বাড়ি ফিরছে মানুষ, আবারো আপনের ভিড়ে কাটুক ঈদ
বাস, লঞ্চ ও ট্রেনের আগাম টিকিট না পাওয়া, প্রয়োজনীয়সংখ্যক যানবাহন না থাকা, রাস্তা ও ফেরিঘাটে দীর্ঘ যানজট এবং নির্দিষ্ট সময়ে বাস ও ট্রেন না ছাড়ায় যাত্রীদের সীমাহীন কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে। এছাড়া টার্মিনালে পকেটমার, অজ্ঞান বা মলম পার্টি, থুথু পার্টি ও ছিনতাইকারীর উপদ্রবে যাত্রীরা ছিলেন তটস্থ, আতঙ্কিত। এদিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েও গতকাল লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস চালু করেননি মালিকরা। সবমিলিয়ে ঘরমুখো মানুষ ঈদ আনন্দের আগেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করেই গন্তব্যে যাচ্ছেন।
বাস ও লঞ্চ মালিক এবং ট্রেন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, অন্যান্য সময়ের তুলনায় গতকাল যাত্রীদের চাপ বেশি ছিল। ঢাকা নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. শরীফ আফজাল আমার দেশ’কে জানান, সাপ্তাহিক ছুটি ও ঈদ কাছাকাছি হওয়ায় নৌপথে দক্ষিণাঞ্চলগামী ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। দেশের ৩৯টি নৌরুটে অন্য সময়ে সাধারণত ৬০-৬৫টি লঞ্চ চলাচল করে। গতকাল ৭৫-৮০টি লঞ্চ বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। এসব লঞ্চে যাত্রী সংখ্যা ভালো ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবন সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান লুত্ফর রহমান রুমি কিসলু আমার দেশ’কে বলেন, অন্যান্য সময়ের তুলনায় গতকাল আনুমানিক শতকরা ২৫ ভাগ যাত্রী বেড়েছে।
গত ১০ নভেম্বর থেকে রোটেশন পদ্ধতি উঠে গেছে। আজ যাত্রীদের চাপ আরও বাড়বে বলে আশা করছি। গার্মেন্টসসহ শিল্প-কারখানা বন্ধ হলে যাত্রীদের ভয়াবহ চাপ পড়বে বলে আশঙ্কা করছি। তিনি জানান, আগামী ১৪ থেকে ২২ নভেম্বর লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস চালু হবে।
বাস মালিকদের সংগঠন ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ খান আমার দেশ’কে বলেন, ঈদের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে যাত্রীদের চাপ ততই বাড়ছে। বাস মালিকদের আরেক সংগঠন বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ মো. কামাল হোসাইন আমার দেশ’কে বলেন, গতকাল সকাল থেকেই যাত্রী বেড়েছে।
বাড়তি যাত্রী থাকায় বেশিরভাগ কোম্পানি বাসের অতিরিক্ত ট্রিপ দিয়েছে। গাবতলী থেকে বরিশাল, খুলনা, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলায় ৭শ’ থেকে ৮শ’ বাস চলাচল করে। গতকাল ১২শ’ থেকে ১৩শ’ বাস গাবতলী থেকে গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। তবে পথে যানজট থাকায় অনেক গাড়ি নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি। রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত দুই দিন থেকে ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। ঈদ পরবর্তী সময় পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজ করবে বলেও জানান তারা।
রাজধানীর বাস, লঞ্চ ও রেল স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই যাত্রীরা ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঝুট-ঝামেলা এড়িয়ে আগেভাগে বাড়ির উদ্দেশে তারা রওনা হয়েছেন। এরা মাথায়, কাঁধে, হাতে ব্যাগ নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে ছুটছেন। যারা আগে থেকে টিকিট কিনেছেন তারা নির্দিষ্ট যানবাহনে চড়তে পেরেছেন। কিন্তু আগাম টিকিট সংগ্রহে যারা ব্যর্থ হয়েছেন তারা এক কাউন্টার থেকে অন্য কাউন্টারে টিকিটের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরেছেন। কেউ টিকিট সংগ্রহ করতে পেরেছেন আবার কেউ টিকিট না পেয়ে বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে গেছেন। এদিকে পাটুরিয়া ও মাওয়া ফেরি ঘাটে তীব্র যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
বরিশালগামী হানিফ পরিবহনের যাত্রী শর্মিলা আক্তার জানান, গতকাল দুপুর ১টার কিছু সময় আগে বাস মাওয়া পৌঁছে। কিন্তু গাড়ির দীর্ঘ লাইন থাকায় তা বিকাল ৪টা ফেরিতে উঠতে সমর্থ হয়। এসময় দুপুরের প্রচণ্ড গরম ও ধুলোবালিতে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এদিকে নিম্নআয়ের মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাসের ছাদ ও খোলা ট্রাকে চড়ে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। আইন অমান্য করে পুলিশের সামনেই যাত্রী বহন করা হলেও পুলিশকে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। গতকাল সকাল ১১টা ১০ মিনিটে গাবতলী ব্রিজের ওপর পাবনাগামী রাজ রোড কিং পরিবহনের একটি বাসের ছাদে নারী-পুরুষ সমানতালে উঠতে দেখা যায়। বাসের হেলপার-সুপারভাইজার ও স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি তাদের ছাদে উঠতে সহযোগিতা করেন। বাসের ভেতরেও অনেক যাত্রীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। গাড়ির সুপারভাইজার জানান, বাসের ৪৫টি আসনের যাত্রীদের কাছ থেকে ১৫০ টাকা ভাড়া নেয়া হবে। ছাদ ও বাসের ভেতরে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫০ টাকা ভাড়া নেয়া হবে। একই সময়ে রাজশাহীগামী তুহিন পরিবহনের একটি বাসে একইভাবে ছাদে যাত্রী ওঠাতে দেখা যায়। একইভাবে ঢাকা থেকে আরিচা-পাটুরিয়াগামী জনসেবা পরিবহন, রংপুর-সৈয়দপুরগামী লামইয়া এন্টারপ্রাইজ, রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী গাংচিল পরিবহন, পাবনাগামী কোহিনুর পরিবহনসহ বেশ কয়েকটি নরমাল বাসের ছাদে যাত্রীদের উঠতে দেখা যায়।
আইনের তোয়াক্কা না করে যখন বাসের ছাদে যাত্রীদের ওঠানো হচ্ছিল ঠিক তখনই একজন এএসআইসহ কয়েকজন কনস্টেবল তাদের প্রহরা দিচ্ছিলেন। বিনিময়ে তাত্ক্ষণিকভাবে বাসপ্রতি ১০০ টাকা চাঁদা পান। এমনকি গাবতলী পুলিশ ফাঁড়ির ভবনের ঠিক পেছনে ছাদে যাত্রী ওঠানো হলেও মাত্র ১০-১৫ গজ দূরে থাকা পুলিশ সদস্যরা কিছুই যেন দেখেননি। বাসের যাত্রীদের ছাদে নেয়া প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য আমার দেশ’কে বলেন, কম ভাড়ায় এসব যাত্রীরা গন্তব্যে যেতে চাইলে আমরা কি করবো। তাছাড়া গাড়ির সঙ্কট তো আছেই।
লিঙ্ক
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মসজিদ না কী মার্কেট!
চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷
আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আকুতি
দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
ক- এর নুডুলস
অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।
ক
একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু
২-১ : আলিফ-লাম-মীম
আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন