somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেশটার পশ্চাৎদেশে বেশ কটি বাঁশ দিয়ে মা মরা, বাপ হারা ছিন্নমূল বিলুপ্তপ্রায় বাম

১৩ ই এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৫:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বামপন্থীরা কই? আছে হয়তো। কিন্তু আপাতত শাসনটা যেহেতু আওয়ামীলিগের, এবং যেহেতু শ্রেনীব্যবধান বিলোপ হয়ে সাম্যবাদের জোয়ার বইছে, এবং যেহেতু পরিমানমত হালুয়া রুটি পাওয়া যাচ্ছে, সেহেতু সমাজতন্ত্রের বিপ্লব আপাতত: জিরোতে পারে! পেটি-বুর্জোয়াদের ধাওয়া করতে করতে জনযোদ্ধারা ক্লান্ত! ঘোরতর পুঁজিবাদী পাউরুটি, জেলী চিবোতে চিবোতে, ব্হুজাতিক টয়োটা বা নিশান হাঁকিয়ে, বাচ্চাকে এংলো-ইন্ডিয়ান পাঠশালায় ঠেলে, মধ্যাহ্নে মার্কিনী স্যান্ডউইচ ও কোক চালান করতে আপাতত: বাম পুরোহিতদের লজ্জা লাগছেনা। জীবনভর এন্তার বক্তৃতা দিয়ে যেখানে জামানতটাই বাচানো যায়নি, সেখানে দুখানা এমপিত্ব, একখানা মন্ত্রীত্ব ! দুনিয়ার মজদুর-আমেরিকা চল!
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আপনারা কি জানেন৩৮ বছর বয়সি এই বাংলাদেশটার পশ্চাৎদেশে সবচেয়ে বড় বাঁশটি কে দিয়েছে? যার আঘাতে অনিবার্য রক্তক্ষরন হচ্ছে এখনো। আপনার আমার পকেট থেকে দেয়া ট্যাক্সের টাকাটা পানিতে যাচ্ছে। হ্যাঁ এ অপকর্মটি করেছে বামরা।
বিশ্বাসপ্রবন, উদারমনা শেখমুজিবকে ফুঁসলিয়ে লাভজনক স্টিলমিল, পাটকল, টেক্সটাইল গুলোকে ঢালাও সরকারী করে পথে বসিয়েছে জাতীয় অর্থনীতি। শেষতক এগুলো বন্ধ, হাজারো শ্রমিক বেকার, কম্পাউন্ডে চড়ছে গরু-ছাগল। বেসরকারীকরনের আরেকদফা লুটপাট এখন।
আপনারা কি জানেন, দেশটার পশ্চাৎদেশে ২য় বৃহত্তম বাশঁটি কে দিয়েছে? বামরা। দক্ষিন-পশ্চিমান্চলে তথাকতিত সর্বহারা নামক বস্তুটির অত্যাচারে সেখানকার মানুষ কতটা ভয়াবহতা কাটিয়েছে তা প্রকৃত ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ বুঝবেনা। আমার বন্ধুর চার ভাইকে একসাথে বাড়ির উঠানে ব্রাশফায়ার করেছে লাল্টু বাহিনী চাহিদামত চাদাঁ না পেয়ে। শ্রেনীশত্রু খতমের শ্লোগান দিতে দিতে তারা চলে যায়!
এদেশে কতটি বামদল আছে তা খোদ বদরুদ্দিন উমরও বলতে পারেননি। একুশে টিভি একদিন জিজ্ঞেস করেছিল। এমনকি ঘোরতর আওয়ামীলিগ তথা মহাজোটের মহা একলোককে জিজ্ঞেস করেছিলেম উক্ত জোটের সবগুলি দলের নাম বলতে। বেচারা!
তবে এটুকু বলা যায়, পিকিং, মস্কো, হাভানা, কলকাতা, কুস্টিয়া, পিয়ং ইয়ং সব কেবলা মিলেও কোন নির্বাচনে ১% বাম ভোট হয়নি। তবু হতোদ্যম নয় তারা। ব্র্যাভো! মঞ্চ ঠেঁসাঠেঁসি করে ২০/২৫ জন অনলবর্ষি বক্তা মাইকওয়ালা, বাদামওয়ালাসমেত সাড়ে ৫জন শ্রোতার বিশাল সমাবেশে(!) ঢাকার মুক্তাঙ্গন বা চট্টলার শহীদ মিনারে তুবড়ি ছোটান। ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রমৈত্রী, ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্রধারা.....র দেয়ালিকা, লিফলেট, পোস্টারের হাকঁডাকেঁ প্রথম বর্ষের সদ্যজাত ছাত্রটির বিস্ময়ে বিস্মিত হয় ক্যাম্পাস। তারপর দেখাযায় আসল দৃশ্য। সুরসুর করে পেটিবুর্জোয়া লীগের বগলে ঢুকে পড়ে কাস্তে গুলো। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা 'ভূলে' দুচারটা বামকে হত্যা করলেও গগনবিদারী আওয়াজ উঠে "শিবিরের খুনীরা, হুশিয়ার সাবধান"! এভাবে শিবিরের প্রকৃত খুন গুলোও ঢাকা পড়ে সন্দেহের চাদরে।
পুরোপুরি বাতিল হওয়া ফালতু কিছু তন্ত্র-মন্ত্র, দফায় দফায় জনগন কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত নানাবিদ ফেরকার সমাজতন্ত্র এদেশের সমাজে তেমন কোন সামাজিক কল্যান বয়ে আনেনি। এনেছে কিছু অর্থনৈতিক বিপর্যয়, সামাজিক সন্ত্রাস, জন্ম দিয়েছে অপ্রয়োজনীয় ইসলাম বিদ্বেষের।
তবে ব্যক্তিগত ভাবে বামাদর্শি লোকগুলো সৎ, পরিশ্রমী, দলের প্রতি ত্যাগী ও নিস্ঠাবান। খেয়ে না খেয়ে কাজ করেন। হয়তো তারা সপ্ন দেখেন সেই প্রেমিকের মত-
৯ম শ্রেনীর সহপাঠিনি প্রেমিকা সাড়া দেয়নি। ভাবল এসএসসির গন্ডি পেরুক। কলেজের জোড় প্রচেস্টাও বিফল। ভাবল এইচএসসির পর তো সে ভাল সাবালক হবে। তখন হয়ত..। দিন গড়িয়ে অনার্স প্রথম বর্ষ। না কোন সাড়া নেই। তবু নাছোড়বান্দা প্রেমিক। ২য় বর্ষে হঠাৎ জনৈক ব্যবসায়ীর সাথে বিয়ে। আহ্‌। তবুও হাল ছাড়ল না। 'এই বিয়ে টিকবেনা!' তখন আমি!! এই করে ২ বাচ্চার জননী প্রেয়সী। তবু প্রেমিক মন পিছু ছাড়েনা। এই ব্যাটা বুড়া আলু ব্যাপারী নিশ্চয়ই মরবে একদিন। তখন আমি! হয়তো সেদিন বামদের সাথে বাংলার মানুষের মিলন হইবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৫:৫১
৫৯টি মন্তব্য ৩২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজামী, মুজাহিদ, বেগম জিয়াও বিজয় দিবস পালন করেছিলো!!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২০



মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বেগম জিয়ার মুরগী মগজে এই যুদ্ধ সম্পর্কে কোন ধারণা ছিলো না; বেগম জিয়া বিশ্বাস করতো না যে, বাংগালীরা পাকীদের মতো শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে পারে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার থেকে

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×