ব্লগে কিছু একটা হবে আর সেটা নিয়ে কোন প্যারা তৈরি হবে না সেটা তো হতেই পারে না । আগের বার যখন মডারেশন প্যানেল নিজেস্ব ভাবে প্রতিযোগিতার বিচারক নির্বাচন করেছিলো সেটা অনেকের পছন্দ হয় নি । আবার এইবার যখন মডারেশন ব্লগারদের মতামতের ভিত্তিতে বিচারক নির্বাচন করতে চাচ্ছে তখন সেখানেও কেউ একমত হতে পারছে না । নানা জনের নানা মত । আমরা বাঙালিরা আর কিছু না পারি এই মতামত দিয়ে দলে দলে বিভক্ত হতে পারি খুব ভাল ভাবে । তবে কোন চিন্তা নেই । এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমি নিয়ে এসেছি সহজ পদ্ধতিতে বিচারন নির্ণয়ের বেশ কয়েকটি পদ্ধতি । এর থেকেই যে একটি বাছাই করে নিলেই সমস্যা সমাধান হবে আশা করি ।
এআই পদ্ধতিঃ লেখা নির্বাচনের একটি পদ্ধতি হতে পারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স পদ্ধতি । এই পদ্ধতিতে প্রতিটা লেখা চ্যাট জিপিটিকে পড়তে দিতে হবে । এবং তাকে লেখার মান বিচার জন্য কমান্ড দিতে হবে । এআই নির্বাচন করবে সেরা লেখা । এই ক্ষেত্রে লেখা নির্বাচন হবে সব থেকে স্বচ্ছ । কোন ঝামেলা হবে না । কর্তৃপক্ষ এই পদ্ধতি নির্বাচন করতে পারেন ।
টিয়া পাখি পদ্ধতিঃ এই পদ্ধতি প্রতিটি লেখা প্রিন্ট করিয়ে ভাজ করে একটা বাক্সের ভেতরে এলোমেলো করে রাখতে হবে । তারপর তারপর একটা টিয়া পাখি ছেড়ে দিতে হবে । টিয়া পাখি তার ঠোঁটে যে কাগজ তুলবে সেই লেখাই হবে বিজয়ী । অথবা আরো সহজে আমার পোস্টে যে নম্বর দেওয়া আছে কাগজে সেই নম্বর লিখে টিয়া পাখির সামনে দিতে হবে । টিয়া পাখি যেটা নির্বাচন করবে সেটাই নির্বাচন করা হবে ।
লটারি পদ্ধতিঃ এটাও অনেকটা টিয়া পাখির মতই । ব্লগ কর্তৃপক্ষ ফেসবুক লাইভে এসে লেখার নম্বর সম্মলিত কাগজ তুলবে স্বচ্ছ কাচের জার থেকে । নম্বর মোতাবেক লেখা নির্বাচিত হবে ।
মারামারি পদ্ধতিঃ যারা যারা লেখা জমা দিয়েছে তাদের সবাইকে একটা ঘরের ভেতরে বন্ধ করা হবে । সবার হাতে দেওয়া হবে একটা করে লাঠি । এবার দরজা বন্ধ করে দিতে হবে । তারপর ঘরের আলোও বন্ধ করে দিতে হবে। সর্বশেষ যে তিনজন সোজা হয়ে দাড়িয়ে থাকবে তারাই হবে বিজয়ী । তবে কেউ যদি একাধিক লেখা জমা দেয় তাহলে তাদের হাতে সেই মোতাবেক লাঠি দিতে হবে । যেমন ব্লগার ইসিয়াক দিয়েছেন সম্ভব চারটা পোস্ট । তাকে দেওয়া হবে চারটা লাঠি ।
মার্বেল দৌড় পদ্ধতিঃ এই পদ্ধতিতে প্রতিযোগিতা অংশ নেওয়া সকল ব্লগারকে মুখে একটা চামচ এবং তার উপর মার্বেল নিয়ে দৌড়াতে হবে । যে তিনজন ব্লগার সবার আগে পৌছাবেন তারাই হবেন বিজয়ী । অবশ্যই মার্বেল পড়লে চলবে না। এখানেও যে ব্লগার যে কয়টা পোস্ট দিয়েছেন তাদের চামচে সেই কয়টা মার্বেল দেওয়া হবে ।
পাতা পদ্ধতিঃ এই পদ্ধতিতে প্রতিটি লেখার নম্বর আলাদা কাঠাল পাতায় লিখে ঝুলিয়ে রাখতে হবে । এরপর একপাল ছাগল এনে ছেড়ে দিতে হবে । সর্ব শেষ বেঁচে যাওয়া তিনটি পাতা কিংবা সর্ব শেষে তিনটি পাতা খাওয়া হবে সেই নম্বরের পোস্ট গুলোই বিজয়ী হবে ।
ভোট পদ্ধতিঃ ব্লগারদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে সেরা তিন লেখা । তবে এখানে এখানে অবশ্যই ভোটারের মত প্রার্থীও অজানা থাকবে । প্রতিটি লেখা থাকবে খামের ভেতরে । তবে খামের বাইরে কিছু লেখা থাকবে না । ব্লগারটা খামের উপর ভোট দিবেন । যে খাম সব থেকে বেশি টিক পড়বে সেটাই বিজয়ী হবে । বিজয়ীর পরে খাম খোলা হবে এবং দেখা হবে যে সেটা কার লেখা !
অপু তানভীর পদ্ধতিঃ এই পদ্ধতিতে বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব একান্ত ভাবে অপু তানভীরকে দেওয়া হোক । সে তার সকল প্রাক্তন বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাব্য প্রেমিকাদের নিয়ে একটা মিটিংয়ের মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচন করবে ।
আমি জানি উপরের বর্ণিত সব পদ্ধতিই খানিকটা হাস্যকরই বটে যা গ্রহনযোগ্য নয় ।
আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে ব্লগ কর্তৃপক্ষ নিজেস্ব ভাবেই প্রতিযোগিতার বিচারক নির্বাচন করুক । সবাইকেই যে সেটা নিয়ে খুশি হবে ব্যাপারটা এমন না । ব্লগ কর্তৃপক্ষ তো আর কাচ্চি বিরিয়ানি নয় যে সবাইকে খুশি করতে পারবে। তারা হয়তো আন্তরিকতার সাথেই ব্লগারদের মাঝ থেকে বিচারক নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন তবে ব্যাপারটা যে মোটেই সহজ কিছু না সেটা তো এখন পরিস্কার হয়েছে । আর সত্যি বলতে কি নিরোপেক্ষ ভাবে লেখা নির্বাচন করতে হলে ব্লগারদের ভেতর থেকে কাউকে না নেওয়াই ভাল । এমন কাউকে এই কাজে যুক্ত করা দরকার যে ব্লগারদের চেনেন পর্যন্ত না । সে কেবল লেখা পড়বে । লেখা পড়ে লেখার মান বিচারে লেখা নির্বাচন করবে ।
যাই হোক আমার ঘুমানোর সময় হয়ে গেছে অলরেডি পার হয়ে গেছে । আর জেগে থাকা যাচ্ছে না । শুভ রাত্রি ।