somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: পারিবারিক গোরস্থানে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ

১১ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রার্থনা সেইসব টগবগে যুবক, আবাল বৃদ্ধ বণিতার রুহের প্রতি যাদের রক্তস্নান, লজ্জাস্নানে এই পারিবারিক গোরস্থানের স্বপ্ন সম্ভব হয়েছিল। এবং করুণা সেইসব যুবক, আবাল বৃদ্ধবণিতার উদ্দেশ্যে যাদের তৃষ্ণার্ত লড়াইয়ের প্রেরণা ছিল সবুজ কার্পেটে মোড়া একখন্ড বেপরোয়া স্বাধীন ভুমি, দোয়েল- ফরিঙ এর কলরবে সজীব জীবনের স্পন্দনের ভাষান্তর, দুমুঠো উদর পুর্তিতে দরাজ গলায় ঘাসের ডগার গানে মাতোয়ারা কৃষক, অথবা মরা গাঙে হঠাত আসা উজানে কৃশ ধীবরের অসাংবিধানিক উল্লাস, ছনের জীর্ণ ছাউনি ঘেরা রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বালক বালিকাদের সুরে দুধ মাখা ভাত কাকে খাওয়ার ছন্দ অথবা মায়ের উষ্ণ আদরে খোকার অকালে ঘুমিয়ে পড়া যেখানে বর্গিদের আর হানা দেয়ার গল্প নেই। কি খ্যাতই না স্বপ্ন দেখেছিল তারা আর এই খ্যাত স্বপ্ন কিনেছিল চড়া দামে! আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বের দায় কাধে তুলে নিয়েছি। এইসব খ্যাত স্বপ্ন রয়ে যাক কবিতার শব্দে, ইতিহাসের খোয়াড়ে। আমরা সব স্বপ্নকে গোরস্থানে কনভার্ট করেছি, অতি লাভজনক বিধায়। গড়ে তুলেছি অতি মনোহর এক শৈল্পিক সিমেট্রি।

আমাদের গোরস্থানের চারিদিকে অবারিত প্রান্তর, ধুসর দামাল হাওয়া কবরের চারিদিকের জলজ অঙ্গে কলরব তোলে, পাখিরা কবরে সৌন্দর্যে মুগ্ধতা ঝড়ায়। শরতে দিঘন্ত জোড়া ঘাসফুলে পেলব হাওয়ার মাতাল আর্তনাদ। শিক্ষাবীহিন নাগরিকরা ঘাসফুলে তৃপ্ত হয়, কবরের সৌন্দর্য সৌকর্যে, স্থাপত্যরীতিতে আপ্লুততার প্রকাশ ঘটায় যত্রতত্র। হায়! কি যেন নাম সেই আর্কিটেক্টের, তুমি জিনিয়াস বটে। কিন্তু তুমি জানতেনা হতচ্ছাড়ার দল সব এখানে প্রবেশের রাস্তা খোজা। নিতান্তই গণতান্ত্রিক বলে একটা প্যানাফ্লেক্স ব্যানারে বড় করে লিখতে পারিনা 'এটা পারিবারিক গোরস্থান, সাধারণের প্রবেশ নিষেধ'। আমাদের উদরতার সুযোগে সাইফুর, মহীউদ্দীন, আলাউদ্দিনরা শুন্য কবরে ঠাই নেয়ার প্রত্যাশায় ফরম কেনে। আমরা সেসব বাতিল করতে পারিনা,আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে থাকা গণতন্ত্রের সবল কণিকাদের আস্ফালনে। কিন্তু আর কত? ঘাতকের ভাষায় সেই গন্ডগোলের বছর তোরা মাঠে, ঘাটে, জলায় তপ্ত বুলেট ধারণ করেছিস, আমরা অসাধারণরা সম্মান দিয়ে বলি আত্নদান, সেটাইকি তাদের আর উত্তরসূরীদের আসল জায়গা নয়? আমাদের পারিবারিক গোরস্থানে তোদের কেন এত লোভ? অদ্য পিতার সুউচ্চ আসনে উড্ডীনের দরুণ শুন্য কবরেতো অন্য কারো ঠাই পাওয়ার কথা নয়। তারপরও দু/একটা মর্কট যুজতে চায়।

আমরা ধৈর্য্য ধারণ করছি, ধৈর্য্যশীলদের সাথে সৃষ্টিকর্তা আছেন। দশ/কুড়ি/ত্রিশ বর্ষ , নাকি তারও অধিক? ..আহ কি সেই দিন হবে, যেদিন সবাই জানবে, মানবে আমাদের পারিবারিক গোরস্থানে অন্য কারো অধিকার নেই। সৃষ্টিকর্তা সেই মহান দিনটির জন্য বাঁচিয়ে রাখুন।........... আমিন
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২২
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×