পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের ৬টি ব্যাংকের পিই রেশিও গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে আর ৩টি ব্যাংকের পিই রয়েছে ঋণাত্মক অবস্থানে। বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন শেয়ারবাজারে কম পিই রেশিওর কোম্পানিতে বিনিয়োগ উত্তম। তাদের মতে, কম পিই কোম্পানিতে বিনিয়োগ তুলনামূলক বেশি পিই থেকে ঝুঁকি কম। সেক্ষেত্রে দেশের সার্বিক অর্থনীতির তুলনায় পুঁজিবাজারের একটি বড় খাতের কোম্পানিগুলোর এই দূরবস্থা স্বাভাবিক নয় বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রমতে, পুঁজিবাজারের বর্তমান গড় পিই রেশিও ১৬.১৩। অন্যদিকে ব্যাংকিং খাতের গড় পিই রেশিও ৯.৮৮। তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে সর্বনিম্ন পিই রেশিও প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের ৪.৫৬। পাশাপাশি সর্বোচ্চ পিই ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের ২৭.৫০। এছাড়া তিনটি ব্যাংকের পিই ঋণাত্মক। এ ঋণাত্মক তালিকার ব্যাংক তিনটি হলো- শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড।
সর্বনিম্ন পিই রেশিওর ব্যাংকগুলের মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের পিই রেশিও ৫.৮৭, প্রিমিয়ার ব্যাংকের পিই রেশিও ৫.৯৪, আইএফআইসি ব্যাংকের পিই রেশিও ৫.১১, ইবিএলের পিই রেশিও ৫.৫৭, ট্রাস্ট ব্যাংকের পিই রেশিও ৬.৩০ এবং মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের পিই রেশিও ৬.৪৮।
১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পিই রেশিওর ৬ ব্যাংকের মধ্যে প্রাইম ব্যাংকের পিই রেশিও ৪.৫৬, এবি ব্যাংকের পিই রেশিও ৭.১৭, ন্যাশনাল ব্যাংকের পিই রেশিও ১০.২০, এসআইবিএলের পিই রেশিও ৫.২৯, ইউসিবিএলের পিই রেশিও ৫.৫৯ এবং উত্তরা ব্যাংকের পিই রেশিও ৮.৮২।
এ প্রসঙ্গে বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশিদ বলেন, টানা তিন বছর ব্যাংকিং খাতের শেয়ারের দর হারাচ্ছে। ব্যাংকিং খাতের শেয়ারের দর কমতে কমতে তলানিতে এসে ঠেকেছে। তার মতে, নানা কেলেঙ্কারিতে এ খাতটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার প্রভাবে ব্যাংকিং খাতের পিই রেশিও বর্তমানে অনেক নিচে নেমে এসেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, দুই কারণে কোম্পানির পিই রেশিও কমতে পারে। প্রথমত; কোম্পানির দর কমে যাওয়া এবং দ্বিতীয়ত; কোম্পানির আয় বেড়ে যাওয়া। পিই রেশিও কমের কোম্পানি মানে বিনিয়োগ ঝুঁকিও কম। এছাড়া বর্তমানে যেসব বিনিয়োগকারী কম পিই রেশিওর মৌলভিত্তি শেয়ারে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করবে, তারা যথেষ্ট লাভবান হবে বলে মত দেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।