দৈনন্দিন কিংবা পেশাগতক্ষেত্রে কোন কাজ আপনি করতে চাচ্ছেন একভাবে কিন্তু হয়ে উঠছে অন্যভাবে- এমনটা হরহামেশাই দেখা যায়। ক্রিকেটেও এমন কিছু গল্প রয়েছে যা তাঁরা যেভাবে আশা করেছিলেন সেভাবে না পেয়ে পেয়েছিলেন ঠিক বিপরীতভাবে।
- ভারতীয় বর্তমান কোচ অনীল কুম্বলে'র ক্যারিয়া্রের শুরুটা হয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৫ দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে। কিন্তু পরবর্তীতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন লেগ-স্পিনার হিসেবে। ফলাফল - ক্যারিয়ার শেষে টেস্ট-ওডিআই মিলিয়ে ৯৫৬ উইকেটের মালিক তিনি।
- কিউই তারকা মার্ক রিচার্ডসনের ঘটনা কুম্বলের পুরোপুরি বিপরীত। রিচার্ডসন শুরু করেছিলেন বাঁ-হাতি স্পিনার হিসেবে কিন্তু প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে। ৩৮ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে ৪৪.৭৭ গড়ে মোট রান করেছেন ২৭৭৬। তাঁর একমাত্র উইকেটটি ছিল পাক-তারকা মোহাম্মদ ইউসুফের (ইউহানা)।
- লঙ্কান মাতারা হারিকেন সনাৎ জয়সুরিয়া দলে এসেছিলেন বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবেই। ব্যাট করতেন লোয়ার অর্ডারে। ঘটনাক্রমে হয়ে যান দুর্ধর্ষ ওপেনার। কালুভিথারানাকে সঙ্গে নিয়ে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসেন ওয়ানডে ক্রিকেটে। পাশাপাশি বোলিং চালিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন অপরিহার্য অল-রাউন্ডার হিসেবে। ইতিহাসের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ওডিআইতে অর্জন করেন ১৩,০০০ রান ও ৩০০ উইকেট নেয়ার গৌরব।
- আর এক লঙ্কান সিংহ 'দিলস্কুপ' শটের প্রবর্তক তিল্করত্নে দিলশান সুযোগ পেয়েছিলেন বোলিং অল-রাউন্ডার হিসেবে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে হয়ে ওঠেন ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যান। টেস্ট-ওয়ানডে মিলিয়ে রান করেছেন সাড়ে ১৫ হাজারের উপরে।
- অজি তারকা শেন ওয়াটসনের গল্পও অনেকটা দিলশানের মতই। পার্থক্য কেবল এই,দিলশানের শুরু ছিল স্পিনার হিসেবে আর ওয়াটসনের শুরু মিডিয়াম পেসার হিসেবে। সময়ের অন্যতম ধ্বংসাত্মক ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ওয়াটসন।
- বর্তমান 'গুরু' কুম্বলের মত রবিচন্দ্রন আশ্বিনও শুরুটা করেছিলেন ওপেনার ব্যাটসম্যান হিসেবেই। কিন্তু তৎকালীন কোচের পরামর্শে স্পিন বোলিংয়েই মনোনিবেশ করেন তিনি এবং হয়ে উঠেন সময়ের সেরা স্পিনার। ক'দিন আগেই মাত্র ৪৫টেস্টেই ২৫০উইকেটের মালিক বনে গেছেন ভারতীয় এই তারকা।
- ভারতীয় পেসার অজিত আগারকারও ব্যাটসম্যান থেকে বোলার হয়েছিলেন।
- বৈপরীত্যে সবচেয়ে সফল নামটি হল লিটল মাস্টার শচীন টেন্ডুল্কার। বাসনা ছিল ফাস্ট বোলার হওয়ার। যোগ দিয়েছিলেন ডেনিস লিলি'র একাডেমিতেও। উচ্চতাজনিত কারণে লিলি তাঁকে ব্যাটসম্যান হবার যুক্তি দেন। পরবর্তী ঘটনা তো সবারই জানা ! ভাগ্যিস লিলির পরামর্শ গ্রহণ করেছিলেন শচীন ....