দিনের আলো ফুরিয়ে এলে, নামে অন্ধকার রাত। সেই রাতের বুকে জেগে থাকে চাঁদ। চাঁদের আলোয় পুড়তে থাকে এক জোড়া ক্ষুধার্ত চোখ। ভক্ষণ করে ঝলসানো রুটি। তারপর ধীরে ধীরে জোছনার মত ক্ষীণ হয়ে আসে সেই চোখের আলো।
দিনের আলো ফুরিয়ে গেলে, আসে রাত। রাতের বুকে জেগে থাকে স্নিগ্ধ রুপালি চাঁদ। চাঁদের নরম আলোয় ভিজতে থাকে এক জোড়া দেহ। নর দেহের সস্তার রসবোধে খিলখিল করে হেসে উঠে নারী দেহ। সেই হাসি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে মাতাল করা জোছনার মত।
দিনের আলোর শেষে- নামে গহীন অন্ধকার রাত। সেই রাতের বুকে দূর আকাশে জেগে থাকে চাঁদ। চাঁদের আলো আটকে যায় দেয়ালে। দেয়ালের এ পাশে যেখানে চাঁদের আলো পৌঁছায় না, এক জোড়া কালো হাত হাতরে বেড়ায় রসালো দেহ। গোঙানির শব্দ দেয়ালে বাড়ি খেয়ে ফিরে আসে। থোকা থোকা রক্ত লেগে যায় বিলাসী চাদরে। তারপর, শকুনে চাটা নিথর দেহটা পড়ে থাকে অন্ধকার গলিতে। চাঁদের রুপালি আলো যেখানে পৌঁছায় না।
দিনের আলো ফুরিয়ে গেলে নামে নির্জন শূন্যতার রাত। সেই রাতের বুকে জেগে থাকে শুভ্র জোছনা বিলানো চাঁদ। জোছনায় ভিজতে থাকে ফাঁকা রাজপথ। পথের বাঁকে উৎ পেতে থাকে একদল শিয়াল। খাবলে ধরে নিরীহ শব্দটাকে। ফিনকি ফোঁটা জোছনায় ফিনকি দিয়ে বেরিয়ে আসা রক্ত চিকচিক করে। কালো রাজপথে মিশে যায়। নির্বাক চাঁদ বোবা হয়ে তাকিয়ে থাকে।
দিনের আলো নিঃশেষ হয়ে গেলে, নামে রাত। রাতের বুকে হাসে পূর্ণিমা চাঁদ। জোছনায় মাখে সমগ্র শহর। অহেতুক প্রেয়সীর মুখ আঁকতে থাকে প্রেমিক। আনমনে গুনগুনিয়ে ওঠে নারী। শব্দের জাল বুনে কবি। শিল্পী আকে জল জোছনার ছবি। বাসর কাব্য সাজায় দম্পতি। থালার মত চাঁদ টা- সুধা বিলায় রসিক মনে।
চাঁদের গায়ে দাগ? থাকনা, কলঙ্ক আড়াল করে আমরা বরং রুপ সুধা আকন্ঠ পান করি।
অহংকারী চাঁদের বুকের কালিমা সরণ করে দিলেই ঢুকে পড়ে ☁️ মেঘে, হারিয়ে যায় ঘোর অমাবস্যায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