বস্তুর অস্তিত্ব থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে কবি সৃষ্টির জন্য তাড়না অনুভব করেন। বস্তুজগতের তাড়নায় কবির সৃষ্টিক্রিয়া কেমন করে সঞ্চারিত হয় তা পরখ করে দেখা যেতে পারে। কবি তার পঙ্ক্তির মাধ্যমে কাঙিক্ষত ভাব প্রকাশ করতে হয়তো কিছু সময়, কখনোকখনো বেশ কিছু সময় লেগে যায়। কখনো আবার সপ্তাহ বা বছরও পার হয়ে যায়। বিশ্বখ্যাত অনেক গুরুত্বপূর্ণ কবির ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটেছে। কবির যাত্রা শুরু হয় অনুপ্রেরণার চাকায় ভর করে। বলতে পারা যায়, অনুপ্রেরণার তাড়নাই কবিকে শেষ পর্যন্ত গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার দায় বহন করে। কবির মাথায় চিন্তার যে বিন্দু এসে জমা হয় তা অনুপ্রেরণার তার বেয়ে আসে। আবার এই চিন্তার বিন্দুগুলো জমে এমন একটি জলাধার তৈরি করে ফেলে যখন কবি নিজেও উদ্দীপনা বোধ করেন তাকে শব্দে শব্দে গেঁথে ভাষায় রূপ দিতে। তাড়না থেকে উদ্দীপনা স্তরে পৌঁছতে একটি চিন্তাঘন শ্রমনিষ্ঠ ও নিরঙ্কুশ কল্পনাসংরাগী অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে কবিকে এগুতে হয়। পল ভ্যালেরি একবার বলেছিলেন, `কবিতার একটি লাইন ঈশ্বর বা প্রকৃতির আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে নাযেল হয় আর বাকিটা কবির নিজেকে শেষপর্যন্ত আবিষ্কার করতে হয়।' ভ্যালেরির এই মন্তব্য সর্বস্তরের কবিদের অভিজ্ঞতার সমর্থন পাবে কি না জানি না। তবে একটি মীমাংসায় আসা যায়, তাড়না কবিকে সৃষ্টির এমন একটি স্তরে নিয়ে যায় যেখানে সচেতন নয়, অচেতন ও অবচেতনের গভীরতা খুঁড়ে বেরিয়ে আসে স্বয়ংক্রিয় পঙ্ক্তিমালা। পঙ্ক্তিমালা আরো বিস্তৃত হয় সচেতনমনের উদ্দীপনার ডানা বেয়ে। কার্ল গুস্তাভ ইয়ুং এমন কথাই নানা সময় ইঙ্গিত করেছেন, `সৃষ্টির উপকরণ আসে অবচেতনের অতল থেকে। সচেতন স্তরের অভিজ্ঞতার গুরুত্ব নিয়ে মানুষের মনে যখন কোনো সন্দেহ তৈরি হয় না, সেখানে অবচেতন স্তরের উপকরণ সম্পর্কে তো কোনো প্রশ্ন থাকার অবকাশ আসে না। কারণ অবচেতন মানুষের অধিকতর তাৎপর্যবাহী অংশ। সচেতন পর্যায়ে মানুষ যেসব কাজ সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয় তাই জমা হয় অবচেতনের বিবরে। স্বপ্ন সেসব অভিজ্ঞতাকে পরিপূরণের কাজ করে সংগোপনে।' স্টিফেনস্পেনডার অবশ্যি বলেছেন, `আমার কাছে কবিতা লেখার তাড়না এমনভাবে তৈরি হয় যেন বিষণ্ন আকাশের মেঘের মতো সেজে থাকে ভাবনা, তারপর হঠাৎ স্থায়ী বর্ষণে পরিণত হয়।' অনুপ্রেরণা বা তাড়না একইসঙ্গে কবিতার প্রারম্ভে এবং চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছানোর শক্তি। তাড়ানার অভিঘাতে কোনো একটি চিন্তার সূত্র হঠাৎ কবির মননে আবির্ভূত হয় তারপর সেই চিন্তা পরবর্তী পর্বে দানা বাঁধতে বাঁধতে শেষ পর্যন্ত শব্দে রূপ লাভ করে।
আইনের ফাঁকফোকর-০৩
যেকোনো চাকরির নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। সেটা পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা পর্যায়ের কোনো কার্যালয়ে হতে পারে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি
(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।
ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।
সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা
সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন