কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প নিয়ে বেশ কয়েকদিন হলোই নিয়মিত লেখালেখি করছি। এর পিছনের কারন হচ্ছে, কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে বাস্তবাতায় কেমন সেবা চলছে, সেটি বারবার আড়ালেই থেকে যাচ্ছে ইলেক্ট্রনিক কিছু মিডিয়া এবং পত্র-পত্রিকার বাড়িয়ে বলা উৎসুক নিউজগুলোর কারনে।
এখানে কাদের দিয়ে সেবা পরিচালনা করা হচ্ছে, তাদের যোগ্যতা কতটুকু, এসব বিষয় যেন জনগণের বারবার আড়াল করার চেষ্টা করেছে খোদ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই। এটি যতটানা উদ্দীগ্ন হবার মতো বিষয় এবং ঠিক ততোটাই ভয়ংকর।
কারন এগুলোতে যাদের দ্বারা সেবা পরিচালনা করা হচ্ছে তারপর এটিকে মেডিকেল ইথিক্সনুযায়ে ক্লিনিক বলা যায় কিনা সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
সেবা পরিচালনা করা হচ্ছে, আর্টস,কমার্স, মানবিক, কারিগরি সহ সকল শাখার এইসএসসি সমমান ছাত্রদের মাত্র তিন মাসের ট্রেনিং করিয়ে। তাদের নাম দেওয়া হলো সিএইচসিপি। একটি ক্লিনিক শুধুমাত্র একজন কর্মচারীই চালাচ্ছে। ভাবতেও আবাক লাগে সারা জীবন কারিগরি পড়ে ৩ মাসের একটি ছোট ট্রেনিং নিয়েই পেয়ে যাচ্ছে সে স্বাস্থ্যসেবা পরিচালনা করার দায়ভার। এটি যতটানা হাস্যকর তবে তার চেয়েও বেশী ভয়ংকর।
এখন এখানে প্রশ্ন আসে, মাত্র ৩ মাসের ট্রেনিং করিয়ে স্বাস্থ্যসেবার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় শুধুমাত্র একজন সিএইচসিপির হাতে তুলে দেওয়া ঠিক হচ্ছে কি?
এসব ৩ মাসের ট্রেনিং প্রাপ্ত কর্মচারীর হাতে কেমন সেবা পাচ্ছে সাধারণ মানুষ, সেটিও আরো বড় প্রশ্ন। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান, যদি লোক দেখানো সেবা পরিচালনার ভূমিকার অবতীর্ণ হয় তবে সে প্রশ্ন জনগণকেই তুলতে হবে।
এসব বিষয়ে জনগণের সচেতনতা জরুরি, না হলে এই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দুদিন পর যে ঝাড়ুদারদের দিয়েও স্বাস্থ্য সেবা পরিচালনা করাবেনা এর নিশ্চয়তা কি?
কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে পদ সংস্কার আজ সময়ের দাবী হয়ে দাড়িয়েছে। এমত অবস্থায় ডিপ্লোমা চিকিৎসকরা দাবী তুলছে, তাদের এগুলোতে নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্য সেবার মান ফিরিয়ে আনার।
আমার মনেহয় দাবীটি গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নেওয়া উচিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রালয়ের।
না হলে এই প্রকল্পটি অতি দ্রুতই জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার সঙ্কা করছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