এদেশে জ্বালাও পুড়াও ছাড়া আন্দোলন হয়নি কখনো। বাস পুড়ানো ছিলো কমন বিষয়। অন্তত আমি জন্মের পর থেকে সেটাই দেখেছি। একটা উদাহরণ দেই, একটা ছোট্ট বাচ্চা তার খেলনা গাড়ি আছাড় দিয়ে ফেলছিলো আর বলছিলো হরতাল হরতাল। তখনকার বাচ্চারাও জানতো হরতাল মানেই গাড়ি ভাংচুর। বিএনপি এখনো সেই আন্দোলনে যায়নি, বেগম জিয়া অসুস্থ বিধায় হয়তো আর মুরগীর রোষ্ট হয় নাই।
বিএনপি বলছে সরকার তাদের মাঠে নামতে দিচ্ছে না। দমন-পীড়নে তাদের সহস্র নেতা নিখোঁজ হয়েছে। বিএনপি কি বলার চেষ্টা করছে শেখ হাসিনা গণহত্যা করেছে? শাপলা চত্বর নিয়ে তো এমনি ধারণা পাই। তবে কবে কোন সরকারের সময় বিরোধীদলের উপর দমন-পীড়ন হয়নি? শামীম উসমান যে বলছে তার গরুর দুধের বাট কেটে দেওয়া হয়েছিলো, মিথ্যা বলছে?
বিএনপি ঠিক কোন ঈদের জন্য অপেক্ষা করছে? বেগম জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বাহিরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। গগণতন্ত্রের মায়ের এমন অসহায় মৃত্যুতে তারা মরার মত চুপ। তবে কি তারা বেগম জিয়ার মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছে? ওঁত পেতে আছে ধূত শেয়ালের মত, বেগম জিয়ার মৃত্যুই হবে তাদের আন্দোলনের উপলক্ষ ও অস্ত্র? বসে বসে প্রহর গুনছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণের?
আমার তা মনেহয় না, বিএনপির কোমড়টাই নেই। তারেক জিয়ার মত বিএনপির ও মেরুদণ্ড ভাঙ্গা।
একজন নেত্রীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে নেতারা শোকাহত হবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




