“গাহি সাম্যের গান-
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান!
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্ম জাতি,
সব দেশে, সব কালে, ঘরে ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।
- কাজী নজরুল ইসলাম”
পৃথিবীর সৃষ্টি কবে, কোথায় এবং কখন। প্রশ্নও তো অনেক করা হয়, বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সংজ্ঞা একরকম আবার ধর্মের ক্ষেত্রে সংজ্ঞা একরকম। কেউ বার ধর্ম দিয়ে বিজ্ঞানকে বুঝতে চায়, কেউ বার বিজ্ঞানের মাঝেই ধর্মকে খুজে পায়। তবুও পৃথিবীর ঘুর্ণন বা এই পৃথিবীর শুরুর কথা আসলেই একটি রহস্য। এখন পর্যন্ত মিথ, ধর্ম, বিজ্ঞান সব কিছুতেই পৃথিবীর ব্যাখ্যা এসেছে। সবাই তার নিজস্ব ধারায় ব্যাখ্যা করেছে এই পৃথিবীকে। এখান উল্লেখ করার বিষয় হচ্ছে, সবাই এই পৃথিবীকেই ব্যাখ্যা করেছে, কেউ অন্য কোন গ্রহ উপগ্রহকে ব্যাখ্যা করেনি।
সূর্য কে কেন্দ্র করেই পৃথিবীর ঘূর্ণন সম্পন্ন হয়ে থাকে। আমরা যদি একটু পেছন ফিরে দেখি তবে সেই সময়ে বিজ্ঞান এত বেশি অগ্রসর নাহলেও বিজ্ঞান, ধর্ম ও মিথের একটা যোগসাজশ দেখতে পাই। কোন এক জায়গাতে বলা হয়েছে পৃথিবী থালার মত, যা চারটা হাতি পিঠে করে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, আর হাতি গুলো দাঁড়িয়ে আছে বড় কচ্ছপের পিঠে, কিন্তু কেউ এই প্রশ্ন করেনি কচ্ছপ কোথায় আছে।
ধর্ম, বিজ্ঞান, মিথ যাইহোক না কেন সব কিছুর আবর্তন হয়েছে এই পৃথিবীকে ঘিরে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার বিজ্ঞান, ধর্ম এবং মিথ এই তিন একে অন্যের পরিপূরক হয়েছে। সব কিছুকে একটা সুতোতে গেথে নিয়েছে। তবে কিনা এই জায়গাতেও আজও মিথ নিজেকে সমুজ্জল করে রেখেছে। যার ব্যাখ্যা হয়ত অদূর ভবিষ্যতে পাওয়া যাবে।
একটু প্রসঙ্গ থেকে সরে যাই, কবির শক্তি কোথায় কেউ যদি প্রশ্ন করে তবে আমার মনে হয় কবির শক্তি ছন্দ বা কাব্য রচনায় নয়। কবির শক্তি হচ্ছে তিনি লেখনীর কতটা গভীরে যেতে পেরেছেন। নিজেকে কতটা ভাবে উজাড় করে লিখেছেন। আর যখন লিখেছেন তিনি সেই লেখার গভীরে নিজেকে কতটা স্থাপন করেছেন।
শুধু ছন্দ, পদ্য আর কাব্য কবিতা রচনা নয়, পাঠকের চিন্তার মধ্যে কবিতাকে নিয়ে যাওয়াও কবির কাজ। পাঠকের চিন্তাকে ত্বরান্বিত করতে পারলেই কবির সার্থকতা। আর পাঠক যদি কবিতার গভীরে প্রবেশ করতে সক্ষম হয় তবে কবিতার সার্থকতা। এখানে কবি ও কবিতা দুজনেই সার্থক।
এবার আসি পৃথিবীর শুরু এবং আজ পর্যন্ত ধর্ম, বিজ্ঞান, মিথ ছাড়াও কবিতা ছিল। যা মানুষের ভাবনাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। মানুষের চিন্তাকে ত্বরান্বিত করে ভাবতে বাধ্য করেছে। আর সেকারণে যুগে যুগে শ্লোক, কবিতার মাধ্যমে পৃথিবীর ইতিহাস বর্ণনা করা হয়েছে। আমরাও ঠিক সেই জায়গাতেই দাঁড়িয়ে আছি।
“বল বীর-
বল উন্নত মম শির!
শির নেহারি আমারি,
নতশির ঐ শিখর হিমাদ্রির -!”
“বিদ্রোহী” এই কবিতার সাথে ওতোপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে যার নাম তিনি আর কেউ নন “কাজী নজরুল ইসলাম” । কবি যখন এই কবিতা লিখেছেন পেছন ফিরে দেখলে এই কবিতার বয়স ১০২ বছরের উপরে হয়েছে। আমরা দেখতে পাই এই কবিতাটি লেখা হয়ে ১৯২১ সালের ডিসেম্বেরে। তো এই বিদ্রোহী লেখার পেছনের গল্পটি কি। অথবা তিনি যখন এই কবিতা লিখেছেন তখন কি তিনি জানতেন ১০২ বছর পরেও এই কবিতা মানুষকে উজ্জিবীত করে তুলবে।
এই বিদ্রোহী কবিতাটিকে কবি আসলে নিজেকেই নিজে তুলে ধরেছেন। তিনি নিজেকে দেখতে চেয়েছেন এই কবিতার মাধ্যমে। অথচ তখন কবির বয়স মাত্র ২২ বছর। কবিতাটি তিনি এক রাতে লিখে শেষ করেছিলেন। হ্যা, এক রাতে এক বসায় পেন্সিল দিয়ে লিখেছিলেন “বিদ্রোহী”। লাইনের কথা বলতেই হয় ১৫০ লাইন। ভাবতেও অবাক লাগে যে এত দারূণ লেখনীর সংযোগ কবি কিভাবে ঘটিয়েছেন। এরচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে কবি এত বেশি পরিমানে শিক্ষিত ছিলেন না। কিন্তু “বিদ্রোহী” কবিতার গভীরতা কিন্তু সুবিশাল।
“ইকরা” ও “কুন”
আরবিতে “ইকরা” মানে হচ্ছে পড়ো। মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) যখন নবুয়াত প্রাপ্ত হলেন, তখন তাকে প্রথমেই বলা হয়েছি। “ইকরা” মানে পড়ুন বা পড়ো। তার মানে আমরা বুঝতে পারি ইসলামে পড়ার ব্যাপারে কতটা গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আবার “কুন” মানে হচ্ছে “হওয়া” । কোন কিছুর এক আদেশে হওয়া ব্যাপারটাকে আমরা “কুন” বলতে পারি। সেক্ষেত্রে দেখা যায়, ইসলাম ধর্মের যেই পথ রয়েছে তাতে পড়া এবং হওয়া দুটো ব্যাপারই জড়িত।
“সিদরাতুল মুনতাহা”
মহানবী যখন মেরাজে গিয়েছিলেন তখন তিনি বস্তু আর চেতনার সীমানায় একটি বড় বিস্তৃত ও রহস্যময় গাছ দেখতে পেয়েছিলেন। এই গাছটি তাকে দেখিয়েছিলেন ফেরেশতা জিব্রাইল (আঃ) । এই গাছটির নাম হচ্ছে “সিদর” যার অর্থ “বড়ই গাছ” । এই গাছটি একদম সপ্তম আসমান পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। যার অর্থ করলে দাঁড়ায় গাছটি প্রথম থেকে একদম সপ্তম আসমান পর্যন্ত ছড়িয়েছিল। আর এই গাছটির পরে কোন মানুষ বা ফেরেশতা অতিক্রম করতে পারবে না। তাদের সেই ক্ষমতা নেই।
তবে মহানবী এই গাছের পর অতিক্রম করার অনুমতি পান। তিনি একমাত্র এই গাছ কে অতিক্রম করে তার পরে কি আছে দেখতে পান। এই গাছটির পরে রয়েছে অবিনশ্বর জগৎ। সিদরাতুল মুনতাহা এর গোড়ার অংশ থেকে চারটি নদীর ধারা প্রবাহিত হয়েছে। যাদের মধ্যে দুটি পৃথিবীতে বাকি দুটি সেই অবিনশ্বর জগতে। পৃথিবীতে প্রবাহিত হওয়া দুটি নদী হচ্ছে ফোরাত এবং নীলনদ। আর অবিনশ্বর জগতে নদী দুটি হচ্ছে “হাউজে কাউসার” যা হাশরের মাঠের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে এবং “সালসাবিল” যা জান্নাতুল মাওয়ার দিকে প্রবাহিত হচ্ছে।
“চন্দ্র সূর্য্য গ্রহ তারা ছাড়ি’
ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া,
খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া
উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ব-বিধাত্রীর!”
