somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একনজরে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে ঘটনাবহুল ২০১১

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২০১১ সালকে আমরা বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে স্মরণ করবো। ২০১১ সালে বেশ কিছু অর্জন হয়েছে মানবতার। লাদেন-গাদ্দাফীর পতন ছাড়াও বিভিন্ন আরব দেশগুলোতে গনজাগরন লক্ষনীয়। আবার কিছু ঘটনা আমাদের কাদিয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রান হারিয়েছে অনেক মানুষ। ২০১১ পুরো বছরকে একসাথে আনা অনেক সময়ের ব্যাপার। সংক্ষিপ্তভাবে আমার দৃষ্টিতে ২০১১ সালের গুরত্বপূর্ন বেশ কিছু ঘটনা:


১। তিউনিশিয়ান রিভুলিউশন - তিউনিশিয়ায় সরকার বিরোধী আন্দোলন মূলত শুরু হয় ১৮ ডিসেম্বর ২০১০ সালে যা এখন পর্যন্ত চলছে। দীর্ঘ দিনের প্রেসিডেন্ট জাইন এল আবেদিন বিন আলীর পদত্যাগ, গনতান্ত্রিক নির্বাচন, বেকারত্ব, দুর্নীতি প্রতিরোধ, বাক-স্বাধীনতা ইত্যাদি দাবীতে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। অল্প কয়দিনে বিক্ষোভকারীরা সাধারন জনগনের মনে প্রভাব ফেলতে সক্ষম হন এবং গত তিন দশকে তিউনিশিয়ার সবচেয়ে বড় গনজাগরন লক্ষ্য করা যায়। পুলিশ এবং অন্যান্য সরকারী বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয় অনেক মানুষ। ২৮ দিনের বিক্ষোভের পর ১৪ জানুয়ারী ২০১১ তারিখে জাইন এল আবেদিন বিন আলী পদত্যাগ করে সৌদি চলে যান। তার ক্ষমতার মেয়াদ ছিলো ২৩ বছর। তারপরে অনেকজন চড়াই উতরাই পার হয়ে ২৩ অক্টোবর ২০১১ তে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং ইসলামিস্ট ইন্নাহডা পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে।


২। ঈজিপশিয়ান রিভুলিউশন ২৫ জানুয়ারী শুরু হওয়া সাধারন মানুষের এই আন্দোলন এখনো চলছে। বিভিন্ন দাবীতে মিলিয়নের উপর বিক্ষোভকারী জড়ো হয় কায়রোতে। ১১ ফেব্রুয়ারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর সুলাইমান ঘোষনা দেন হোসনি মুবারক ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন আর্মড ফোর্সের সুপ্রীম কাউন্সেলের নিকট। ১৩ মিলিটারী জান্তা পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষনা করে। এও ঘোষনা করে যে, মিলিটারী জান্তা ৬ মাস শাসন করবে এবং নির্বাচনের জন্য কেয়ারটেকার সরকার গঠন করা হয় আহমেদ শফীককে প্রধান করে। হোসনি মুবারক পদত্যাগ করলেও সাধারন মানুষের বিক্ষোভ এখনও চলছে গনতান্ত্রিক নির্বাচনের দাবীতে। বিশেষজ্ঞদের ধারনা সামরিক জান্তা ক্ষমতা ছাড়তে ইচ্ছুক নয়।


৩। মুয়াম্মার গাদ্দাফীর পতন তিউনিশিয়া ও মিশরের পর আন্দোলনের প্রভাব লিবিয়াতেও এসে পড়ে। তবে এ বিক্ষোভ ও বিদ্রোহ অনেক রক্তক্ষয়ী হয়। ১৫ই ফেব্রুয়ারী বেনগাজী শহর থেকে বিক্ষোভের সূচনা হয়। গনমিছিলে সরকারী বাহিনীর গুলিবর্ষনের পর বিক্ষোভকারীরা আর্ন্তজাতিক সহায়তা পাওয়া শুরু করেন। বর্হিবিশ্বে গাদ্দাফী ও তার অনুসারীদের ব্যাংক একাউন্ট সিজ করার প্রস্তাব পাস করে জাতিসংঘ এবং লিবিয়ার উপর নো-ফ্লাই জোনও ঘোষনা করা হয়। ২০ অক্টোবর গাদ্দাফীর কনভয় ন্যাটোর বিমানবাহিনী কর্তৃক আক্রমনের শিকার হয় এবং এনটিসি সদস্যরা তাকে তখনই মেরে ফেলে। ২৩ অক্টোবর এই বিক্ষোভের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়। তবে লিবিয়া পরিস্থিতি এখনও শান্ত হয়নি।


