘুড়ি করবে আর ওর সাথে সাথে হাজারও বিষয় নিয়ে কথা বলবে ।
কিন্তু মিলির এই স্বপ্ন গুলোর কোনটাই পুরন হয় নি । মিলি একথা জানে যে আবীর ওকে একদম ভালবাসে না । কেবল সামাজিকতা রক্ষা করার জন্যই বিয়ে করা । তা না হলে আজ এক বছর ওদের বিয়ে হয়েছে আবীর এর মধ্যে একটা বারও ভালবেসে মিলিকে কাছে টেনে নেয় নি ।

আবীর ব্রিফকেসটা হাতে নিয়ে মেইন দরজার দিকে হাটা দিল । মিলিও আবীরের পেছন পেছন আসতে লাগল । কিন্তু অন্য দিনের মত আজ আবীর দরজা খুলেই বেড়িয়ে গেল না ।
একটু দাড়াল । যেন কিছু ভাবছে । এটা মিলির কাছে একটু নতুন লাগে । মিলি একটু ভয়ে ভয়ে বলল
-আর কিছু লাগবে আপনার ?
আবীর বলল
-আজ আমার চট্টগ্রাম যাবার কথা রয়েছে । অফিসের কাজ । সপ্তাখানেক লাগবে ।
-সপ্তাখানেক !
মিলির মনটাই খারাপ হয়ে যায় । সপ্তাখানেক এই মানুষটা ওর চোখের আড়ালে থাকবে এটা ভাবতেই মিলির মনটা খারাপ হয়ে যায় । মিলি বলল
-আমি আপনার ব্যাগ গুছিয়ে রাখবো । কখন আসবেন ?
-তিনটা চারটার দিকে ।
-আচ্ছা ।
কথা শেষ করে আবীর চলে গেল না । ওর মুখ দেখে মনে হল যেন আরো কিছু বলতে চায় । কিন্তু মিলিরও আর কিছু জিজ্ঞেস করতে পারে না । কেবল দাড়িয়ে থাকে দরজার সামনে । আবীর একটু ইতস্তত করে বলল
-আমি ভাবছিলাম যে তুমিও চল আমার সাথে । ঐখানে অফিসের রেস্ট হাউজটা একটা টিলার উপরে । তোমার ভাল লাগবে ।
মিলির মনে হল ওকে যেন কেউ ২২০ ভোল্টের শক খেল ! বিয়ের আজ এতোদিন পর আবীর ওকে কোথাও নিয়ে যেতে চাইছে । মিলির খুব ইচ্ছা করলো আবীরকে খুব জোড়ে জড়িয়ে ধরতে । কিন্তু এই কাজটা করা যাবে না ।
আবীর কি ভাববে কে জানে !
মিলির ভিতর একটু তাড়াহুড়া দেখা দিল । এতো দিন আবীর যখন অফিস যেত মিলির মনে হত যেন না যাক ! আর একটু থাকুক কিন্তু আজ মনে জলদি যাক !
জলদি না গেলে জলদি আসবে কিভাবে ?
আর মিলির এতো ভাল লাগছে মনে হচ্ছে এখনই চোখ দিয়ে পানি বেড়িয়ে আসবে । আবীর চোখের পানি দেখলে লজ্জার সীমা থাকবে না । আবীর বলল
-তুমি তোমার কাপড়ও গুছিয়ে রেখ ।
-আচ্ছা ।
আবীর চলে গেল । দরজা বন্ধ করে মিলি কিছুক্ষন দাড়িয়েই রইল দরজার হাতল ধরে । মিলির এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না যে ও আবীরের সাথে কোথাও যাচ্ছে !
একসাথে ।
একসাথে যাচ্ছে !
আচ্ছা সত্যি ই যাওয়া হবে ?
মিলির তবুও বিশ্বাস হতে চায় না ।