এই যে নবীর আরশে উঠে যাওয়া বা খোদার কাছে চলে যাওয়া এটাকে কবি তার কবিতায় তুলে এনেছেন। আবার সেই সাথে এটাও বর্ণনা করেছেন যে একই সাথে পুরানের মতে এই লাইনের অর্থ করলে অন্য কিছু দাঁড়াবে।
এখানে হিন্দুদের দেবতা বিষ্ণু বামন অবতারের কথা বলা হয়েছে। ঘটনা সংক্ষেপে বললে, এক রাজা ক্ষমতা লাভের আশায় যোজ্ঞ শুরু করলে বিষ্ণু তার সামনে আসেন। তিনি অসীম ক্ষমতা চাইলে তার বিপরীতে বিষ্ণু যা চান তাই দেয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। বিষ্ণু ভগবানও তাকে ক্ষমতা দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তবে তার বদলে বিষ্ণু তিন পা রাখার জায়গা চান।
রাজা ভাবেন এই আর এমন কি। কিন্তু এর শেষটা ভয়াবহ, বিষ্ণুর তৃতীয় পা রাখতে গিয়ে তিনি এত বড় হয়ে যান যে তা পা রাখার জায়গা হচ্ছিল না। তিনি বড় হতে হতে একদম পুরো পৃথিবী ছেড়ে উপরে দিকে উঠে গিয়েছিলেন।
"আমি ব্যোমকেশ,ধরি বন্ধন-হারা ধারা গঙ্গোত্রীর।"
এই ব্যোমকেশ কোন গোয়েন্দা না। হিন্দুদের দেবতা শিবের আরএক নাম হচ্ছে ব্যোমকেশ। আর গঙ্গা হচ্ছে হিন্দুদের পবিত্র নদী। গঙ্গা সব পাপ ধুয়ে দেয় এমনটাই বিশ্বাস হচ্ছে হিন্দু ধর্মে। যখন পৃথিবীতে গঙ্গার ধারাকে বজায় রাখতে শিব তার চুলের মাধ্যমে গঙ্গাকে আটকে দেন। মিথোলজিক্যাল ভাবে বলা যায় যে শিব দেবতাদের ভেতর অন্যতম যিনি শক্তির দিক থেকে সবার উপরের দিকে রয়েছেন।
"আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি।"
পুরো বিদ্রোহী কবিতা জুড়ে আপনি অনেক লাইন পাবেন তবে এই লাইনের ব্যাখ্যার কথা যদি ধরতে হয় তবে দেখতে পাবেন। এখানে দুটি ঘটনা এক সাথে সমান্তরাল ভাবে দেখানো হয়েছে। মুসলিমদের জন্য যেটা জাহান্নাম সেখানে আগুন আছে আবার হিন্দু ধর্মের নরকে আগুন। আগুন কিন্তু ধ্রুব রয়েছে। সেটা পরিবর্তি হয়নি।
আমরা এখানে দুটি ঘটনার দেখতে পাই যা হচ্ছে মুসলিমদের জন্য, যখন ইব্রাহিম (আ) কে আগুনে নিক্ষেপ করা হল তখন তিনি আল্লাহ কাছে নিজে সম্পর্ন করলেন। তিনি জানতেন যে একমাত্র আল্লাহ যিনি সর্বশক্তিমান তিনি তাকে রক্ষা করবেন।
আবার আমরা হিন্দুদের পুরাণে লক্ষ্য করলে দেখি যে, বিষ্ণু ভক্ত প্রহ্লাদও আগুনে অক্ষত ছিলেন। তাকে আগুন স্পর্শ করতে পারেনি। দেখুন দুটি ঘটনার ভেতর কিন্তু বেশ সুন্দর ভাবে একটা সংযোগ দেখানো হয়েছে।
"আমি আর্ফিয়াসের বাঁশরী"
"মম বাঁশরীর তানে পাশরি
আমি শ্যামের হাতের বাঁশরী।"
গ্রীক দেবতা হচ্ছেন আর্ফিয়াস। তিনি সুন্দর ভাবে বাশি বাজাতে পারতেন। সেই বাশির সুর সবাইকে মুগ্ধ করত। তিনি ভালবাসতেইন ইরিডিয়াস কে, যার জন্য তিনি পাতাল নগর পর্যন্ত ঘুরে এসেছেন।
আবার দেবতা কৃষ্ণর ছিল বাশির শক্তি। দেবতা কৃষ্ণ কিন্তু আবার বিষ্ণুর অবতার। কৃষ্ণও খুব সুন্দর বাশি বাজাতে পারতেন। সেই বাশির সুর আকাশ বাতাস প্রকৃতি মানুষ সবাইকে মুগ্ধ করেছে। তিনিও ভালবাসতেন রাধাকে।
এই যে এখানেই কিন্তু একটি সুন্দর ছোট সংযোগ আমরা দেখতে পাই মুসলমানদের ইস্রফিলের শিঙ্গার সাথে। এখানেও বাশির একটা উদাহরণ রয়েছে। তবে সেটাকে আমরা শেষ দিনে বা পৃথিবীর শেষ দিনের জন্য সেই দিনের অপেক্ষায় রয়েছেন ইস্রাফিল (আ)।
“আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান-বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন”
এই একটা লাইনের কারণে নজরুলকে অনেক রোষানলে পরতে হয়েছিল। ভগবানের বুকে পদ চিহ্ন একে দেবার সাহস এক তুচ্ছ কবির। এটা তো মেনে নেয়া যায় না। অথচ জ্ঞানের ভান্ডারে যদি নজরুলের গভীরতা থাকত তবে না সে দেখতে পেত এর মানে।
সাধারণ অর্থে এই লাইনটি যে কাউকে কিছুটা হলেও বিভ্রান্ত করতে পারে। তবে এই লাইনটি গভীরতা অনেক বেশি। বিদ্রোহীর ঠিক শেষ দিকের লাইন এটি। এখানে সাধু ভৃগুর কথা বলা হয়েছে, যিনি ক্রোধের বশবর্তি হয়ে ভগবানের বুকেই লাথি মেরে ছিলেন।
“বিদ্রোহী রণক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত”
নজরুল যেই বিদ্রোহ শুরু করেছিলেন, সেটাকে তিনি নিজেই শেষ করেছেন। তিনি শান্ত হতে চেয়েছেন। হয়ত এর মাধ্যমে তিনি দেখাতে চেয়েছেন যে নিজের সাথে বিদ্রোহে তিনি অনেক বেশি ক্লান্ত। কারণ তিনি নিজেই ছিলেন এক সময় সৈনিক। তাই তিনি শান্ত হয়ে যেতে চেয়েছেন।
“আমি খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন আমি চির-বিদ্রোহী বীর--
বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির-উন্নত শির!”
সকল কিছুর শেষ হয়, সব কিছু নতুন ভাবে শুরু হয় আবার সেখান থেকেই। মাথা উচিয়ে চলার জন্য অনেক সময় আমাদের ভিন্ন পথে হাটতে হয়। তবুও বিদ্রোহী রণে ভঙ্গে দেয় না। তারা বিপ্লবী, তারা জয়ী যারা এই চির বিদ্রোহ ধরে রাখে।
আরিফ রহমানের লেখা “বিদ্রোহী পুরাণ” নিয়ে লিখতে গেলে আরও লেখা আসবে। আসবে কাজী নজরুল ইসলাম। পুরাণের সাথে লেখা বিদ্রোহীর যে সম্পর্ক দেখিয়েছেন তাতে খুব কম মানুষ এই কবিতা নিয়ে ভেবেছিলেন। অথচ এই কবিতার পর নজরুল কে রোষানলে পরতে হয়েছিল। তিনি চির উন্নত শির এর মত মাথা নোয়াননি।
কবিতাটি নিষিদ্ধ করার মত অবস্থা হলেও নিষিদ্ধ করা হয়নি। তবে যারা এই কবিতা ছাপাতে চেয়েছিল তাদের পত্রিকা জব্দ করা হতো। এমন কি ওনার ভাব ও ছন্দ চুরির অভিযোগ উঠেছিল। তবে নজরুল তো নজরুল। তার লেখা বোঝা অনেক কঠিন।
বইটির শুরু দিকে কিছু গম্ভীর ভাবে শুরু হলেও ধীরে ধীরে প্রতিটি লাইন, ও শব্দের ব্যাখ্যা যেভাবে পুরাণ, ও ধর্মের সংযোগ উঠে এসেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না যে লেখা বেশ গবেষণা করেছেন।
নজরুলের দর্শন বোঝা অনেক কঠিন একটি কাজ। তিনি শিক্ষিতদের তালিকায় সেভাবে পরেন না। অথচ তার লেখার গভীরতা ও তার লেখা দর্শন অনেক বড় বড় লেখার চেয়েও গভীর। তিনি যেন নিজেকেই তুলে ধরেছেন। নিজেকেই ভেঙেছেন আবার নিজেকেই গড়েছেন। তিনি সব সময় সমুজ্জল তার লেখায়।
বিদ্রোহী কবিতায় তিনি নিজেকে দেখেছেন। নিজেকেই ভেঙ্গেছেন আবার তিনি নিজেকেই বলেছেন। এ যেন নিজের সাথে নিজের বিদ্রোহের কথা। তিনি ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।
তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে সব সময়।
“আমি উত্থান, আমি পতন, আমি অচেতন-চিতে চেতন
আমি বিশ্বতোরণে বৈজয়ন্তী, মানব-বিজয়-কেতন!”
বইঃ বিদ্রোহী পুরাণ
লেখকঃ আরিফ রহমান
প্রকাশনঃ পেন্ডুলাম
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০১