somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বের ভয়ংকরতম নরপিশাচদের গল্প!! পর্ব-১

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যদিও এই ধরনের পোস্ট সময়ের সাথে যায় না। তারপরও কেন জানি লিখতে ইচ্ছা করল।

বাচ্চারা তফাতে থাকো!! :|

সাধারনত সিনেমা গল্পতেই দেখা পাই এইসব নরপিশাচদের। যারা অবলীলায় করে যায় ভয়ংকর হিংস্র সব কাজ। যা আমাদের ভাবনা চিন্তারও বাইরে।সত্যি বলতে আমাদের চিন্তার শেষ যেখানে ঠিক সেখান থেকেই এদের চিন্তার শুরু!! আর বাস্তবতার কাছে মানুষের কল্পনাও হার মানে। বাস্তব দুনিয়াতেই ছিল এমন কিছু নরপিশাচ তুল্য সিরিয়াল কিলার।। তাদের নিয়েই মুলত এই লেখা।।



গ্যালো দে রেইস (১৪০৪-১৪৪০) একজন ফরাসি নাইট। তৎকালীন সময়ে ফরাসি সমাজের উপর তলার লোক ছিল সে। মুলত তাকেই ধরা হয় সিরিয়াল কিলার দের প্রথম পথ প্রদর্শক হিসেবে। জোয়ান অফ আর্কের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন ছিল সে।। তাকে মুলত দায়ী করা হয় ধর্ষণ, নির্যাতন, সমকামীতা এবং কম করে হলেও কয়েক ডজন হত্যার জন্য । তার হাত থেকে বেঁচে যাওয়া শিকারদের কাছ থেকে জানা যায় তার অপরাধের বর্ণনা, গ্যালো প্রথমে কিশোরদের বিশেষ করে নীল চোখ বিশিষ্ট কিশোরদের প্রলুব্ধ করে তার প্রাসাদে নিয়ে যেত। তারপর সেখানে নিয়ে ধর্ষণ, বিভিন্য অঙ্গহানি সহ নানা রকমের নির্যাতন চালাত। এমনকি তার বিরুদ্ধে শিকারের মৃতপ্রায় দেহ দেখে হস্তমৈথুনে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগও পাওয়া যায়।
তারপর কিশোরটি মারা গেলে, সে এবং তার সহকারী কিশোরটির মাথা কেটে নিয়ে অন্যান্য মাথার সাথে তুলনা করে দেখত কোনটা সব চেয়ে বেশি সুন্দর। তার সঠিক খুনের সংখ্যা যদিও জানা যায়নি কারন বেশির ভাগ শিকারের শরীরই পুড়ে বা মাটিতে পুতে ফেলা হয়েছিল। সাধারনত তার খুনের সংখ্যা ধরা হয় ৮০-২০০, কারো কারো মতে সংখ্যাটা প্রায় ৬০০ এর কাছাকাছি। তার প্রত্যেকটা ভিক্টিমের বয়স থাকত সাধারণত ৬-৮ বছর। যদিও তার প্রথম পছন্দ ছিল ছেলেদের কিন্তু প্রয়োজনে মেয়েদেরও সে নির্যাতন করত।।

এক প্রতিলিপিতে তার কর্মচারী হেনরি তার মালিকের অপরাধের বর্ণনা দিয়েছে অনেকটা এভাবে,
হিনরি তার কর্তার জন্য ১৪৩৫ সালের দিকে কিশোর শিকার করতে শুরু করে, সে তার শিকারকে প্রলুব্ধ করে গ্যালোর বাড়িতে নিয়ে আসত এবং যখন তাদের নির্যাতন করা হত তখনও সে সেখানে উপস্থিত থাকত।। বেশিরভাগ সময়েই বাচ্চাদের নির্যাতন করার ভার পড়ত হেনরি এর উপর।। গ্যালো সেই সব বাচ্চাদের ভয়ে আর যন্ত্রনায় কুকড়ে যাওয়া চেহারা দেখে মজা নিত।। তার আর একটা প্রিয় কাজ ছিল ওই সব বাচ্চাদের রক্তে গোসল করা।। এজন্য ওই সব বাচ্চাদের জুগুলার ধমনি কেটে দেয়া হত যাতে শরীর থেকে ছিটকে বেড়ান রক্তে তার গোসল হয়! যখন সব শেষ হয়ে যেত, বাচ্চাটা ঢলে পড়ত মৃত্যুর কোলে তখন গ্যালোর মন ভরে উঠত তিব্র অনুশোচনায়।। সাথে সাথে বিছানায় প্রার্থনায় বসে যেত সে, যতক্ষন না তার কর্মচারী সব কিছু সাফ সুতরা করত ততক্ষণ সে তার প্রার্থনা চালিয়ে যেত।। তারপর তার কর্মচারী বিশাল একটা চুলা জ্বালিয়ে তার মধ্যে বাচ্চাটি এবং তার সমস্ত জিনিসপত্র পুড়িয়ে দিত।। এভাবেই একের পর এক চলতে থাকত মৃত্যুলীলা।।
অবশেষে ধরা পরে গ্যালো। ১৪৪০ সালের ২৫ অক্টোবর সে তার জবানবন্দীতে তার সব দোষ স্বীকার করে এবং নটরডেম এর চার্চের পাশে কবর দেয়ার জন্য অনুরোধ করে। ২৬ অক্টোবর তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। প্রথমে তাকে ফাঁসিতে ঝুলান হয়, তারপর তার মাথাটা তার শরির থেকে আলাদা করে ফেলা হয়। তারপর সেটাকে আগুনে পোড়ানো হয়।। তার কর্মচারী হেনরির ভাগ্যেও একি পরিণতি জোটে।।

আরও কিছু লিখার ছিল , কিন্তু লিখতে মন চাইল না।। লেখাটা চালিয়ে যাব কিনা তাও বুঝতে পারছি না। মাথা গুলিয়ে যাইতেছে। একটা ছবি যোগ করতে চাইছিলাম তাও কেন জানি হইতেছে না।।

তথ্যসূত্র- উইকিপিডিয়া
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯
১৬টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই হোটেল এর নাম বাংলা রেস্তেরা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭



অনেক দিন পর আমি আজ এই হোটেলে নাস্তা করেছি। খুব তৃপ্তি করে নাস্তা করেছি। এই হোটেল এর নাম বাংলা রেস্তেরা। ঠিকনা: ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডম ভবেরচর, গজারিয়া, মন্সীগঞ্জ। দুইটি তুন্দুল রুটি আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

জলদস্যুরা কি ফেরেশতা যে ফিরে এসে তাদের এত গুণগান গাওয়া হচ্ছে?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭


জলদস্যুরা নামাজি, তাই তারা মুক্তিপণের টাকা ফেরত দিয়েছে? শিরোনাম দেখে এমনটা মনে হতেই পারে। কিন্তু আসল খবর যে সেটা না, তা ভেতরেই লেখা আছে; যার লিংক নিচে দেওয়া হলো।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×