কাল্ট হচ্ছে ধর্মসদৃশ ছোট গোষ্ঠী, দল বা সংগঠন যাদের বিশেষ কিছু আচার-ব্যবহার, নিয়ম-কানুন, আধ্যাত্মিক আচার-পদ্ধতি থাকে; যা একজন গুরু তার ভক্তদের নিয়ে গড়ে তোলে। কতখানি ব্রেইনওয়াশ করলে এতগুলো মানুষ গুরুর কথামতো আত্মহত্যা করতেও দ্বিধাবোধ করে না। আসলে চোর, ডাকাত, সন্ত্রাসীরা এ পৃথিবীতে যতখানি ক্ষতি করেছে, তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি করেছে কাল্ট লিডার এবং তথাকথিত আধা পূর্ণতাপ্রাপ্ত আধ্যাত্মিক গুরুরা। তথাকথিত ভালো কাজের নামে তারা মানুষকে করেছে ব্রেইনওয়াশ এবং হরণ করেছে মানুষের অধিকার। এসব ব্রেইনওয়াশ শুরু হয় তথাকথিত কল্যাণের নামে। তারা আপনাকে শেখাবে টাকা না থাকা, জীবনে কষ্ট করা, যৌনতা থেকে বঞ্চিত থাকা, না খেয়ে থাকা, গুরুর সেবা করা এসব হচ্ছে মুক্তির পথ এবং এভাবে আধ্যাত্মিকতার উঁচু স্তরে পৌঁছা যায়। টাকা-পয়সা হচ্ছে খারাপ এবং যখন আপনার টাকার প্রতি মোহ থাকবে না, আপনি টাকা ত্যাগ করবেন। তখন এসব গুরুই আপনার টাকা নেবে, আপনাকে তাদের কাজে লাগাবে। আপনাকে দুনিয়া সম্পর্কে উদাসীন করে দিয়ে তারাই দুনিয়ার ক্ষমতা পাওয়ার জন্য আপনাকে ব্যবহার করবে। কিছু কেরামতি দেখানোর ক্ষমতা থাকলেও এসব গুরু যে আধাপূর্ণতাপ্রাপ্ত, তা বোঝা যায় তাদের এ লোভ দেখে। আর যে পথ তারা দেখায়, তা অনুসরণ করে কখনোই আধ্যাত্মিকতার শীর্ষে পৌঁছা যায় না। কারণ অর্থ-সম্পদের আকাক্সক্ষা, যৌন আকাক্সক্ষা, খাবারের আকাক্সক্ষা-এগুলো আসলে খারাপ নয়। এগুলো হচ্ছে ‘প্রয়োজন’, যা আপনার ভেতর সৃষ্টিকর্তা দিয়েছেন। স্রষ্টার দেয়া ডিফল্ট সেটিংস এগুলো পেতে উদ্বুদ্ধ করে। অন্যদিকে গুরুর নিষেধাজ্ঞা আপনাকে এগুলো থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা করে। যখন আপনি এগুলোকে খারাপ মনে করা শুরু করেন, তখন আপনার ভেতর শুরু হয় অন্তর্দ্বন্দ্ব। আপনি স্রষ্টার দেয়া ডিফল্ট সেটিংসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করেন, আপনি নিজের আকাক্সক্ষাগুলোর সঙ্গে যুদ্ধ করতে থাকেন, আপনি নিজের সঙ্গে নিজেই যুদ্ধে লিপ্ত হন। আর নিজের সঙ্গে নিজে যুদ্ধ করার কারণে আপনি হয়ে পড়েন দুর্বল। এটা সত্য যে, আধ্যাত্মিকতার শীর্ষে পৌঁছলে আপনার জাগতিক আকাক্সক্ষা কমে যাবে সয়ংক্রিয়ভাবে। কিন্তু সেই স্তরে পৌঁছার আগেই যদি এগুলোর সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হন এবং উপেক্ষা করেন, তাহলে কখনোই আধ্যাত্মিকতার শীর্ষে পৌঁছতে পারবেন না। কারণ যত আপনি এগুলোর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হবেন, তত এগুলোর আকাক্সক্ষা বাড়তে থাকবে। কারণ এগুলো আপনার প্রয়োজন এবং প্রয়োজন না মেটালে আকাক্সক্ষা বাড়তে থাকে। এতে আপনি শারীরিক, মানসিক, আত্মিক, আধ্যাত্মিকভাবে আরো দুর্বল হয়ে পড়বেন। আর ভণ্ড গুরুরা তো তা-ই চায়।
সুইসাইড : একসঙ্গে ৯০৯ জন
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
