অনেকদিন পর লিখতে বসলাম। কিছুটা সময়ের অভাব, কিছুটা আলসেমি ... যোগফল হল কিছু না লেখা। আবার লেখার ইচ্ছা হল, দেখি কি লেখা যায়।
অবশ্য এমন ভাবে বলছি, যেন আগে লিখে উড়িয়ে ফেলতাম। তবে যখন ব্লগে লেখা শুরু করেছিলাম, তখন মজা পেয়েছিলাম এবং বিপুল উদ্যমে কয়েকটা লেখাও পাবলিশ করেছিলাম। এরপর উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়লাম (আসলে বেটার ফিউচার...'কাঞ্চনজঙ্ঘা' গানের মত ?... গতানুগতিক অর্থে), অনেক কিছুর মত লেখার ইচ্ছা বা অভ্যাশেও ভাটা পড়লো।
সেদিন বাবার সাথে কথা হচ্ছিল, গুগল টকে। বাবা জানতে চেয়েছিলো, আমি ডায়েরী লিখি কিনা। লিখিনা শুনে বাবা আমাকে বেশ কিছুক্ষণ তিরস্কার করলো। ঐ সময় আমি বেশ বিরক্ত হচ্ছিলাম, মনে হচ্ছিল আমি এখানে কিভাবে আছি, কিসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি তা না জেনে বাবা শুধু শুধুই আমাকে দোষ দিচ্ছে। কিন্তু পরে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখলাম বাবার কথা অগ্রাহ্য করার মত না। এমনটা আগেও হয়েছে। বাবার অনেক কথা বা আদর্শের সাথে একমত হতে পারি নি, কিন্তু পরে মনে হয়েছে বাবার কথা গুলোই বাস্তব। বয়স্ক ব্যক্তিদের অভিগ্যতাকে উপেক্ষা করা তরুণদের স্ব্ভাবগত ঔদ্ধত্যের ধারাবাহিকতা। কিন্তু অভিগ্যতালব্ধ উপলব্ধি অনেক সময়ই যুক্তির চেয়ে বাস্তব, সত্যের চেয়েও কঠিন।
তাই ঠিক করেছি আবার লিখতে হবে। যত সমস্যাতেই থাকি না কেন, চিন্তা করার চর্চা অব্যহত রাখতে হলে লিখতে হবে, চিত্তের স্থিরতার জন্য লিখতে হবে...এটা তারই প্রস্তুতি।