মিলি কিছু আশা করে থাকলে সেই জিনিসটা কখনও পূরন হয় না । মিলি যখন ক্লাস ফাইভে পড়ে তখন ঠিক হল ওরা সবাই মিলে কক্সবাজার বেড়াতে যাবে । মিলির বাবা যখন প্রথম কথা তুল্য । মিলির চোখে কেবলই সমুদ্র ভাসতে লাগল । মিলি ধরেই নিয়েছিল যে যাওয়া হচ্ছে সমুদ্র দেখতে । যেদিন ওদের যাওয়ার কথা ঠিক তার আগের দিন মিলির মা কল তলায় পড়ে গিয়ে ব্যাথা পান মাজায় ।
প্রথমে ভেবেছিল সামান্য ব্যাথা । রাতের ভিতর কোমরের নিচ থেকে একদম অবশ হয়ে যায় । মিলি দের যাওয়া বাতিল হয়ে যায় । মিলি যখন সেভেনে পড়ে মিলির মা বাথরুমের ফিনাইল খেয়ে মারা যায় । অচল জীবন তার কাছে অসহ্যের মত হয়ে গিয়ে ছিল ।
মিলির বাবা আবার বিয়ে করেন । তারপর থেকেই মিলি আবিষ্কার করতে শুরু করে যে পরিবারে তার অবস্থান তার মা মারা যাওয়ার সাথে সাথে কত দুরে চলে গিয়ে । প্রথম প্রথম এটা মেনে নিতে কষ্ট হলেও আস্তে আস্তে সব বুঝতে শেখে ও । সব কিছু মেনে নেয় ।
নতুন মায়ের সব কটাক্ষ সব অত্যাচারের কোন প্রতিবাদ আর করে নি । মিলি যখন ইন্টার পাশ করে উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার স্বপ্ন দেখছে তার বাবা বলল যে আর তার পড়ানোর ক্ষমতা নেই । আসলে কথাটা ছিল তার নতুন মায়ের । তিনি চাচ্ছেন না মিলিকে আর পড়াতে । মিলি কোন কথাই আর বলতে পারে নি । দরজা বন্ধ করে কেবল কেঁদেছিল ।

তারপর হঠাত্‍ করেই আবীরের সাথে ওর বিয়ে হয়ে যায় । কোন অনুষ্ঠান নাই কোন গান বাজনা নাই । কয়েকজন লোক এল খাতায় সই করলো । ব্যস । আর কিছু না ।
বিয়ের দিনই আবীর মিলিকে বাসায় নিয়ে আসে । মিলি যখন প্রথম আবীরের ঘরে ঢোকে একটু অবাক হয়েছিল । এবাড়িতে যে একটা বিয়ে হয়েছে এটা দেখে মনেই হচ্ছিল না । কেমন যেন একটা নিরবতা চারিদিকে । এমন কি বাসর ঘরও সাজানো হয় নি ।
মিলি তবুও ঘরে অপেক্ষা করছিল আবীরের জন্য । এমন একটা দিনের জন্য প্রত্যেক মেয়েই অপেক্ষা করে থাকে । বাসর রাতে স্বামী আসবে তার সাথে কথা বলবে সামনের দিনের জন্য স্বপ্ন দেখাবে ।
কিন্তু মিলির জীবনে সেই স্বপ্ন আর সত্যি হল না । সারা রাতে আবীর এলই না রুমে । অপেক্ষা করতে করতে মিলি কখন ঘুমিয়ে পড়ল নিজেই বলতে পারে । সকাল বেলা যখন মিলির ঘুম ভাঙ্গল তখন বেশ বেলা হয়ে গেছে । রুম থেকে বের হয়ে দেখলো আবীর ডায়নিং টেবিলে নাস্তা করছে । পরনে ফরমাল পোষাক !
মিলি অবাক না হয়ে পারলই না । মিলি ভাবতেই পারে নি যে কেউ তার বিয়ের পর দিন সকাল বেলা অফিস যেতে পারে ! আবীর চুপচাপ নাস্তা শেষ করলো । এমন একটা ভাব যেন মিলি এখানে উপস্থিতই নেই । কেবল যাওয়ার সময় বলল
-একা থাকতে পারবে ?
-জি ? জি পারবো ।
বিয়ের পর আবীর এই প্রথম মিলির সাথে কথা বলল ।
-ফ্রিজে সব কিছু রাখা আছে । ইচ্ছা হলে রান্না কর ।
আবীর দরজা খুলল যাওয়ার জন্য ।
-আপনি আসবেন দুপুরে খেতে ?
-না । আর আমি ছাড়া যেই আসুক দরজা খুলবে না । ঠিক আছে ?
-জি আচ্ছা !

তারপর থেকেই আবীরের সাথে মিলির কেমন সম্পর্ক হয়ে উঠেছে । ঠিক কাছেরও আবার দুরের ও । আবীর মিলির সাথে প্রয়োজনের অতিরিক্ত একটা কথাও বলেও না । মিলি কিছু জানতেও চায় না । কিন্তু মিলি আবীরের দিকে কেমন একটা আকর্ষন অনুভব করে । আবীর যেমন ওর কাছ থেকে একটা দুরুত্ব বজায় রেখে চলে তেমনি মিলি আবীরের দিকে ততটাই আকর্ষীত হয় । ওর আশে পাশে থাকতে ইচ্ছা করে সব সময় ।
এক সময় আবিষ্কার করে যে আবীরকে সে অসম্ভব ভালবাসে । আবীর ওকে ভালবাসুক বা না বাসুক কেবল ও বাসে । এভাবেই দিন চলে যাচ্ছিল । আবীর সব সময়ই কেমন মুখটা গম্ভীর করে থাকে । কখনও হাসে না ।

