ঘটনাকাল ২০০৮।
এগারো বছরের শিশু আসমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে তাঁর দাদী।
সমস্যাঃ মেয়েটি হটাৎ করে মুটিয়ে যাচ্ছে, সমবয়সীদের সাথে আগের মত খেলতে চায় না,
চুপচাপ শুয়ে বসে থাকতে চায়...
ডাক্তাররা পরীক্ষা করে পাঠিয়ে দিলেন গাইনী বিভাগে...নিশ্চিত হওয়া গেল শিশু আসমার দেহে আরেকটি শিশুর অস্তিত্ব...ঘটনা শুনে তাঁর দাদীর
মুর্ছা যাবার উপক্রম...এও কি সম্ভব!!!
হুম, এ অসম্ভবকে সম্ভব করেছে তাঁর এক দাদা...অবুঝ আসমা সব কিছুই গোপন রেখেছিল...আসমা তখন বোঝেনি কি ভয়ঙ্কর এক
পরিনতি অপেক্ষা করছিল তাঁর জন্য!
ঘটনাকাল ২০১৪।
সোনারগাঁয়ের মেয়ে শিউলি...জন্মগতভাবেই বাক
প্রতিবন্ধী সে...এলাকার বখাটে ছেলেটির রোষানলে পড়ে সে...ধর্ষিত হয়...মুখে বলার ক্ষমতা আল্লাহ্
তাঁকে দেন নি...বুঝিয়ে বলার ক্ষমতাও কেড়ে নেয় বখাটের হুমকি...সর্বশেষ, শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে সে ডাক্তারের শরনাপন্ন হয়...ততোদিনে ৭ মাসের অন্ত্বসত্তা শিউলি।
---শুধু আসমা,শিউলি নয়... প্রতিদিনই এমন অনেক আসমা/শিউলির গল্প পত্রিকায় আসে; যারা কোন না ভাবে এই আসমা ও শিউলির মতো ধর্ষিত হয়েছে। কিন্তু আমাদের এই সমাজ, এ রকম ধর্ষনের ঘটনার পর প্রথমেই আঙুল তোলে সেই ধর্ষিতার উপর ; যেন ধর্ষন হওয়াটা তার-ই দোষ। প্রশ্ন উঠে তার চরিত্র নিয়ে, প্রশ্ন ওঠে তার পোষাক নিয়ে,প্রশ্ন ওঠে তার মা-বাবা নিয়ে। কেউ যেন ধর্ষকের দোষ দিতেই চায় না।
কিন্তু একবার ভেবে দেখেছেন কি? আপনার সেই ধর্ষকের পক্ষে পক্ষপাতীত্ব এ রকম অপরাধকে কতটা প্রচ্ছায় দিতে পারে বা সেই ধর্ষিতার কাছেই এটা কতবড় কষ্টের হতে পারে???
আমি জানি, সকলে আমার সাথে একমত হবেন না, অনেকে ঘুরে উল্টে সেই আছমা এবং শিউলিদেরই দোষ দিতে চাইবেন। যারা এই আসমা এবং শিউলিদের দোষ দিতে চান তাদের জন্য আমি কয়েকটা প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি; আশা করছি প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিবেন।
প্রশ্নঃ-১:
আসমার শারীরিক গঠন কি সেই পরিমানে হয়েছে যা দেখে একজন পুরুষ যৌন উত্তেজনা পেতে পারেন?
প্রশ্ন-২:
যৌন আবেদন দিতে পারে এমন পোশাক
কি শিশু আসমা/ প্রতিবন্ধী শিউলি পরে থাকত?
প্রশ্ন-৩:
শিশু আসমা/প্রতিবন্ধী শিউলির মধ্যে কি অতি আধুনিকতা/উগ্রতা ছিল?