৪। ওসামা বিন লাদেন : জীবিত থাকাকালীন পৃথিবীর সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিদের একজন ছিলেন তিনি। ৯/১১ নাটকের গুরু এবং আমেরিকাকে তেল সংকট থেকে মুক্তির নায়কও তিনি। ধনকুবের বাবার ছেলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ওসামা ৮০র দশকে আফগানিস্তানে যান। সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে আফগানিস্তানকে স্বাধীন করার সময় সরাসরি সিআইএর অধীনে কাজ করেছিলেন তিনি। আফগানিস্তান স্বাধীন হওয়ার পরেই তিনি সৌদি আরব এর সাথে শত্রুতায় জড়িয়ে পড়েন যার ফলশ্রুতিতে তাকে সৌদি থেকে বহিস্কার করা হয়। এরপর তিনি সারাবিশ্বে জঙ্গিদের মদদদাতা হিসেবে পরিচিতি পান। ২০০১ সালে সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখে আমেরিকার গর্ব ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বিমান হামলার জন্য দোষী সার্বস্ত করা হয় তাকে এবং সে জের ধরে আমেরিকা আফগানিস্তানে হামলার মাধ্যমে সারাবিশ্বে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে। তবে কারা মূল অপরাধী সে ভিষয় নিয়ে অনেক আলোচনা করার পর এমন কিছু তথ্য বের হয়ে আসে যা সবাইকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে। ২০১১ সালের মে মাসের ২ তারিখে পাকিস্তানের এবোটাবাদে যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল ফোর্স "অপারেশন নেপচুন স্পিয়ার" নামে অভিযান চালায়। সে অভিযানে লাদেন মৃত অবস্থায় আটক হন, তারপর তাকে সনাক্তকরনের জন্য আফগানিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয় এবং আটক হবার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই তার লাশ সাগরে ফেলে দেওয়া হয়। যার কারনে এখনও অনেকেই বিশ্বাস করেন না যে লাদেন ওই দিন মারা গিয়েছে। পরবর্তী নির্বাচনে বারাক ওবামার অবস্থানকে শক্তিশালী করার জন্যই এ নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞের ধারনা। মূল ঘটনা যাই হোক লাদেনের কারনে আমেরিকার অনেকগুলো লক্ষ্য অর্জন হয়েছে।


৫। জাপানে ভুমিকম্প ও সুনামি ১১ মার্চ ২০১১তে রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভুমিকম্প আঘাত হানে জাপানে। জাপানের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে ভয়ংকর ভূমিকম্প এটি। ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল টহুকা থেকে ৭০ কি:মি দূরে। সমুদ্রের নীচে এই উৎপত্তিস্থলের গভীরতা হল ৩২ কি: মি:। ১৯০০ সাল থেকে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে এটির অবস্থান ৫ম। ভূমিকম্পের কারনে সৃষ্ট সুনামির ঢেউয়ের উচ্চতা ছিল ১৩৩ ফিট। এই ঢেউ ১০ কি:মি: পথ পাড়ি দিয়ে আঘাত আনে সেন্ডাই অঞ্চলে। সুনামির কারনে বেশ কয়েকটি পারমানবিক দুর্ঘটনা ঘটে। Fukushima I Nuclear Power Plant এখনও লেভেল ৭ মেল্ট ডাউন চলছে। এই প্ল্যান্টের ৩টি রিয়্যাক্টর বিস্ফোরিত হয়েছে যার কারনে এই প্ল্যান্টের আশেপাশের ২০ কি:মি: পর্যন্ত সাধারন মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এবং ফুকুশিশা ২ নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের আশেপাশের ১০ কি:মি: এলাকার সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। জাপানিজ পুলিশ এজেন্সীর মতে ১৫৮৪৬ জন মারা গিয়েছে, আহত হয়েছে ৬০১১ জন, নিখোজ আছেন ৩৩২০জন, ১ লক্ষ ২৫ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পরে এটাই জাপানের সবচেয়ে বড় ক্ষতি। বিশ্বব্যাংকের মতে এই ভূমিকম্পের ফলে জাপানের ক্ষতির পরিমান ২৩৫ বিলিয়ন ডলার যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।