মিলির খুব জানতে ইচ্ছা করে আবীর কেন এমন করে থাকে ? নিশ্চই বড় কোন কারন আছে ।
থাকুক !
মিলি ঠিক করে রেখেছে ও কখনও আবীরের অতীতের কথা জিজ্ঞেস করবে না । মিলির অতীত নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই । কেবল আল্লাহর দোয়া করে যেন সামনের দিন গুলো ভাল হয় ।
কিন্তু এতো দিনে মিলির দোয়া পুরন হয় নি । তবে মনে হচ্ছে এবার হয়তো পুরন হবে । সত্যি হবে তো !

মিলি আনন্দ নিয়েই ঘরের কাজ করছিল । তার এখনও ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না যে আবীরের সাথে সে সত্যি কোথাও যাচ্ছে !!
এসব কথাই ভাবছিল ঠিক তখনই আবীরের ফোন এসে হাজির । মিলির বুকটা একটু যেন কেঁপে উঠল । আবীর কখনও অসময়ে ফোন করে না । আজ কেন করলো ?
মিলির মনে হল আজ মনে হয় আর যাওয়া হবে না । মিলির কেবলই মনে হল আবীর এখনই বলবে আজকে যাওয়া হচ্ছে না ।
মিলি খানিকটা কাঁপা হাতে ফোন টা রিসিভ করল ।
কিন্তু কোন কথা বলল না ।
আবীরই আগে কথা বলল
-চুপ কেন ?
-না এমনি !
মিলি কেবল ভয়ই পাচ্ছে যে আবীর এখনই বলবে যে আজ এদের যাওয়া হবে না । কেন যেন আবীরও কিছুক্ষন চুপ করে রইল । আবীর কে চুপ করে থাকতে দেখে মিলি নিজেই বলল
-কিছু বলবেন ?
-না কিছু না ।
-তাহলে ফোন দিলেন যে ? জরুরী কিছু ছিল বলার !
-আসলে ........ তোমার গোছগাছ হয়ে গেছে ?
মিলির জানে যেন একটু পানি এল । যাক এখনও পর্যন্ত সব কিছু ঠিক আছে !
মিলি বলল
-হুম ! হয়ে গেছে ! আ|পনি কখন আসবেন ?
-আসলে আমি..... মানে তুমি ঐ নীল রংয়ের সেলোয়ার কামিজটা পর ! ওটাতে তোমাকে সুন্দর লাগে !
মিলির সত্যি এবার খুব বেশি অবাক হল ! অনেক বেশি ! আবীর তাহলে ওকে লক্ষ্য করেছে এতোদিন ?
কিন্তু বলে নি কোন দিন !!
কেন বলে নি ?
একটু মুখ ফুটে বললে কি এমন হত !!
মিলির খেয়াল করলো এই সামান্য কথাতেই ওর চোখে পানি চলে এসেছে !
আবীর আবার বলল
-কি হল ? কোন সমস্যা ?
-না না ! কোন সমস্যা না । আপনি কখন আসবেন বলেন আমি রেডি হয়ে থাকব !!
-আচ্ছা ।
আবীর ফোন রেখে দেয় ! মিলি কিছুক্ষন কেবল চুপ করে বসেই থাকে ! আনন্দে ওর চোখ দিয়া পানি পরেই যাচ্ছে ।

ব্যাগ গোছাতে গোছাতে মিলির আবীরের জন্য একটা আকাশী রংয়ের সার্ট রের করে বিছানার উপর রাখে । আজ যখন ও আসবে ও বলবে যে এই শার্ট টা পরতে ।
প্রথমে হয়তো আবীর একটু অবাক হবে এই শার্ট দেখে ! এই শার্ট টা আবীর কিনে নি মিলি আবীরের জন্য কিনেছিল কিন্তু কোন দিন দিতে পারে নি । আজ দিবে !
কি হবে ?
একটা রাগ করবে ?
অথবা বলবে এসবের কি দরকার ছিল ?
কিন্তু মিলি আজ বলবেই ! আজ কেবল আবীর একবার আসুক !
মিলি আগ্রহ নিয়ে আপেক্ষা করতে থাকে !!!
কত কিছু বলার আছে !! কত কল্প কথা সাজানো আছে মনের ভিতরে ।সব বলবে !!
আসতে আসতে সব বলবে !!


সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৩
৩৬টি মন্তব্য ৩৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×