শুনছি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হয়েছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সাকিবকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর কথা চিন্তা করা হচ্ছে, আবার মাশরাফিও দলে থাকছে না নিয়মিতভাবে। তাহলে? আসুন তো দেখি পারফরমেন্স, দলে অন্তর্ভূক্তি, মানসিক পরিণতিবোধ, ক্রিকেটীয় মেধা ইত্যাদি বিবেচনায় কে এগিয়ে থাকছে অধিনায়ক হবার দৌড়ে..!!
তামিম: ও ভাল পারফরমার, মাথা ঠান্ডা নয়... ওর স্বাভাবিক খেলায় বাড়তি চাপ পড়ার সম্ভাবনা দেখি...
শাহরিয়ার নাফীস: দলে জায়গা পাকাপোক্ত হলে দেওয়া যেতে পারে... ম্যাচুরিটি আছে...ক্রিকেট বোঝে বলেই আমার ধারণা, কিন্তু দলে থাকতে/রাখতে তো হবে...
ইমরুল: ও-র এগুলো নিয়ে মাথা না ঘামানোই ভাল। অস্ট্রেলিয়ার সাথে ২য় ম্যাচের মত যদি আরো কয়েকদিন খেলে তাহলে সারাজীবনের জন্য চিন্তামুক্তি ঘটবে ওর।
জুনায়েদ: আলোচনা দরকার আছে? শার্ট ঘেমে গেল কি-না, মেক-আপ ঠিক আছে কি-না, হাঁটাটা ঠিকঠাক স্টাইলিশ হচ্ছে কি-না...ব্যাটের ব্যাক-লিফট ঠিক আছে কী-না এসব নিয়ে চিন্তা করতেই তো দিন শেষ, মাঠের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা করবে কখন..?
রকি বাল: বাইঞ্চুতরে এখনো দলে রাখছে কে সেই শালার সাথে আমি পারসোনালি কথা বলতে চাই... সিডন্স-এর সাথে ওর সম্পর্ক নিয়ে তদন্ত হইতে পারে... সিডন্স-চট্টগ্রামে কতদিন ছিল এইটা আবশ্যম্ভাবী প্রশ্ন হিসেবে সবার সামনে উত্থাপন করছি..
আশরাফুল: প্রশ্নই আসে না...দলে কবে ফিরবে তাই-ই তো অনিশ্চিত...ওরে নিয়া আর কথা বলতে চাই না... তাছাড়া আগেও সে দেখিয়েছে, এই পদ তার জন্য না।
সাকিব: এই ছেলে সবচেয়ে যোগ্য, কিন্তু শুধুমাত্র পারফরমেন্স নয়, ভাল আচরণ থাকাও অধিনায়ক হবার জন্য জরুরী... ইদানিং এই ছেলের আচরণ আর সহ্য করা যাচ্ছে না, ওভাররেটেড প্লেয়ার মনে হচ্ছে এখন সাকিবকে... তাছাড়া ওকেই তো সরানোর কথা উঠছে... তবে ওর অনেকগুলো ভাল দিক মিস করব আমরা..
মাশরাফি: ও ভাল পারফরমার। কিন্তু ওর বেড়ে ওঠা এবং ক্রিকেট জ্ঞান সম্পর্কে যতটুকু জানি তাতে ওর ম্যাচুরটি নিয়ে প্রশ্ন আছে... কিছু মানুষ থাকে চিরকালই ছেলেমানুষ... এটি কোন দোষের কথা নয়, কিন্তু জাতীয় দলের অধিনায়ক হতে হলে মেন্টাল এন্ড ক্রিকেটিং ম্যাচুরিটি থাকা দরকার... এছাড়া ওকে দীর্ঘমেয়াদে টিকিয়ে রাখতে হলে সব ধরণের চাপমুক্ত রাখতে হবে...
মুশফিক: ১৭ এবং ১৯ দলের ক্যাপ্টেন হিসেবে ও বেশ ভাল করেছে... বয়সও ওর পক্ষে। ম্যাচুরিটি-র প্রশ্নে সাকিব-এর পরেই ওকে হিসেব করি আমি। ক্রিকেটার হিসেবে বেড়ে ওঠার দিকটা চিন্তা করলে বেশ পরিণত মনে হয় ওকে। আবার পারফরমেন্স বিবেচনায় ওর ধারাবাহিকতা দলে টিকে থাকার মত। কিপিংয়ে উন্নতি করলে পাইলটের পর বাংলাদশের সেরা কিপার হতে পারত সে। অনেকদিন ধরে বিভিন্ন লেভেলে ক্যাপ্টেন্সির অভিজ্ঞতা আর জাতীয় দলে দীর্ঘদিনের ধারাবাহিক অন্তর্ভুক্তি অধিনায়ক হবার দৌড়ে এগিয়ে রাখে ওকে। আবার দীর্ঘমেয়াদে ক্যাপ্টেন নির্বাচন করতে চাইলেও মুশফিক তালিকায় ওপরের দিকে থাকে।
রাজ্জাক: ও ভাল ক্যাপ্টন হবে বলে মনে হয় না কেন যেন। আন্ডারস্টিমেট করছি না, কিন্তু ভাল বোলার হওয়া সত্ত্বেও রাজ্জাক হবু ক্যাপ্টেনদের তালিকায় ওঠার মত নয়। আমার ব্যাক্তিমত এটি।
রিয়াদ ও অন্যান্যরা: এখনও এই তালিকায় ওঠার মত অবস্থান তৈরি হয়নি এদের। তাই বিস্তারিত বলার দরকার নাই।
মতামত দিন।