কাল্ট হচ্ছে ধর্মসদৃশ ছোট গোষ্ঠী, দল বা সংগঠন যাদের বিশেষ কিছু আচার-ব্যবহার, নিয়ম-কানুন, আধ্যাত্মিক আচার-পদ্ধতি থাকে; যা একজন গুরু তার ভক্তদের নিয়ে গড়ে তোলে। কতখানি ব্রেইনওয়াশ করলে এতগুলো মানুষ গুরুর কথামতো আত্মহত্যা করতেও দ্বিধাবোধ করে না। আসলে চোর, ডাকাত, সন্ত্রাসীরা এ পৃথিবীতে যতখানি ক্ষতি করেছে, তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি করেছে কাল্ট লিডার এবং তথাকথিত আধা পূর্ণতাপ্রাপ্ত আধ্যাত্মিক গুরুরা। তথাকথিত ভালো কাজের নামে তারা মানুষকে করেছে ব্রেইনওয়াশ এবং হরণ করেছে মানুষের অধিকার। এসব ব্রেইনওয়াশ শুরু হয় তথাকথিত কল্যাণের নামে। তারা আপনাকে শেখাবে টাকা না থাকা, জীবনে কষ্ট করা, যৌনতা থেকে বঞ্চিত থাকা, না খেয়ে থাকা, গুরুর সেবা করা এসব হচ্ছে মুক্তির পথ এবং এভাবে আধ্যাত্মিকতার উঁচু স্তরে পৌঁছা যায়। টাকা-পয়সা হচ্ছে খারাপ এবং যখন আপনার টাকার প্রতি মোহ থাকবে না, আপনি টাকা ত্যাগ করবেন। তখন এসব গুরুই আপনার টাকা নেবে, আপনাকে তাদের কাজে লাগাবে। আপনাকে দুনিয়া সম্পর্কে উদাসীন করে দিয়ে তারাই দুনিয়ার ক্ষমতা পাওয়ার জন্য আপনাকে ব্যবহার করবে। কিছু কেরামতি দেখানোর ক্ষমতা থাকলেও এসব গুরু যে আধাপূর্ণতাপ্রাপ্ত, তা বোঝা যায় তাদের এ লোভ দেখে। আর যে পথ তারা দেখায়, তা অনুসরণ করে কখনোই আধ্যাত্মিকতার শীর্ষে পৌঁছা যায় না। কারণ অর্থ-সম্পদের আকাক্সক্ষা, যৌন আকাক্সক্ষা, খাবারের আকাক্সক্ষা-এগুলো আসলে খারাপ নয়। এগুলো হচ্ছে ‘প্রয়োজন’, যা আপনার ভেতর সৃষ্টিকর্তা দিয়েছেন। স্রষ্টার দেয়া ডিফল্ট সেটিংস এগুলো পেতে উদ্বুদ্ধ করে। অন্যদিকে গুরুর নিষেধাজ্ঞা আপনাকে এগুলো থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা করে। যখন আপনি এগুলোকে খারাপ মনে করা শুরু করেন, তখন আপনার ভেতর শুরু হয় অন্তর্দ্বন্দ্ব। আপনি স্রষ্টার দেয়া ডিফল্ট সেটিংসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করেন, আপনি নিজের আকাক্সক্ষাগুলোর সঙ্গে যুদ্ধ করতে থাকেন, আপনি নিজের সঙ্গে নিজেই যুদ্ধে লিপ্ত হন। আর নিজের সঙ্গে নিজে যুদ্ধ করার কারণে আপনি হয়ে পড়েন দুর্বল। এটা সত্য যে, আধ্যাত্মিকতার শীর্ষে পৌঁছলে আপনার জাগতিক আকাক্সক্ষা কমে যাবে সয়ংক্রিয়ভাবে। কিন্তু সেই স্তরে পৌঁছার আগেই যদি এগুলোর সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হন এবং উপেক্ষা করেন, তাহলে কখনোই আধ্যাত্মিকতার শীর্ষে পৌঁছতে পারবেন না। কারণ যত আপনি এগুলোর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হবেন, তত এগুলোর আকাক্সক্ষা বাড়তে থাকবে। কারণ এগুলো আপনার প্রয়োজন এবং প্রয়োজন না মেটালে আকাক্সক্ষা বাড়তে থাকে। এতে আপনি শারীরিক, মানসিক, আত্মিক, আধ্যাত্মিকভাবে আরো দুর্বল হয়ে পড়বেন। আর ভণ্ড গুরুরা তো তা-ই চায়।
২৩টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।