মুগ্ধ। নামটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক মেধাবী, উদার ও মানবিক ছাত্রের ছবি। মুগ্ধ ছিল আমাদের সবার প্রিয়, একটি আলোকিত মুখ। পড়াশোনায় ছিল সে অত্যন্ত মেধাবী, সবসময়ই প্রথম সারিতে। শুধু একাডেমিক নয়, তার মানবিক গুণাবলীও ছিল অসাধারণ। ছাত্র আন্দোলনের সময় যখন সবাই পানির অভাবে কষ্ট পাচ্ছিল, মুগ্ধ তখন সবার জন্য পানি বিতরণ করছিল। এমনই একদিনে, সে পুলিশের গুলিতে নিহত হলো।
আমাদের সমাজে এমন ঘটনা যেন খুবই সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজন মানুষের প্রাণের মূল্য কীভাবে এত সহজে তুচ্ছ হয়ে যায়? মুগ্ধের মৃত্যু শুধু একটি ব্যক্তির মৃত্যু নয়, এটি আমাদের সমাজের বিবেকের উপর একটি আঘাত।
আমাদের সমাজে ট্রেন ক্ষতির চেয়ে মানুষের জীবন ক্ষতি যেন তুচ্ছ। একটি মানুষের জীবন, তার স্বপ্ন, তার আশা-আকাঙ্ক্ষা, সবকিছু মুছে যায় একটি গুলির মাধ্যমে। এরপরে আমরা কি কিছু শিখি? আমাদের বিবেক কি জাগ্রত হয়?
মুগ্ধের মতো একজন মেধাবী ছাত্র, একজন সৎ ও উপকারী মানুষ, তার জীবন উৎসর্গ করে গেলো। তার স্বপ্ন, তার হাসি, তার ভালোবাসা সব হারিয়ে গেলো। মুগ্ধের স্মৃতি চির অম্লান থাকবে। তার আত্মত্যাগ আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আমরা কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হয়ে গেছি।
আমাদের বিবেককে জাগ্রত করতে হবে। মুগ্ধের মতো আর কাউকে হারাতে চাই না আমরা। আমাদের সমাজে এ ধরনের নিষ্ঠুরতা বন্ধ করতে হবে। মুগ্ধের আত্মা শান্তি পাক। তার স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করি, যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে।
মুগ্ধ, তুমি আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তোমার স্মৃতি, তোমার উপকার, তোমার ভালোবাসা আমাদের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবে। তোমার আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। তোমার পথ ধরে আমরা এগিয়ে যাবো, যেন আমাদের সমাজে আর কোনো মুগ্ধকে হারাতে না হয়
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:০৬