somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

থ্রিলার নাকি রহস্যপন্যাস - নিঃশব্দ শিকারী (বুক রিভিউ)

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৯ রাত ১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :






ঈদ থেকে এই পর্যন্ত কত গুলো বই শেষ করেছি বলতে পারব না । বলা যায় অনেকটা গতিতেই পড়েছি । তবে আবার এত দ্রুত না । আসলে অনেক গুলো বই জমে গিয়েছে বলেই একটু তাড়াতাড়ি পড়েছি । কিন্তু রিভিউ লিখিনি । আজ একটার লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে ।

বইয়ের নাম হচ্ছে নিঃশব্দ শিকারী, লেখক জুলিয়ান । বইয়ের নাম শুনে প্রথমে ভেবেছি যাক ভাল একটা থ্রিল পাওয়া যাবে । যদিও আমি বইয়ের উপর কোন রকম আশা রাখি না । চেষ্টা করি সব সময় একদম শান্ত মন নিয়ে বই পড়ি । মাথায় কিছুই নেই না তখন, কারন বইয়ের প্রতিটি অক্ষর তখন আমার কাছে গুরুত্বপূর্ন ।

তাই বইটির একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছি । খুব মনোযোগ দিয়ে । বইয়ের কাভার দেখে মনে হয়েছে বইটি কিছুটা বড় হবে । সেটা নয় মাত্র ১১২ পৃষ্ঠার একটা বই । বইয়ের শুরুতেই একটা বিশাল ভূমিকা । সেখানে লেখক তার কর্মযজ্ঞের বর্ননা দিয়েছেন । এই বই লেখার পিছনের গল্প বলেছেন । তবে এখানেই গোলমাল শুরু ।

তিনি এই বইটির চেয়ে তার একটা স্বপ্নের কথা বলেছেন বই নিয়ে । তিনি অন্য একটি বই লিখছেন যেটা তার স্বপ্নের প্রজেক্ট । এভাবেই তিনি বর্ননা করেছেন । তখন ই প্রশ্ন আসল তাহলে এই বইটি তিনি কি শুধু শুধু এমনি লিখেছেন । খেয়ালের বসে লিখে ফেলেছেন আস্ত এক থ্রিলার। বাহ ভাবা যায় ।

যাইহোক ভুমিকা শেষ করলাম । এরপর বই শুরু । গল্পের একটা ছোট অংশ দিয়ে বইটি শুরু হয়েছে । কিন্তু সেখানে কাহিনী কিছুটা ঘোলাটে । যাইহোক রহস্যের বই এটা তো হবেই । তবে তিনি আমাজনের কথা বলেছেন এই রহস্যময় জায়গাতে, সেখান থেকে সোজা চলে এসেছেন বাংলাদেশে । এটা কোন সমস্যা নয়, তবে বাংলাদেশে এসেই খুন করে দিলেন একজন ব্যবসায়ী কে । সেটার তদন্তের জন্য ঢাক পরল এক শখের গোয়েন্দার ।

আর এখানেই ভুলটা করলেন । এত বড় ব্যবসায়ী খুন হলে মিডিয়া জানবে কিন্তু মিডিয়া জানলো না । আচ্ছা বাদ দেই মিডিয়া জানলী না, শখের গোয়েন্দাদের সাহায্য নিল পুলিশ । ছোটখাটো কেসে মানা যায় । যাইহোক এই গোয়েন্দা আগেও পুলিশ কে অনেক সাহায্য করেছে । তাই তার ঢাক । সেই গোয়েন্দার সাথে আবার তার এক সহকারীও আছে । তবে সেই সহকারী আবার শুধু নাম মাত্র তার কোন রোল নেই বললেই চলে ।

সেই শখের গোয়েন্দা গেলো ব্যবসায়ীর বাড়ি ঘর দেখতে । ক্ল খুজতে খুজতে পেয়ে গেলো । একদিনেই মাথায় কেস সলভ । এতো সিআইডির অফিসারদের প্রধান হবার যোগ্য ।

একটু পিছনে ফিরে যাই । বলে ছিলাম আমাজনের কথা । সেখানে কি রহস্য আছে বা কিভাবে সেখান থেকে লোকজন ফিরে এসেছে সেটা তিনি বর্ননা করেনি । একটা ঘোলেটে অবস্থা রেখে দিয়েছেন । গল্পের সিকুয়েন্স একদম নেই বললেই চলে । কিভাবে তিনি বইটি শেষ করেছেন সেটা তিনি ই ভাল জানেন ।

সত্যি বলছি, তিনি থ্রিলার লিখেছেন কিন্তু থ্রিলার নিয়ে আগে কোন গবেষনা ই করেনি । এটা আমার মত, কারন থ্রিলারের টানটান উত্তেজনার দরকার নেই আপনি যদি কাহিনীতে টুইষ্ট দিতে পারেন । লেখক সত্যি একটা দারুন প্লট পেয়েছিলেন । এখানে দুর্ভাগ্যটা কার সেটাই ভাবছি । মনে হয় আমার । নয়ত এই বই আমার সামনেই পরবে কেন ।

বইয়ের আরও একটা বিষয় খারাপ লেগেছে । এর লেখার ফ্রন্ট । মনে হয়েছে পৃষ্ঠা বাড়ানোর জন্য ফ্রন্ট বড় বড় করে লেখা হয়েছে । যেটা একদম বেমানান । জানি না প্রকাশনী বা প্রকাশক কি ভেবে এই ফ্রন্ট ব্যবহার করেছেন । তবে সত্যি বলতে নতুন হিসেবে লেখক যেটা চেষ্টা করেছেন সেটা হয়নি । তিনি চাইলে আরও সুন্দর করে গোছাতে পারতেন । কেন জানি মনে হচ্ছে তাড়াহুড়ো করে লিখেছেন ।

সবশেষে বলব, আমি বই বোদ্ধা নই । আমার কাছে যা মনে হয়েছে সেটাই আমি বর্ননা করেছি ।

#হ্যাপি_রিডিং

বইঃ নিঃশব্দ শিকারী
লেখকঃ জুলিয়ান
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৯ রাত ১:০৭
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×