নর্দমার কালো জলে মেঘের উড়ালপথে
ভাসাইয়া কাগজের ভেলা
বৈঠা হাতে বসে বস্তির রবীন্দ্রনাথ
আকাশপানে তাকিয়ে ভাবছেন মহাবৈশ্বিক গতিবিধি
স্যুয়োরোজের টানেলে তীব্র স্রোতে উথালপাথাল
টেনে থামালাম নৌকার গলুই ধরে
কাব্য-সংগীত-আলেখ্য-নাটক হল ঢের
এইবার একটা সাচ্চা রূপকথা শোনান তো মশাই
না হয় পথের ধূলা হইয়া গড়াগড়ি যাই
তবু বস্তিতেও তো একপ্রকারের রবীন্দ্রনাথেরা থাকে
মানেন কি না মানেন- না হয় জানালা নাই
তাই বইলা কি মৃদু-মন্দ বাতাসের
কমতি আছে ভাই !
তথাপিও গরীবের দুয়ারে হস্তির পদচ্ছাপে
মাহুতের নির্দেশনা থাকে
হস্তির পদভারে গরীবের দুয়ারে যে
খাদ জন্ম নেয় তা ভরাটকল্পে
মাটি লাগে ... শ্রমিকেরও ঝরে কিছু ঘাম
এই জেনে বস্তির ন্যাংটা ছেলের দল
গোল তলপেট আর সারামুখে শুকানো
সর্দির দাগ নিয়ে ড্যাবড্যাবে চোখে
চেয়ে দ্যাখে রবীন্দ্রনাথ
উদাসী হাওয়ায় ট্যানারী পাড়ায় উড়ে যায়
এইদিকে মেঘের কোলেও হাসছিল রোদ
বাদলও গিয়াছে টুটি
কালো কালো ন্যাংটা ছেলের দল
এদেরই কেউ বস্তির রবীন্দ্রঠাকুর
আবর্জনা স্তূপে বসে
অতিশয় মনযোগে নুনু চুলকায়