somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য প্রতিযোগিতা: পড়েছি ধরা ধান্দাবাজীর জালে (ব্লগ টা দেখুন, বাঙ্গালীর জানা উচিৎ)

১৪ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ধান্দাবাজীর প্রথম উদ্যোগ: ০৭.০৭.০৭। এই শতকের একমাত্র ‌'লাকি সেভেন' দিবস! অর্থাৎ ২০০৭ সালের জুলাই মাসের সাত তারিখ। সুইজারল্যান্ডের ইন্টারনেট ভিত্তিক সংগঠন 'সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন' ঘোষণা করেছিল তাদের জরিপে (?) নির্বাচিত পৃথিবীর সাতটি আশ্চর্যজনক স্থাপত্যের নাম যা তাদের ভাষায় পৃথিবীর নতুন সপ্তম আশ্চর্য (নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স অফ দ্য ওয়ার্ল্ড)। এগুলো ছিলো: মেক্সিকোর চিচেন ইতাজ, ব্রাজিলের খ্রিস্ট রিডিমার, ইতালির কলোসিয়াম, ভারতের তাজ মহল, চীনের গ্রেট ওয়াল, জর্ডানের পেট্রা এবং পেরুর মাচু-পিচু।



বাদ পড়ে গেল মিশরের পিরামিড?: তাদের জরিপের ফলে সর্বস্বীকৃত পৃথিবীর শত সহশ্র বছরের প্রাচীনতম সাতটি আশ্চর্য নিদর্শন বা স্থাপনার সবগুলোই বাদ পড়ে যায়। মিশরের পিরামিড, পিসার হেলানো টাওয়ার কিম্বা ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যানের মতো পৃথিবীর প্রাচীনতম স্থাপনাগুলোর কৌশল মানবজাতিকে হতবাক করে বলেই ইতিহাসে রয়েছে এদের বিশেষ স্থান। আর মধ্য এবং আধুনিক কালের পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যও রয়েছে সাধারণ জ্ঞানের পাতায়। যেগুলো বিভিন্ন সংস্থা যেমন: আমেরিকান সোসাইটি অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স, ইউএসএ টু'ডে, সিএনএন এর মতো প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করেছে। কিন্তু সুইজারল্যান্ডের জুরিখ লেকের পাশে বসে বার্নার্ড ওয়েবার নামের এই ভদ্রলোক ফন্দি করলেন প্রাচীন, মধ্য কিম্বা আধুনিক স্বীকৃত সপ্তম আশ্চর্যের ভেতরে বা বাইরে যেসব স্থাপনা রয়েছে সেগুলোকে সারা দুনিয়ায় একটি নির্বাচন নামক প্রহসনের ভোটাভুটির মধ্যে ঠেলে দিয়ে নিজের পকেটে শতশত কোটি ডলার ভরার!



১০০ মিলিয়ন ভোট!: সেই ভাবনা থেকেই তিনি শুরু করলেন ইন্টারনেট ও মোবাইল এসএমএস-এর মাধ্যমে পপুলার ভোটের ভিত্তিতে নতুন সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনের কাজ। ওয়েব সাইটের নাম দিলেন www. new7wonders.com। সুইস সরকারের অনুমোদনও নিয়ে নিলেন তিনি। পাশে পেলেন ইউনেস্কোকে (জাতিসংঘের শিক্ষা ও বিজ্ঞান বিষয়ক সংস্থা)। পরিকল্পনা মাফিক সবকিছু সম্পন্ন করে ২০০৭ সালের ৭ জুলাই সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে ঘোষণা দিল; প্রাপ্ত ১০০ মিলিয়ন ভোটের ভিত্তিতে পৃথিবীর নতুন সাতটি আশ্চর্যজনক স্থাপনা নির্বাচন করেছেন তিনি। কিন্তু তার নির্বাচিত নতুন সপ্তাশ্চর্য যতটা না আলোড়ন তুললো বোদ্ধামহলে তারচেয়ে তাদের ভাবিত করে তুললো একটি নির্বাচনে ১০০ মিলিয়ন ভোট সংগ্রহের মতো অভূতপূর্ব বিষয়টি নিয়ে।

জাল ভোট: ভোটের এই পরিসংখ্যান শুনে তাজ্জব হয়ে গেলো পৃথিবীর খ্যাতনামা নির্বাচন ও জরিপ সংস্থাগুলো। নিউ ইয়র্কের জরিপ সংস্থা জগবি ইন্টারন্যাশনাল একে ঘোষণা করলো 'নির্বাচনের সবচেয়ে বড় রেকর্ড' (দ্যা লার্জেস্ট পোল অন রেকর্ড) হিসেবে। শুরু হয়ে গেলো এই অদৃষ্টপূর্ব ভোটাভুটির গোপন রহস্য উদঘাটনের কাজ। সূত্র: উইকিপিডিয়া



