somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাতি, হিজড়া অথবা মেন্টাল হিজড়াদের গল্প

০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পাচটাকা দিলি ক্যান?এ্ইটাতো একটার দাম X(
কৃত্রিম অথচ উন্নত বক্ষদ্বয়ের প্রতি আমার এহেন অবিভাজন নীতি যে নিরপেক্ষতা হারিয়ে পক্ষপাতিত্বে রূপ নিচ্ছে তা উপলদ্ধি মাত্র আরো পাচটাকা খসাতে হলো। প্রতিটির জন্য পাচ টাকা।:) এরকম অযাচিত বিনোদনে যখন পাটুরিয়ার দীর্ঘ জ্যাম ভুলছিলাম তখন আবারও অযাচিত আক্রমনের শিকার, আবারো বিনোদন, তবে এবার অন্য গ্রুপ। ততক্ষনে গাড়ি ফেরিতে উঠে গেছে। চাহিবামাত্র বাহককে অর্থ প্রদান না করায় আমাদের ড্রাইভারের সাথে বচসার ফলস্বরূপ নিমাঙ্গের বস্ত্র উতপাটন পুরোটা উন্মোচিত হওয়ার আগেই আশে পাশের জনা বিশেক দর্শকের নির্মল বিনোদনে পানি ঢেলে পরিবেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করলাম।
পাটুরিয়া ঘাটেতো একদলরে দিলাম। আবার কেন?
- হেরাতো তোগো ভাতার লাগে তাই দিছস, আমগো দে? সবকি খুইল্লা কমু....
- উরিব্বাস, দশটাকার সাথে আরো দশটাকা যোগ আপাত সমস্যার সমাধান করা গেল। নিচের দিকে রেট বেশি.....এবঙ সেটাই স্বাভাবিক;)

হাতিবাজ
খুলনার ফুলতলা অতিক্রমের সময় অতিকায় হাতির বামন সংস্করণটি দেখে লোভ সামলাতে পারলামনা। যেইনা ক্যামেরায় ক্লিক করতে যাব অমনি বনেটের উপর পেল্লাই এক বাড়ি। যার মর্মার্থ হল, তিনি চাদাবাজির মতো মহান কাজে ব্যস্ত, ক্যামেরার কারসাজি করতে গিয়ে অযথাই তার দেরি করিয়ে দিচ্ছি, দিলাম আরো দশ।

শ্রমিকবাজ
যশোরের অভয়নগরের কাছে দেখলাম ট্রাকের বিশাল লাইন। কেউ একজন প্রতি ট্রাক হতে গোলাপী রংয়ের একটা স্লিপের বিনিময়ে অর্থ সংগ্রহ করছেন। ঢাকা টু খুলনার পথে প্রান্তরে এতবেশি টোল আর চাদাবাজির শিকার হতে হয়েছিল যে আমার ড্রাইভার আগেই বিশটাকা হাতে নিয়ে জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে ছিল।
:ফাইজলামী করেন?
তব্দা লেগে গেল/:)। চাদাবাজরা চাদা নিচ্ছেনা। এ কোন মগের মুল্লুকে এসে পড়লাম। ড্রাইভার অবশ্য দ্রুত ধরায় ফিরে আসায় হুশ করে বের হয়ে গেল। এখনে শ্রমিকনেতারা শুধু ট্রাক থেকেই তোলা তুলছিলেন। আমাদের মতো মাইক্রো, প্রাইভেট কার অনারা গোনায় ধরেননা। তাই আমাদের টাকা প্রদান করাটা অনাদের আহতই করেছিল। যাকা বাবা, চাদাবাজি করে বলে নীতিটাতো এখন বিসজর্ন দেয়নি।

পথে প্রান্তরে এভাবে নিজেরা এবং অন্যদের চাদাবজির শিকার হতে দেখেছি। কিন্তু একমাত্র শ্রমিক লীগ ছাড়া অন্য কাউকে রশিদ দিতে দেখেনি। শ্রমিকলীগের এই যে নিয়ম মানার চেষ্টা, গ্রাহককে তার প্রাপ্য রশিদ বুঝিয়ে দেয়া, এটা বেশ আশান্বিত করেছে। আহা কি স্বচ্ছতা, সবাই যদি এমনটি করতো তাহলে দেশ কোথায় এগিয়ে যেত? গ্রাহকের সেবার জন্য অর্থ নিব কিন্তু প্রাপ্তি স্বীকারপত্র অথবা রশিদ দিবনা এরকম অরাজকতা দেশে হরহামেশাই দেখা যায়।ব্যাতিক্রম শুধু শ্রমিক লীগের ট্রান্সপারেন্ট ভাইয়েরা। হয়তো পুর্বসূরী শ্রমিকদলের ভাইদের কাছ থেকে এমন মধুর স্বভাব পেয়েছে।হারামজাদা হাতি আর মান্যবর হিজড়ারা কবে গ্রাহককে তার প্রদেয় অর্থের বিপরীতে রশিদ দেয়া শিখবে?

দেৌলতদিয়া ঘাটে আবারো তাদের খপ্পরে পড়লাম। এবার কোন ক্যাচাল না করে সরাসরি দশ টাকা দিয়ে দিলাম। তবে মিনমিনে কন্ঠে রশিদ চাইতেই ......রশিদতো নাই, রশিদের বদলে ্গা দেহাই.......;)..

ধরণী দ্বিধা হয়। এত বেশি স্বচ্ছতা না আবার গ্রাহকদের বিব্রত করে।

অ.ট.- হিজড়ারা দুমুঠো ভাতের জন্য নিন্দনীয় হলেও চাদা তোলার মতো খারাপ কাজ করছে। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ বা শ্রমিক নেতাদের তো সে সমস্যা নাই। তাহলে কেন তারা এরকম নিন্দনীয় পেশায়। এর উত্তর হতে পারে তারা হয়তো শারীরিকভাবে হিজড়া নয়, তবে মানসিকভাবে তারা হিজড়ায় পরিণত হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×