৬। প্রিন্স উইলিয়ামও কেট মিডলটনের বিয়ে : ২৯ এপ্রিল ২০১১ এ অনুষ্ঠিত হয় এই রাজকীয় বিয়ে। প্রিন্স চার্লস এবং ডায়ানার বড় ছেলে প্রিন্স ইউলিয়াম ও কেট মিডলটনের এই বিয়েতে লন্ডনে রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষনা করা হয়েছিল। ১৯০০ অতিথিদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এই বিয়ে ৩৬.৭মিলিয়ন মানুষ টিভির মাধ্যমে দেখে। সারাবিশ্বে সরাসরি দর্শক সংখ্যা ছিল দশ মিলিয়ন এবং ইউটিউবে বিয়ের ভিডিও ফুটেজ দেখেছে ৭২ মিলিয়ন মানুষ। স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় এই অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল। এই রাজকীয় বিয়ের খরচ হয়েছিল প্রায় বিশ মিলিয়ন ইউরো। ওয়েস্টমিনিস্টার এ্যবিতে এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।


৭। আক্রান্ত নরওয়ে : ২২ জুলাই নরওয়ে দুই ভাগে সন্ত্রাসী আক্রমনের শিকার হয়। প্রথমে অসলোর Regjeringskvartalet এ নরওয়ের প্রেসিডেন্ট এর অফিসের সামনে গাড়ি বোমা বিস্ফোরন হয়। এতে ৮জন নিহত এবং ৯২ জন আহত হয়। ২ ঘন্টা পর ২য় আক্রমনটি হয় উটয়া দ্বীপের একটি সামার ক্যাম্পে। সামার ক্যাম্পটি আয়োজন করেছিল ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির ইয়ুথ ডিভিশন। ভুয়া আইড কার্ড দেখিয়ে একজন বন্দুকধারী দ্বীপটিতে প্রবেশ করে এবং নির্বিচারে গুলিবর্ষন করে। এতে ঘটনাস্থলে ৬৯ জন মারা যায় এবং আহত হয় ৬০ জন। এর মধ্যে একজন ২ দিন পরে মারা যায়। এ মর্মান্তিক ঘটনা পুরো বিশ্বকে নাড়া দিয়েছিল। হত্যাকারী ৩২ বছর বয়স্ক Anders Behring Breivik একজন চরম ডানপন্থী। তবে সে মুসলিম জঙ্গী না হয়ে চরমপন্থী খ্রিস্টান হওয়ায় মিডিয়ায় এটা নিয়ে হতাশা লক্ষ্য করা যায়, সামুতেও সে ধরনের হতাশা লক্ষ্য করা গিয়েছিলো।


৮। থাইল্যান্ডে বন্যা : থাইল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা শুরু হয় ২৫ জুলাই। ১৭৫ দিনের দুর্ভোগ শেষে ১৬ জানুয়ারী ২০১২তে শেষ হয় এ বন্যা। থাইল্যান্ডের ৭৭টি জেলার মধ্যে ৬৫টি জেলাই এই বন্যায় আক্রান্ত হয়েছিল। বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টে বলা হয়েছে বন্যায় ক্ষতির পরিমান ৪৫.৭ বিলিয়ন ডলার।


৯। ৫ই আগস্ট নাসা ঘোষনা দেয় মঙ্গলগ্রহে পানি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। মার্স অরবিটার এর তোলা কিছু ছবিও প্রকাশ করে তারা


১০। সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখে জাঞ্জিবারে এমবি স্পাইস আইল্যান্ডার নামের ফেরী ডুবে ২৪০ জন মারা যায়। সর্বমোট ৮০০ যাত্রী ছিল ওইদিন।


১১।সেপ্টেম্বরের ১২ তারিখে নাইরাবিতে পেট্রল পাইপলাইন বিস্ফোরনে প্রায় ১০০ জন মারা যায়।


১২। সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখে ওকুপ্যাসি ওয়াল স্ট্রীট আন্দোলন শুরু হয়। ধীরে ধীরে এ আন্দোলন বিশ্বের ৮২টি দেশেও ছড়িয়ে পড়ে।


