একাধারে ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব, গবেষক, লেখক, সমালোচক, সংগঠক, পরামর্শক এবং ক্রিকেট খেলার ছাত্র ছিলেন তিনি।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যখন অভিষিক্ত হন তখন বয়স ছিল মাত্র ১৮! প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেটে দশ সহস্রাধিক রানসহ পাঁচ শতাধিক উইকেট শিকারি ১০জন অস্ট্রেলিয়র মধ্যে তিনি অন্যতম।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টেস্ট অভিষেক ২৫ জানুয়ারি,১৯৫২ সালে,ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তাঁর অভিষেক ম্যাচেই দল জেতে ২০২ রানের বিশাল ব্যবধানে। দ্রুততম সময়ে মাত্র ৭৮ মিনিটে শতরান করার গৌরব অর্জন করেছিলেন ক্যারিয়ারের একদম শুরুর দিকেই। তাঁর এ শতরানটি এখনো সামগ্রিকভাবে তৃতীয় দ্রুততম ও অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে দ্বিতীয় দ্রুততম অবস্থায় রয়েছে। ক্যারিয়ারে মোট শতক হাঁকিয়েছেন ৩টি। সর্বোচ্চ ১২২।
সেরা বোলিং ৭/৭২ ভারতের সাথে,মাদ্রাজ টেস্টে। এই টেস্টেই প্রথম বারের মত ইনিংসে ৫ উইকেট লাভ করেন। ক্যারিয়ারজুড়ে ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছেন আরও ১৫ বার। ইডেন গার্ডেন্স এ তো ৫ উইকেট নিয়েছিলেন উভয় ইনিংসেই! ম্যাচে ১০ উইকেট পেয়েছেন ১ বার।
অজিদের দলনায়ক হন ১৯৫৮ সালে এবং ক্যারিয়ারের শেষদিন পর্যন্ত বহাল থাকেন স্ব-পদে। ক্রিকেট সম্পর্কে অসাধারণ জ্ঞান এবং তাঁর নিপুণ ও কৌশলী নেতৃত্বে টানা চারটি সিরিজ জয় করে অজিরা। অস্ট্রেলিয়া দলকে ২৮ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে ১২ জয়, ১১ ড্র, ১ টাই ও হারের মুখ দেখেন ৪ বার। তবে ৪ বার হারের মুখ দেখলেও সিরিজ জিতেছেন সবসময়।
প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ উইকেট ও ২,০০০ রান সংগ্রহ করে টেস্টে ডাবল অর্জন করেন ১৯৬৩ সালে।
৬৩ টেস্টের শেষটি খেলেন ১৯৬৪ সালে সেই সিডনিতেই।
অবসরের পর ক্রিকেটের সঙ্গে আরো গভীরভাবে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ক্রিকেটে ধারাভাষ্যকে নিয়ে গিয়েছিলেন শিল্পের পর্যায়ে। শুধু মাঠে যোগ্য নেতৃত্বের জন্য নয়, মাইক্রোফোন হাতে অসাধারণ অর্জনের জন্যও স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তিনি।
শুভ জন্মদিন !!! মাইক্রোফোন মাস্টার রিচি বেনো .......