somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সিলেট ভ্রমন

১৬ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই ঈদ উপলোক্কে যারা সিলেট বেড়াতে যেতে চান তাদের জন্য আমার এ ব্লগ.
যে সিলেট গিয়ে আপনি যে জায়গা গুলা দেখবেন সেগুলা হলো নিম্ন রূপ ..
শাহজালাল ও শাহপরান মাজার জিয়ারত করে সবাই সাধারনত যাত্রা শুরু করে সিলেট ভ্রমন .
তারপর আপনি যাবেন জাফলং জাফলং এ আপনি দেখবেন চা বাগান ,খাসিয়া পুঞ্জি ও খাসিয়া রাজ বাড়ি এবং বল্লা ঘাট এ পাথর তুলার দৃশ্য শত শত শ্রমিক পাথর তুলে.
এখানে আপনি কিছু পাথর এর সামগ্রী কেনাকাটা করতে পারেন ,দামাদামি করে কিনলে জিতবেন .আর খাবার ধাবার একানে না করে সিলেট শহরে যে কোন জায়গায়
করলে ভালো হবে .জাফলং থেকে ফিরার পথে যাবেন জৈন্তাপুর বাজার পাবেন এ জায়গায় আসে জৈন্তা রানীর বাড়ি আর দিঘি .আসে টকফল গবেষণা কেন্দ্র আমার খুব ভালো
লাগত জায়গা টা. আমি অনেক বার গিয়েছি এ টকফল কেন্দ্রে .সব ধরনের টকফল এর বাগান এক সাথে দেখার বাগান আপনি অবস্যই মিস করবেন না .
এ জায়গাটা জৈন্তা বাজার থেকে আপনি হেটে গেলে ১০ মিনিট লাগবে। জৈন্তাপুর দেখা শেষ করে আসার সময় রাস্তায় পাবেন লালাখাল নামক স্থান লালাখাল নদীর ব্রীজ এর নিচ এ গিয়ে দেখতে পাবেন নিল রঙের পানি .ব্রীজ এর বামপাশে আছে নৌকা ঘাট .এখানে আপনি পাবেন স্পীড বুট ও ছুটো নৌকা এগুলু দিয়ে গুড়ে দেখতে পারেন লালাখাল এর নিল রঙের পানি ও বাংলার রূপ .
তারপর সিলেট মালনি চড়া চা বাগান দেখবেন এটা সিলেট শহরের পাশেই .রিকশাহ ও যেথে পারবেন ,এরপর দেখবেন সিলেট পর্যটন এরিয়া .একানে ইচ্ছে করলে পর্যটন
মোটেল এ তাকতে পারেন .তারপর দিন রওনা দিবেন মাধব্কুন্ধ তে .মাধব্কুন্ধ জলপ্রপাত না দেকলে সিলেট ভ্রমন এর আসল সাদ পাবেন না .জলপ্রপাত দেখতে হলে
কদমতলি বাস স্টেশন থেকে বাস এ করে যাবেন বারৈগ্রাম বা বড়লেখা নামক স্থানে .এর পর আপনি পাবেন টেম্প বা মেক্সি নিয়ে যাবে জল্প্রপাথ এ .এগুলা রিজার্ব
করে গেলে অনেক ভালো.
আর বেশি লোক হলে কদমতলী থেকে লাইট এস এ করে যেতে পারেন সুজা মাধব্কুন্ধ জল্প্রপাথ আর সামনে .
আবার জল্প্রপাথ দেখে আপনি যেতে পারেন চায়ের শহর শ্রীমঙ্গল এ .শ্রীমঙ্গল এ ১দিন থেকে দেকলে ভালো করে দেখতে পাবেন চা এর দেশ কে .চা গবেষণা কেন্দ্র টা শহর এর পাশেই রিক্সায় ২০ টাকা নিবে .
এখানে দেখবেন অনেক সুন্দর সারি সারি চায়ের বাগান এবং দিনের বেলা অনুমতি নিয়ে দেখতে পারেন কিভাবে চা তৈরী করে .এ জায়গার সবচেয়ে আকর্সনীয় ও অবাক জিনিস হলো nilkonto চা স্টল .
এটা একন নতুন ঠিকানা হলো সিন্দুর খান রুড এ .এ লোক ৩, ৪, ৫, ৭.রং এর চা তৈরী করে ,এটা আমাদের দেশের আর কেউ পারেনা .অনেক গবেষণা করেছেন চা গবেষণাবিদ গণ কেউ আর ফর্মুলা বের করতে
পারে নাই .তবে এতে কতিকারক কিসু ও পায় নাই .এ লোক আর কাউকে শিকায় ও না আমি তো অনেক বার অনেক ভাবে চেষ্টা করে দেখেছি এ লোক কিছুতেই রাজি ওয় না. ভিবিন্ন রং এর চা টেস্ট করে দেখবেন .
