somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্ষন হওয়া যেন নারীর-ই দোষ

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ঘটনাকাল ২০০৮।
এগারো বছরের শিশু আসমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে তাঁর দাদী।

সমস্যাঃ মেয়েটি হটাৎ করে মুটিয়ে যাচ্ছে, সমবয়সীদের সাথে আগের মত খেলতে চায় না,
চুপচাপ শুয়ে বসে থাকতে চায়...
ডাক্তাররা পরীক্ষা করে পাঠিয়ে দিলেন গাইনী বিভাগে...নিশ্চিত হওয়া গেল শিশু আসমার দেহে আরেকটি শিশুর অস্তিত্ব...ঘটনা শুনে তাঁর দাদীর
মুর্ছা যাবার উপক্রম...এও কি সম্ভব!!!
হুম, এ অসম্ভবকে সম্ভব করেছে তাঁর এক দাদা...অবুঝ আসমা সব কিছুই গোপন রেখেছিল...আসমা তখন বোঝেনি কি ভয়ঙ্কর এক
পরিনতি অপেক্ষা করছিল তাঁর জন্য!

ঘটনাকাল ২০১৪।
সোনারগাঁয়ের মেয়ে শিউলি...জন্মগতভাবেই বাক
প্রতিবন্ধী সে...এলাকার বখাটে ছেলেটির রোষানলে পড়ে সে...ধর্ষিত হয়...মুখে বলার ক্ষমতা আল্লাহ্
তাঁকে দেন নি...বুঝিয়ে বলার ক্ষমতাও কেড়ে নেয় বখাটের হুমকি...সর্বশেষ, শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে সে ডাক্তারের শরনাপন্ন হয়...ততোদিনে ৭ মাসের অন্ত্বসত্তা শিউলি।

---শুধু আসমা,শিউলি নয়... প্রতিদিনই এমন অনেক আসমা/শিউলির গল্প পত্রিকায় আসে; যারা কোন না ভাবে এই আসমা ও শিউলির মতো ধর্ষিত হয়েছে। কিন্তু আমাদের এই সমাজ, এ রকম ধর্ষনের ঘটনার পর প্রথমেই আঙুল তোলে সেই ধর্ষিতার উপর ; যেন ধর্ষন হওয়াটা তার-ই দোষ। প্রশ্ন উঠে তার চরিত্র নিয়ে, প্রশ্ন ওঠে তার পোষাক নিয়ে,প্রশ্ন ওঠে তার মা-বাবা নিয়ে। কেউ যেন ধর্ষকের দোষ দিতেই চায় না।
কিন্তু একবার ভেবে দেখেছেন কি? আপনার সেই ধর্ষকের পক্ষে পক্ষপাতীত্ব এ রকম অপরাধকে কতটা প্রচ্ছায় দিতে পারে বা সেই ধর্ষিতার কাছেই এটা কতবড় কষ্টের হতে পারে???

আমি জানি, সকলে আমার সাথে একমত হবেন না, অনেকে ঘুরে উল্টে সেই আছমা এবং শিউলিদেরই দোষ দিতে চাইবেন। যারা এই আসমা এবং শিউলিদের দোষ দিতে চান তাদের জন্য আমি কয়েকটা প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি; আশা করছি প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিবেন।
প্রশ্নঃ-১:
আসমার শারীরিক গঠন কি সেই পরিমানে হয়েছে যা দেখে একজন পুরুষ যৌন উত্তেজনা পেতে পারেন?
প্রশ্ন-২:
যৌন আবেদন দিতে পারে এমন পোশাক
কি শিশু আসমা/ প্রতিবন্ধী শিউলি পরে থাকত?
প্রশ্ন-৩:
শিশু আসমা/প্রতিবন্ধী শিউলির মধ্যে কি অতি আধুনিকতা/উগ্রতা ছিল?
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×