আমি সব সময়ই ঘুরতে ভালবাসি । কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অর্থ বা টাকা যেটাই বলুন না কেন । আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের ভ্রমনের শখ থাকলেও সেটা পূরন করা অনেক সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় । সেটা যাই হোক তাও ভ্রমনের নেশা যখন আছে সেটা তো পূরন করতেই হবে । তাই সেটার জন্য কিভাবে কাজ করতে হবে সেটা তো নিজের উপর ই ।
যাইহোক, দেশের বাইরে ভ্রমন বা পড়তে যাওয়ার ইচ্ছে আছে । এখনও আছে । যদি সুযোগ হয় দেশের বাইরে পড়তে যাবো । আপাতত ভ্রমন পর্বে ফিরে আসি । ইন্ডিয়া ভ্রমনের ইচ্ছে অনেক দিনের । তবে এখানে মজার ব্যাপার হচ্ছে, কলকাতা ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল না । দার্জিলিং যাওয়ার ইচ্ছে ছিল । কিন্তু বর্ষার সময় হওয়াতে সেই রিস্কটা আর নেইনি ।
ভিসা করলাম অনেক আগেই । প্রায় এক বছর । তার মধ্যে কয়েক বার তারিখ পরিবর্তন হয়েছে । কারন বিভিন্ন ঝামেলায় আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি । সব শেষে আমি আর আমার বন্ধু ঠিক করলাম এবার যেতেই হবে । যেভাবেই হোক । তাই প্ল্যান করলাম । কয়দিন থাকব কোথায় যাবো । কিভাবে যাবো । সব মিলিয়ে দেখালাম আমাদের জন্য কলকাতাই বেস্ট । তাই ঠিক হলো কলকাতা যাবো ।
সেই অনুযায়ী বাসের টিকিট কাটা হলো । দিন তারিখ অনুযায়ী আমরা বাংলাদেশ থেকে শুক্রবার রাতে রওনা হবো আর ইন্ডিয়া থাকবো শনিবার । অফিস থেকে ছুটিও নেয়া হলো । এবার ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পরা । তার আগে কিছুটা কাজ শেষ করলাম । তারপর ব্যাগপত্র গুছিয়ে বাসে যাত্রা শুরু ।
শুক্রবার রাতে ১১ঃ৩০ মিনিটে বাসে উঠে বসলাম । শুরু হলো আমাদের যাত্রা অবশেষে । রাস্তা ফাকা থাকার কারনে বাস এগিয়ে যাচ্ছিল তার নিজস্ব গতিতে । আরিচার অনেক আগে একটা ট্রাক দুর্ঘটনা ঘটে । আর আমাদের কপালেও শুরু হয় দূর্ভোগ । সেখানে এক ঘন্টা নষ্ট । এরপর আরিচা ঘাটে । ঘাটে এসেই বাস দাঁড়িয়ে গেল । কি আর করা দিলাম ঘুম । ঘুম থেকে উঠে দেখি বাস ফেরিতে উঠেতেছে । তখন সকাল ৬ টা ।
যাইহোক ফেরি পার হয়ে উঠলাম । রাতের বিরিয়ানি হজম হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই । বাস থামবে একটা হাইওয়ে রেস্ট্রুরেন্ট এ । থামল । আমি আর আমার বন্ধু দুজনেই নামলাম । নাস্তা করলাম । বিল যখন আসল তখন দুজনের চোখ উপরে উঠে গেলো । দুজনে দুটো পরোটা আর ডাল খেয়েছি বিল দিয়েছি ১১৫ টাকা ।
যাইহোক গলা যখন কাটবেই ভালো ভাবে কাটো । এরপর আবার চলা শুরু । বেনাপোল পৌছুতে পৌছুতে ঘড়ির কাটা ১২ঃ৩০ ছুয়ে ফেলেছে । এখন আবার পোর্টের ঝামেলা নিতে হবে । যাইহোক সেটা বাসের লোকেরাই করে দিলো । যেহেতু সরাসরি টিকিট কেটেছি । বাংলাদেশের পোর্ট সহজেই পার হলাম । কোন ঝামেলা হলো না । এটা ভাল লেগেছে । তবে আমাদের পেছনে একজনের ভিসা ও পাসপোর্টের ঝামেলা হয়েছে । তারপর তারা টেবিলের নিচ দিয়ে পার হয়ে গিয়েছে । সেটা আর নাই বলি ।
এরপর ইন্ডিয়ান ইমিগ্রেশন এ ঢুকতেই ১০০ টাকা নিয়ে নিল । বুঝলাম না কেন নিল । এটাই নাকি নিয়ম । ব্যাগ স্ক্যান করে ঢুকলাম । ইমিগ্রেশন অফিসার পাসপোর্ট ভিসা দেখে বললেন, ঘুরতে এসেছেন । আমি বললাম জ্বী । তারপর কি সেটা পার হয়ে একদম গেটে । অবশেষে ইন্ডিয়াতে পা রাখলাম ।
(চলবে)
বিঃদ্রঃ এখানে কিছু কথা বলে রাখা ভালো যে, এটা আমার সম্পূর্ন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বর্ননা করছি । ভুলত্রুটি মার্জনীয় ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:২৬