ইমরান খান এরশাদের পাকিস্তানী ভার্শন কিনা বলা মুশকিল। তবে অনেক দিক দিয়ে স্বৈরাচারী এরশাদের সাথে ইমরানের যথেষ্ট মিল আছে। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইমরানই এরশাদের চেয়ে অনেক অগ্রগামী। সবচেয়ে বেশি মিল মনে হয় লুচ্চামিতে। ইমরানের কতগুলো বউ আর কতগুলো বান্ধবী সেটার স্পষ্ট হিসাব নেই। কত বান্ধবীকে প্রেগন্যান্ট করেছেন তারও সঠিক সংখ্যা নেই। ট্রিয়ন হোয়াইটকে কন্যা হিসাবে অস্বীকার করেছিলেন ইমরান খান। পরে আমেরিকার কোর্ট প্রমাণ করেছে যে ইমরানই ট্রিয়ন হোয়াইটের আসল পিতা। শেষের বিয়েটা ইমরান করেছেন এক ধর্মগুরুকে, নাম তার বুশরা। যদিও এটাই শেষ না কি শেষের শুরু সেটা বলা যাচ্ছেনা। ইমরান নিজেই বলেছেন বুশরার চেহারা তিনি বিয়ের আগে কখনও দেখেন নি। দেখার সুযোগও নেই। বুশরা এমন পর্দানশীল যে মাথার চুল থেকে পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত সর্বদা বোরকায় ঢাকা থাকে। বুশরা যেন একেবারে শফী হুজুরের আদর্শ নারীমডেল।
ইমরান ও এরশাদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মিল হচ্ছে ধর্মের ব্যবহারে। এরশাদ নিজে বকধার্মিক হয়েও যেমন ক্ষমতায় টিকে থাকতে ধর্মকে যথেচ্ছা ব্যবহার করেছেন, সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম যুক্ত করেছিলেন, তেমনি ইমরান খানও নির্বাচনে জিততে ধর্মকে কাজে লাগিয়েছেন যথেচ্ছভাবে। তিনি তালেবানেরও গোঁড়া সমর্থক। ধর্মীয় মৌলবাদী এবং তালেবানের মতো জঙ্গি গ্রুপও ইমরানের পক্ষেই নির্বাচনে সরব ছিলো।
আরও একটি বড় মিল হচ্ছে, এরশাদ আর্মির সহায়তায়ই ক্ষমতায় গিয়েছিলেন এবং আর্মির প্রত্যক্ষ সহায়তায় ক্ষমতায় টিকে ছিলেন দীর্ঘ নয় বছর। পাকিস্থানের বর্তমানের লিমিটেড গণতন্ত্রের মধ্যেও নির্বাচনে আর্মির নিজস্ব প্রার্থী ইমরান খান। আর্মির সমস্ত আনুকুল্য ইমরানই ভোগ করেছেন এবং নির্বাচনে জিতেছেন। কোন কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইতিমধ্যেই বলে ফেলেছেন যে, ইমরান নয়, পাকিস্থানে আসলে ভোটে জিতেছে সামরিক বাহীনি।
ইমরানের দ্বিতীয় স্ত্রী রেহান ইমরানের নানান কুকির্তী-ভন্ডামী নিয়ে বই লিখেছেন। বইতে ইমরান কিভাবে তার স্ত্রীদের শারীরিক-মানসিক অত্যাচার করতেন তারও বর্ণনা করেছেন। বিদিশাও এরশাদের ভন্ডামী-অত্যাচার নিয়ে বই লিখেছেন। এটাও এরশাদ আর ইমরানের মধ্যকার মিল হিসাবে দেখা যায়।
তবে কয়েক বছরের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, ইমরান লেজেহোমো এরশাদের চেয়ে ভন্ডামী-লুচ্চামীতে কতোকাঠি এগিয়ে!!!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