কল্পনার অবিচল প্রকাশ ছাড়া কীভাবে কবি তার ভাবকে প্রকাশ করবেন? কল্পনার পাহাড়ে হেঁটে হেঁটে অদ্ভুত দুর্গম পরিস্থিতি মোকাবেলা করে, অনেক রক্ত জড়িয়ে তাকে অনেক নতুন পথ তৈরি করতে হয়। নিজের সামর্থের মধ্যে, নিজের শক্তিমত্তার মধ্যে, সর্বোপরি নিজভাবনার চারপাশে একটি নিজস্ব প্রকাশভঙ্গি থাকতে হয় কবির। এই প্রকাশভঙ্গি অক্ষরবন্দি হবে তারই সৃষ্ট ভাষায়। কবির কাজ এমনই বোধহয়।
কবিদের কল্পনাশক্তি থাকে এমনই প্রবল। আবেগের অন্ধ উদগীরণে ডুবে থাকলে কবিতা হয়? কবিতার জন্য আবেগের উদ্ভাস কত জরুরি জানি না তবে কল্পনার নিরঙ্কুর বেলাভূমিতে বিচরণ আর তার থেকে অবিরাম নির্মাণ যে অত্যন্ত দাবিদার সে কথা নিঃসন্দেহ। কল্পনার ক্যানভাসে যত বেশি গভীরে যেতে পারেন কবি তার যাত্রাপথের সার্থকতা তত বেশি প্রসারিত।
নতুন কবির কাজ, চারপাশের অবিষয়কে বিষয় করে তোলা। কবির কি কেবল দেখার চোখ দিয়ে বস্তুকে দেখলে হয়? হয় না। বস্তুর ছায়া, প্রতিবিম্ব, দূরত্ব, আলো, আস্বাদ এবং তার আরো আরো অস্তিত্ব কবিকে ডিসকভার করতে হয়। কবির নিরঙ্কুশ সঙ্গী তাই ইমাজিনেশন। আর ইমাজিনেশনের মধ্যে জান্তে অজান্তে জায়গা করে নেয় চিন্তা, অতীত, অভিজ্ঞতা...অনুভূতির ছড়ানো ঢালপালা, লতাপাতা...ইত্যাদি।