১৩। স্পেসশাটল পোগ্রামের অবসান : ১৯৬০ সালে শুরু হওয়া নাসার এ পোগ্রাম ২০১১ সালের আগস্টের ৩১তারিখে শেষ হয়। এ পোগ্রামের অধীনে প্রথম মহাকাশযান "কলম্বিয়া" উড্ডয়ন করে ১৯৮১ সালের ১২এপ্রিলে। এরপর সর্বমোট ১৩৫টি ফ্লাইটে ৪০০ মহাকাশচারীকে পৃথিবীর বাইরে পাঠানো হয়। তবে সফল এই পোগ্রামে দুটি কালো দাগ রয়েছে। ১৯৮৬ সালে উড্ডয়নের ৭৩ সেকেন্ডের স্পেসশাটল চ্যালেন্জার যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে বিস্ফোরিত হয়। ৭ জন নভোচারীর সবাই নিহত হন। ২য় দুর্ঘটনাটি হয় ফেব্রুয়ারীর ১ তারিখে ২০০৩ সালে। পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশের পর স্পেসশাটল কলম্বিয়া বিস্ফোরিত হয়। এটি কলম্বিয়ার ২৮তম অভিযান ছিল। এ দুর্ঘটনায় ৭ জন নভোচারীর সবাই নিহত হয়।


১৪। ইরাক যুদ্ধের সমাপ্তি : ২০০৩ সালের মার্চের ২০ তারিখে শুরু হওয়া এ যুদ্ধের সমাপ্তি হয় ১৮ ডিসেম্বর ২০১১তে। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে চলে আসা এ যুদ্ধে ৪৪০০ সৈন্য নিহত হয় এবং আহত হয় প্রায় ৩২,০০০। তবে কিছু সংখ্যক সৈন্য মার্কিন এম্বসীর নিরাপত্তার অযুহাতে ইরাকে নিযুক্ত থাকবে। ইরাক ছাড়াও বর্তমানে আফগানিস্তানে ৯১,০০০ হাজার সৈন্য আছে।


১৫। এ সুংসাবটি আর্ন্তজাতিক নয় দেশীয়। চিহ্নিত রাজাকার নিজামী-মুজাহিদী সহ কয়েকজন রাজাকার গ্রেফতার। এখন শুধু বিচারের অপেক্ষা। ৪০ বছরের ক্ষত থেকে মুক্তির অপেক্ষায় আছে দেশবাসী। তবে কোন রাজনৈতিক দল যদি রাজনৈতিক অবস্থান ধরে রাখার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে টাল-বাহানা করে ওদের বিচারও এই বাংলার মাটিতেই হবে।

২০১১ সালে বেশ কয়েকজন গুনী ব্যক্তির মৃতু আমাদেরকে আহত করেছে। উনাদের স্থান কখনোই পূরণ হবে না। এমনি কয়েকজন ব্যক্তি হল :


১। স্টিভ জবস: অক্টোবরের ৫ তারিখে এই মহান ব্যক্তি ক্যান্সারে মারা যান। তার কৃতি, অবদান এগুলো বর্ননা করার প্রয়োজন নেই। তার জন্ম ফেব্রুয়ারীর ২৪ তারিখে ১৯৫৫ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায়। মৃতু্র আগ পর্যন্ত তার প্রতিষ্ঠান Apple Inc. এর সাথে যুক্ত ছিলেন।


২। ওয়াঙ্গারি মাথাই : এই মহীয়সি নারীর জন্ম ১৯৪০ সালের ১লা এপ্রিল কেনিয়ায়। পড়াশোনা যুক্তরাষ্ট্রে। তার নিজের প্রতিষ্ঠান গ্রীন বেল্প মুভমেন্টকে নিয়ে পুরো আফ্রিকায় কাজ করেছেন গাছ রোপন নিয়ে। যার প্রেক্ষিতে ২০০৪ সালে প্রথম আফ্রিকান মহিলা হিসেবে নোবেল পুরস্কার পান। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ তে উনি মারা যান।


৩। এলিজাবেথ টেইলর : হলিউডের স্বর্নযুগের সেরা অভিনেত্রী মারা যান ২০১১ সালের মার্চের ২৩ তারিখে। অনেক বছর অসুস্থ থাকার পর ৭৯ বছর বয়সে মারা যান ২ বার একাডেমী অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত এই অভিনেত্রী।


৪। ওমর আহমেদ : পাকিস্তানি বাবা-মার সন্তান ওমর আহমেদ বড় হোন আমেরিকায়। ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লোরিডা থেকে গ্যাজুয়েট করে তিনি ন্যাপস্টার এ চীফ টেকনোলজি অফিসার হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া তিনি সিলিকন ভ্যালিতে কয়েখটি গুরত্বপূর্ন পদে কাজ করেন। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার সান কার্লোসের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১১ সালের মে মাসের ১০ তারিখে হার্ট এ্যাটাকে মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি সে পদেই কাজ করেছেন।


তথ্যগুলোতে কোন ভুল থাকলে সংশোধন করে দেওয়ার অনুরোধ রইলো।



সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:২২
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×