![]()
ঐশী রহমানকে তার বাবা মাসে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাত খরচ দিতেন। তার ফল কী হয়েছে, তা এদেশের মানুষ জানে। কিন্তু ঐশী এবং তার বাবা-মায়ের এই করুণ পরিণতি সম্পর্কে আমাদের সমাজ খুব একটা শিক্ষা নিয়েছে বা নিতে পারবে তা আশা করা ঠিক না। আর সেটা যে সম্ভবও না, তা বোঝা যায় এই ঢাকা শহরের অভিজাত হোটেল-রেস্তোরাঁয় প্রতিদিনের আড্ডা আর ডিজে পার্টির বহর দেখলেই। আমাদের দেশের অঢেল সম্পদের মালিকরা তাদের সন্তানদের সীমাহীন হাত খরচ দিয়েই সম্ভবত নিজেদের স্ট্যাটাস বাড়ানো বা রক্ষা করার কথা ভেবে রেখেছেন!
কিন্তু আজ ফেসবুকের একটি পেইজে পেলাম বিশ্বব্যাপী খ্যাতি সম্পন্ন এক পিতা ক্যামেরন হ্যারল্ড-এর গল্প। তিনি তার সন্তানদের হাত খরচ দেন না, বরং বিভিন্ন কাজের বিনিময়ে তাদের বেতন দেন। অথচ এই পিতার সম্পদের পরিমাণ আমাদের দেশের কয়েকশ বড় বড় ব্যবসায়ীর সম্পদের যোগফলের চেয়ে বেশি! তার এই গল্পটা শুনুন তার নিজের ভাষায় -
‘হাতখরচ শিশুদের একটি বাজে ব্যাপারে অভ্যস্ত করে তোলে। এটি তাদের ‘বেতন’ আশা করতে শেখায়। একজন উদ্যোক্তা কখনো নির্দিষ্ট অঙ্কের বেতনের পেছনে ছোটেন না। আমার তিন ছেলেমেয়ে। আমি তাদের বলি বাড়িতে কোথাও কিছু ঠিকঠাক করা বা গোছানোর দরকার আছে কি না, তা খুঁজে বের করতে। তারা আমাকে এসে জানায়। তারপর আমরা আলোচনা করে ঠিক করি, কোনো একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য তাদের আমি কত পারিশ্রমিক দিতে পারি! হ্যাঁ, মাঝেমধ্যে আমরা দর-কষাকষিও করি! কিন্তু এতে তাদেরই উপকার হয়। তারা চারপাশ থেকে সুযোগ খুঁজে নিতে শেখে, নিজের কাজ নিজেই করতে শেখে। এ ছাড়া কীভাবে কাজের যথাযথ দাম আদায় করতে হয়, তা-ও শিখে নেয়।’
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:২১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