সন্দেহাতীতভাবে অবৈজ্ঞানিক: খোজ খবর করে তারা জানতে পারলো, ইন্টারনেট এবং এসএমএস এর মাধ্যমে পপুলার ভোট নেয়ায় একজন ব্যক্তি বা সমর্থক একাধিক কিম্বা শতাধিক কিম্বা সহশ্রাধিক ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছিলো সেই নির্বাচনে। আর এ কারণেই এটি পৃথিবীতে নির্বাচনের সবচেয়ে বড় রেকর্ড'টি করতে পেরেছিলো। ফলে পৃথিবীর আরেক বিখ্যাত জরিপ সংস্থা ইউটিকা সেভেন ওয়ান্ডার্সের সেই নির্বাচনকে আখ্যায়িত করেছিলো 'সন্দেহাতীতভাবে অবৈজ্ঞানিক' (ডিসাইডেডলি আনসায়েন্টিফিক) হিসেবে। নির্বাচনের পদ্ধতি অবৈজ্ঞানিক, বিতর্কিত এবং অগ্রহণযোগ্য হওয়ায় জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো ২০০৭ সালেই নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন এর প্রতি তাদের আনুষ্ঠানিক সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় এবং তাদের

নতুন সপ্তাশ্চর্যের ফলাফলও প্রত্যাখ্যান করেছিলো। সূত্র: উইকিপিডিয়া

প্রতি এসএমএস-এ ওয়েবার পাবে ৬৮ পয়সা: কিন্তু ইউনেস্কো মুখ ফিরিয়ে নিলেও দমে যায়নি বার্নার্ড ওয়েবার। শ্রেফ টাকা কামানোর এই উদ্যোগকে পাকাপোক্ত করতে তিনি তার বিতর্কিত ফাউন্ডেশনকে অন্তর্ভূক্ত করেছেন জাতিসংঘের পার্টনার অরগানাইজেশের খাতায়। আর এখন সন্দেহাতীতভাবে আবৈজ্ঞানিক, বিতর্কিত, অগ্রহণযোগ্য এবং প্রত্যাখ্যাত পদ্ধতিতেই পৃথিবীর সাতটি প্রাকৃতিক আশ্চর্য নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌছেছেন ওয়েবার। ২০১১ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত দেয়া যাবে এসএমএস-এ ভোট। সেল ফোনের মাধ্যমে ভোট দেয়ার সুযোগ করে দিতে সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন দেশের সরকারী টেলিফোন সংস্থা বিটিসিএল তথা টেলিটক এর সাথে চুক্তি করেছে। এই চুক্তি অনুযায়ী সুন্দরবনকে এসএমএস এর মাধ্যমে দেয়া প্রতিটি ভোটের বিপরীতে সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন তথা বার্নার্ড ওয়েবার পাবে ৬৮ পয়সা করে।



এসএমএস-এর মাধ্যমে ওয়েবারের হাতে যাবে ৬৮ কোটি টাকা: গত ৯ জুলাই ২০১১ তে দি ডেইলি স্টার পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় যার শিরোনাম ছিলো 'দুই সপ্তাহে ১০ লাখ ভোট' । গত ২৪জুন থেকে এসএমএস-এর মাধ্যমে সুন্দরবনের জন্য ১০ লাখ ভোট পড়েছে বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে। আর এই এসএমএস চুক্তিকারী কর্তৃপক্ষ টেলিটক এর কর্মকর্তার উদ্বৃতি দিয়ে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি মোবাইল গ্রাহক যদি অন্তত ২০টি করে ভোট দেয় তবে সুন্দরবনের জন্য ভোটের সংখ্যা দাড়াবে কমপক্ষে ১০০ কোটি। আর এই একশ কোটি ভোট পড়লে সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন তথা বর্নার্ড ওয়েবার আয় করবে ৬৮ কোটি টাকা। কেননা চুক্তি মোতাবেক প্রতি এসএমএস-এ বার্নার্ড পাবে ৬৮ পয়সা। আর যেহেতু ১০ লাখ ভোট ইতোমধ্যেই পড়েছে তাই এরই মাঝে বার্নার্ড বাংলাদেশ থেকে আয় করেছে (হাতিয়ে নিয়েছে!) ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা।



সুন্দরবন বাদ: কিন্তু টেলিটক এর সাথে সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন যে এসএমএস চুক্তি করেছে সেই চুক্তির ৯ নম্বর ধারায় বলা আছে যে এসএমএস-এর মাধ্যমে কত ভোট পড়ছে তা পুরোপুরি গোপন রাখতে হবে। গণমাধ্যমে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ পেলে প্রতিযোগী স্থানটি তথা সুন্দরবন বাদ পড়ে যাবে প্রতিযোগিতা থেকে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন গোপন রাখতে হবে এসএমএস এর মাধ্যমে দেয়া ভোটের পরিসংখ্যান? উত্তরটা খুব সোজা। যেহেতু সংগঠনটির এই এসএমএস বাণিজ্যের কারণে তাদের নির্বাচন পদ্ধতি অগ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়ে ২০০৭ সালের নতুন সপ্তাশ্চর্য্য'র প্রতিযোগিতাটি বিতর্কিত হয়ে পড়েছিল এবং ইউনেস্কো সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলো তাই এবার এই বিশেষ সাবধানতা। তারা চায় না এসএমএস এর ভোটের পরিসংখ্যান গণমাধ্যমে ফাঁস হয়ে আবারো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে এবারের ব্যবসা ভন্ডুল হয়ে যাক।

টেলিটককে শো-কজ: কিন্তু থলের বেড়াল তো এরই মাঝে বেড়িয়ে পড়েছে। ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে তো ইতোমধ্যেই ২ সপ্তাহের ভোটের পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়ে পড়েছে। এখন কী হবে? জানা গেছে ৯ তারিখে সংবাদটি প্রকাশিত হবার পরদিন ১০ জুলাই'তে টেলিটকের চুক্তি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে চিঠি দিয়েছে সেই সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন। তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে চুক্তির শর্ত মোতাবেক এসএমএস এ ভোটের পরিসংখ্যান গোপন রাখতে বলা হলেও কী করে তা বাংলাদেশের একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হলো। এই গোপন-গোপন খেলায় এসএমএস-এর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা পাচার করে নেয়ার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই কী করে?

স্পন্সরশিপের দাম সাড়ে তিন লাখ ডলার: এবার আসুন সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন এর দ্বিতীয় আরেকটি ব্যবসার গোপন কথায়। এই সংগঠনটি লাখ লাখ ডলারের বিনিময়ে বিভিন্ন বেসরকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রচারণা তথা বিজ্ঞাপনের স্পন্সরশিপ বিক্রি করছে। অর্থাৎ যদি কোন বেসরকারী বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান তার দেশের প্রতিযোগী কোন একটি স্থানকে নির্বাচিত করার জন্য দেশে কিম্বা আন্তর্জাতিকভাবে প্রচারণা চালাতে চায় তাহলে সেজন্য সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন এর কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে তার অধিকার লাভ করতে হবে। এজন্য তারা দুই ধরণের স্পন্সরশিপ এর ব্যবস্থা রেখেছে। ২ লাখ ১০ হাজার ডলারের বিনিময়ে গোল্ড স্পন্সরশিপ এবং ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলারের বিনিময়ে প্লাটিনাম স্পন্সরশিপ।

যেমন কোরিয়ার জোজু দ্বীপের জন্য দেশটির দুটি স্বনামধন্য কোম্পানি হুন্দাই কর্পোরেশন এবং কিয়া মটরস মোটা টাকার বিনিময়ে স্পন্সরশিপ কিনেছে। কিন্তু এক্ষেত্রে সুখবরটি হলো আমাদের দেশের কোন কোম্পানি সংগঠনটির কাছ থেকে এখন পর্যন্ত স্পন্সরশিপ কেনেনি। কিন্ত দেশের অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানই সুন্দরবনকে ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করতে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। কিন্তু স্পন্সরশিপ না কিনে এই প্রচারণা চালালে সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন এর নিয়ম অনুযায়ী, চুক্তির শর্ত ভঙ্গের দায়ে প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়বে সুন্দরবন। বিষয়টি সুন্দরবনের সরকারী সমর্থক সংস্থা বাংলাদেশ পর্যটন সংস্থার নজরে এসেছে এবং স্পন্সরশিপ বিহীন এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সুন্দরবনের জন্য প্রচারণা না চালাতে সতর্ক করে দিতে চিঠি ইস্যু করছে।

হাজার কোটি টাকার ধান্দা: কিন্তু এরপর বাংলাদেশের এক বা একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যদি এই প্রচারণার জন্য স্পন্সরশিপ কেনে তবে দুই লাখ ১০ হাজার কিম্বা সাড়ে তিন লাখ ডলার করে প্রতি স্পন্সরশিপ বেচে বাংলাদেশ থেকে হাতিয়ে নেবে সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন তথা বার্নার্ড ওয়েবার। আর প্রতিযোগিতার ফাইনালিস্ট ২৮টি দেশের মধ্যে যদি গড়ে একটি করে স্পন্সরশিপ বিক্রি করতে পারে সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন তবে এই খাত থেকে তার আয় দাড়াবে গড়ে ১০০ কোটি টাকা। আর প্রতিযোগী ২৮টি দেশের প্রত্যেকটি থেকে যদি ৫০ কোটি করে এসএমএস ভোট পায় তবে এই খাত থেকে বার্নার্ড আয় করবে ৩২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা (প্রতি এসএমএস ৬৮ পয়সা হিসাবে)। কিন্তু ধনী দেশেগুলো থেকে এসএমএস-এর মাধ্যমে পাওয়া হিস্যা আরো বেশি হবে। সেক্ষেত্রে মুনাফার পরিমান আরো বেশি। আহ্ তথ্য প্রযুক্তি আর নতুন আইডিয়া; এই দুই যদি মিলে যায় খাপেখাপ তবে তাকে আর ঠেকায় কে?

বন্দী আমরা ধান্দাবাজীর জালে: তাহলে কী দাড়াচ্ছে? বার্নার্ড ওয়েবারের ওয়েবে তথা ধান্দাবাজীর জালে ধরা পড়েছি আমরা। এই মানুষটি পাঁচ বছর আগে ২০০৭ সালে কক্সবাজার ও সুন্দরবনকে পৃথিবীর অন্য ৪৪০টি স্থানের মধ্যে রেখে শুরু করেছিল পৃথিবীর প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচন প্রতিযোগিতা। আর আমরা দেশ দরদী হয়ে, পৃথিবীর বুকে নিজের সুন্দরবনকে জায়গা করে দেয়ার এক ভ্রান্ত বাসনা থেকে সেই জালে আমরা পা দিয়েছি আমরা।

নির্বাচনের মাপকাঠি যেখানে শুধুই টাকা: ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে দুই বছর ধরে ইন্টারনেটে ভোট দেয়ার পর ২০০৯ সালে সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন বললো যে কক্সবাজার বাদ পড়েছে প্রতিযোগিতা থেকে আর সুন্দরবন টিকে গিয়েছে। শেষ ধাপের এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের আরো ২৮টি প্রাকৃতিক স্থানও রয়েছে। এখন এসএমএস এবং ইন্টারনেটে ভোটাভুটির পর ২০১১ সালের ১১ নভেম্বর বার্নার্ড ঘোষণা করবে প্রতিযোগিতায় ঠেলে দেয়া ২৮টির মধ্য থেকে ৭টি শ্রেষ্ঠ প্রাকৃতিক স্থানের নাম। কিন্তু এই সপ্তাশ্চর্য হবে কীসের বিচারে? স্থানটির সৌন্দর্য্য বিচারের মাধ্যমে? স্থানটির বিশেষ প্রাকৃতিক বৈশিষ্ঠ্যের কারণে? স্থানটির জীব বৈচিত্র্যের কারণে? না এগুলো কোনটাই না। শ্রেষ্ঠত্ব বিচার হবে শ্রেফ টাকার বিনিময়ে। এসএমএস আর স্পন্সরশিপ কেনার মাধ্যমে যে ৭টি দেশ বার্নার্ড ওয়েবারের সুইস ব্যাংকের একাউন্টে সবচেয়ে বেশি ডলার রাখতে পারবে, এমন সাতটি দেশের প্রাকৃতিক স্থানই এগিয়ে যাবে প্রতিযোগিতায়। হবে পৃথিবীর তথাকথিত সেরা ৭টি প্রাকৃতিক আশ্চর্যজনক স্থানের একটি। অন্যদের ভ্রান্ত ও অগ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন প্রতিযোগিতায় ঠেলে দিয়ে নিজের পকেট ভরার কী আয়োজন! সত্যি সেলুকাস; এ পৃথিবী অবাক চেয়ে রয়!!!

হেই ওয়েবার, প্লিজ লিভ আস: তাই যে কথাটি আবারো বলতে চাই তা হলো; আমাদের সুন্দরবনের জন্য কারো সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই। কারণ সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। আর জাতিসংঘ তথা ইউনেস্কো সুন্দরবনকে ১৯৯৬ সালে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের অন্তর্ভুক্ত করেছে। তাই আমাদের সুন্দরবন সেভেন ওয়ান্ডর্স ফাউন্ডেশনের মতো একটি ভুঁইফোড় এবং অস্বীকৃত সংগঠনের ব্যবসার উপাদানে পরিণত তা কোনভাবেই মেনে নিতে পারিনা।



এই তথ্য আমি Ozair Ibne Omer (NTV
Senior Correspondent) এর একটি ইভেন্ট থেকে পেয়েছি
ইভেন্ট
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×