আর কত অন্ধকার গাঢ় হলে ভোর হবে?
আর কত শলাকা পুড়ালে বুকের দহন মিটবে?
আর কত নিকোটিন পূর্ণ হলে এই হৃদয়ে তোমার মৃত্যু হবে?
বিকলাঙ্গ ফুসফুস, তোমার আশায় কেবল দম বাড়ে
আর কত নিরাশ হলে এই দুরাশার বিনাশ হবে?
আর কত রাত নির্ঘুম কাটলে ঘুমের অসুখ সারবে?
মদের বোতলে সুরা যতটুকু, ততটকুই তোমার সৃতি
আর কত বোতল শূন্য গড়ালে মগজে তোমার বিনিষ্ট হবে?
আর কত চোখ লাল করলে তোমার নেশা কাটবে?
আঁধার আর কত ঘন হলে ভোর হবে?
মেঘের পরে মেঘ জমছে, কালো হয়ে আসছে আকাশ
আর কত বারি ঝড়লে এ শ্রাবণ কাটবে?
অথৈই জলের অশ্রু চোখ পুড়া দহন নেভাবে?
বৈতরণী বাতাস আমার জানালা দিয়ে ঢুকছে
বুকের ভেতর দীর্ঘস্বাস হু হু করে বাড়ছে
আর কতকাল অপেক্ষা করলে এই দীর্ঘস্বাসের ঝড় থামবে?
আমার শরীরে শিকড় গজে যাচ্ছে
শীত এসে গ্রীষ্ম ও চলে যাচ্ছে
বসন্তের আগুন ফুল শরৎে ঝড়ে যাচ্ছে
চৈত্রের খরায় তপ্ত মাটির বুক আর কত ফাটলে করুণাধারা নামবে?
বর্ষায় ডাঙ্গর নদী আর কত ঘর ভাসালে তার শরীরের ক্ষুধা মিটবে?
আর কত চোখের পানি ফেললে এই অশ্রু নদী শুকাবে?
রাত আর কত নিকটে এলে ভোর হবে?
আর কত? কত সহস্র বছর অপেক্ষা করলে
আমি গন্তব্যে, তোমার পথ ফুরবে?
আর কত নিসঙ্গতা জড়িয়ে নিলে তুমি জাপটে ধরবে?
যে পথে তুমি চলে গেছো, সে পথ খা খা করছে
ফাকা পথ আর কত হাহাকার করলে তুমি ফিরবে?
যে হৃদয় ভেঙ্গে দিয়ে চলে গেলে
বেইমান সেই হৃদয়টা আমারি দেহে বসত করে তোমাকেই ধরে রাখে,
আর কত ব্যাথাতুর কাতরায় আর্তনাদ করলে এই অভিশাপ কাটবে?
অন্ধকার আর কত প্রকট হলে প্রভাতের সূর্য উঠবে?
তুমি একটা বিষ, বিষাক্ততায় ছেয়ে গেছে আমার সমস্ত শরীর
তুমি অসুখে এ প্রাণের জলাঞ্জলি
কেবল মৃত্যুই এ রোগের একমাত্র নিরাময় আমি জেনে গেছি
আর কত ব্যাধি বাড়লে আমার মৃত্যু হবে!
আর কত পুড়লে এই দেহে তোমার দহন হবে!
আর কতবার মরলে আমার দাফন হবে!
রাত আর কত গভীর হলে ভোর হবে?