এর ঠিকানা যে কেউ আপনা কে বলে দিবে .এমন কোন রিকশাহ ড্রাইবার নেই যে অর দোকান না চিনে .শুধু বলবেন নীলকন্ঠ চা স্টল .আর খাবার এর জন্য মানসম্মত খাবার রেস্টুরেন্ট পাবেন চৌমহনার পাশেই শ্রীমঙ্গল এ লাউয়াচরা উদ্যান দেখতে ভুলবেন না কিন্ত .এটা ও আপনি রিক্সায় বা গাড়িতে যেতে পারবেন খুব সুন্দর এ উদ্যান এর মাযকান দিয়ে রেল লাইন টা হলো সিলেট ও ঢাকা যাবার রেল লাইন .এখানেও দেখতে পাবেন খাসিয়া পুঞ্জি একটু হেটে সামনে এগুতে হবে,.
শ্রীমঙ্গল শেষ করে দেখে আসতে পারেন মৌলভীবাজার একটি পার্ক ।
মৌলভীবাজারের শহরের মধ্যেই সরকারি কলেজ। তার পাশ দিয়ে ২ কি.মি. দক্ষিনে এগিয়ে গেলেই চোখে পড়বে মিশ্র চিরহরিৎ প্রাকৃতিক বনের বৈশিষ্ট্যপূর্ন বষর্িজোড়া ইকোপার্ক। শহরের পাশেই যে প্রকৃতি তার অপরূপ সৌন্দর্য মেলে বসে আছে অনেকেই জানেনই না। ছোট ছোট টিলা সমৃদ্ধ ৮৮৭ একর আয়তনের এই চিরহরিৎ-পত্রঝরা বনভূমি ১৯১৬ সালে রিজার্ভ হিসেবে ফরেস্ট ঘোষণা করা হয়। জুলাই ২০০৬ সালে ইকোপার্ক ঘোষণা করা হয়।
বন্য প্রাণী ও উদ্ভিদ বৈচিত্র্যের এই পার্কটিতে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। বন বিভাগের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণের বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজার শহর থেকে দুই কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত মিশ্র চিরহরিৎ প্রাকৃতিক বনে গড়ে তোলা হয়েছে এই ইকোপার্ক। ৮৮৭ একর জায়গা নিয়ে গড়ে তোলা এই পার্কে এরই মধ্যে কটেজ, পিকনিক স্পট, প্রধান গেট, নিরাপত্তাব্যবস্থা, টয়লেট, রাস্তা ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া আগর, ঔষধি, বিরল প্রজাতির উদ্ভিদের বাগান তৈরি করা হয়েছে। ছোট ছোট টিল
া ও ছড়া (খাল) সমৃদ্ধ মিশ্র চিরহরিৎ এই প্রাকৃতিক বনটিকে ১৯১৬ সালে সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছিল। ক্রমান্বয়ে বনের আশপাশে মানুষের বসতি বৃদ্ধির কারণে একসময়ের এই গভীর বনাঞ্চল থেকে চিতাবাঘ, মায়াহরিণ, উল্লুুকসহ বিভিন্ন রকমের প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
বর্ষিজোড়া ইকোপার্কে সচরাচর বানর, বনবিড়াল, মেছোবাঘ ও বিভিন্ন ধরনের সাপ চোখে পড়ে। পাখির মধ্যে পেঁচা, ঘুঘু, বক, কাক ইত্যাদির দেখা মেলে বেশি। মাঝেমধ্যে বনের আশপাশে কিছু মায়াহরিণ দেখা যায়। এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না যে এগুলো বর্ষিজোড়া ইকোপার্ক না লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান থেকে বেরিয়ে আসে। এরই মধ্যে দুটি কটেজ, ২০টি বসার বেঞ্চ ও একটি পিকনিক স্পট তৈরি করা হয়েছে।
চলেন এবার দক্ষিন এশিয়ার সবচেয়ে বড়গ্রাম বানিয়াচং দেখতে .এখানে আপনি যেথে হলে হবিগঞ্জ থেকে ৩০ মিনিট বাস ও মাক্সি দিয়ে যেতে হবে বানিয়াচং এ .বানিয়াচং বাস থেকে নেমে রিকশাহ
করে এ জায়গা গুলু দেখবেন ......
সাগর দিঘি ,কমলা রানীর দিঘি ও বানিয়াচং জমিদার বাড়ি (রূপ রাজকার পারা)
সবগুলা জায়গা আপনি রিকশাহ দিয়ে দেকতে পারবেন কারণ এ এলাকায় সব লোকাল রিকশাহ ড্রাইবার .সবাই এ জায়গা গুলু চিনে .
আবার আসেন যাই চুনারু ঘাট এ সত্চরী উদ্যান এ গবির এ উদ্যান যেন সবুজের সমারূহ .হবিগঞ্জ তেকে মেক্সি অব বাস এ যেথে পারবেন এ জায়গায় .তারপর শেষ করতে পারেন আপনার গ্রেটার সিলেট ভ্রমন ।
আপনার যাত্রা নিরাপদ ও আনন্ধময় হউক এ কামনায় রইলো ।

বানান ভুল গুলা অনিচ্ছা কৃত ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৫৪
৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×