somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অলিম্পকের স্টেডিয়ামগুলো

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এবারের অলিম্পিকের উদ্বোধন এবং স্টেডিয়াম নিয়ে বাঁকা মন্তব্য করছেন সমালোচকরা। বিশ্ববাসী একটু হতাশ হলেও, অলিম্পিক প্রতিবারই ছাড়িয়ে যায় নিজেকে। এবার দেখে নেবো বিগত কয়েকটি অলিম্পিক স্টেডিয়ামের খবর...

অলিম্পিক আসরগুলোর মধ্যে যেগুলো নজর কেড়েছে তার মধ্যে বেইজিং অলিম্পিক ২০০৮ অন্যতম। চীনের জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ এর আসর। এই স্টেডিয়ামের ডাক নাম হলো বার্ডস নেস্ট বা পাখির বাসা। ২০০৩ এর ডিসেম্বরে এর কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০০৮ এর জুনে। আর এটি তৈরীতে মোট খরচ হয় ৪২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এমনিতে এর ধারণক্ষমতা ৮০হাজার হলেও ২০০৮ অলিম্পিকের সময় ৯১ হাজার দর্শক উপভোগ করেছিলো খেলা।

অলিম্পিকের জন্মস্থানে অলিম্পিক ঘুরে এসেছিলো ২০০৪ সালে। ১৮৯৬ এ প্রথম অলিম্পিকের ম্যারথন বিজয়ী স্পাইরোস লুইসের নামানুসারে এথেন্সের এই স্টেডিয়ামটির নাম রাখা হয় স্পাইরোস লুইস স্টেডিয়াম। ১৯৭৯ সালে কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ১৯৮২ সালে। এরপর অবশ্য ২০০৪ অলিম্পিককে সামনে রেখে পুণ:নির্মান করা হয় স্টেডিয়ামটির। তাতে খরচ হয় ২৬৫ মিলিয়ন ডলার। আর এর ধারণ ক্ষমতা ৭৫ হাজার।

খেলা প্রেমীদের চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছিলো যে অলিম্পিক সেটা হলো ২০০০ সিডনী অলিম্পিক। এ এন জেড স্টেডিয়াম বা স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়ার কাজ শুরু হয়েছিলো ১৯৯৬ সালে। ৬৯০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে খুলে দেয়া হয় ১৯৯৯ এর মার্চে। চোখ ধাঁধানো এই স্টেডিয়াম অস্ট্রিলিয়ায় সিডনী অলিম্পিকে দর্শক ছিলো ১ লাখ দশ হাজার যা মূল ধারণ ক্ষমতার প্রায় ৩০ হাজার বেশি।

১৯৯৬ আটলান্টা অলিম্পিক অনিুষ্ঠিত হয়েছিলো সেন্টেনিয়াল অলিম্পিক স্টেডিয়ামে। ২০৭ মিলিয়ন ডলার খরচ করে এই স্টেডিয়ামটি তৈরী করতে সময়র লেগেছিলো পাক্কা তিন বছর। সেন্টেনিয়াল স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা ৮৫ হাজার।

বিশ্ববাসী আরেকটি ভুবন ভুলানো অলিম্পিক উপভোগ করেছিলো ১৯৯২ সালে। স্পেইনের বার্সেলোনা অলিম্পিক স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগ করেছিলো প্রায় ৫৬ হাজার দর্শক। ১৯২৭ সালে এই স্টেডিয়ামটি তৈরী হলেও ১৯৮৯ সালে নতুন করে আবার সাজানো হয়েছিল বার্সেলোনা অলিম্পিক স্টেডিয়ামকে।

এবারে ২০১৬ ব্রাজিল অলিম্পিক। রিও ডি জেনিইরোতে অবস্থিত স্তাদিও জার্নালিস্তা মারিও ফিলহো তে অনুষ্ঠিত হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ১৯৫০ সালে স্টেডিয়ামটি চালু হলেও ২০০৬ এ পুণ:নির্মান করা হয় এটি। আর অলিম্পিকের আগে আরো একবার সাজানো হবে এই স্টেডিয়াম। বিশ্ববাসী এখন তাকিয়ে আছে নতুন এক চমকের দিকে। তবে যত যাই হোক না কেন, অলিম্পিক প্রতিবারই ছাড়িয়ে যায় নিজেকে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×