আমার জন্মটা সেদিনের কিটি পার্টিতে।মিসেস রহমান কেবল চায়ের কাপে চুমুক দেবেন বলে আর রাবেয়া চেঁচিয়ে উঠলো "ওমা! রুবি?? নতুন নাকি?? দেখি! দেখি!" আরে হুম ও গত সপ্তাহে ফিরল না আমেরিকা থেকে,নিয়ে এল," বলে রিঙটা ঘুরিয়ে দেখালেন মিসেস রহমা্ন । রুমের বাকি সবার ও অনেক আদিখ্যেতা কার কোন জুয়েলারি টা কতো দামি তা নিয়ে!
আনামিকা তখন খাবার সারভ করছিলো। আঙটিটা তার নজর কাড়ল বেশ।
এঁটো বাসন কিচেন এ নিয়ে যাবার পর পর্যন্ত মহিলাদের সমালোচনা কানে ভেসে আসছিলো ।
মনে মনে ভাবল বেতন পেয়ে ওরকম লাল পাথরের একটা আংটি গড়িয়ে নেবে সে। বড়জোর ৩০০০ টাকা.
ফেরদৌসির বাড়ীর কেয়ারটেকার এ বলা যায় আনামিকা কে।াড়ি সামলানোর কাজ থেকে শুরু করে ফেরদৌসির ব্যবসার টুকিটাকি দেখাশোনা অনেক সময় করে সে। নদী ভাঙ্গনে আর্থিক অবস্থা কিছুটা পরে যাওায় এখানে আসা। ভালো বেতন পায়।
রুবির আংটিটি এতই আকরশনিও ছিল যে ফেরদউসি নিজে তার ঠিক এক সপ্তাহ পরে তার মেেয়ের জন্য একটা সেট বানিয়ে আনলেন। তনয়া যখন সেট টি পড়ে দেখছিল অনামিকা অনেক আগ্রহ নিয়ে জিগেশ করেছিল কতো দামি ,উত্তর পায়নি।
পরের মাসের শুরুতেই বেতন হাতে আসে।বাড়িতে টাকা পাঠানোর পর খুব যত্ন করে এক বুক আসা নিয়ে ৩০০০ টাকা সুই সুতর বাক্সে আড়াল করে রাখে অনামিকা।
অনামিকার স্বামী খালেদ ড্রাইভার, হাত তানের অবভেশ আছে এতা অনামিকাও জানে, কিন্তু সংসারে শান্তির দোহাইয়ে চুপ করে থাকে। এর আগেও আনেক বার আনেক ভাবে অনামিকার কস্ত করে জমান টাকা হারিয়ে ঘেছে এভাবে।
ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, খালেদ এতটাই চতুর, যে ঘরের কোথাও টাকা না পেয়ে,সে ঘরের যত ছোট বড় বাক্স ছিল সব ঘেঁটে দেখে এবং টাকা তা পেয়ে যায়।
অনামিকার জেদ চেপে যায় ।রীতিমতো জোরজবরদস্তি কাড়াকাড়ি এক পর্যায় খালেদ অনামিকা কে মারধর সুরু করে। অনামিকা অনেক কাকুতি মিনতি করে, কিন্তু খালেদের গলার জোর আর মারের পরিমান আরো বেরে জায়।এক পরজায়ে মার খেতে খেতে লুটিয়ে পড়ে অনামিকা আর বিড়বিড়করে বলতে থাকে "আমার টাকাটা ফিরায়া দাও,আনেক আসা নিয়ে রাখসিলাম টাকাটা";
আর সেদিন রাতেই আমার মৃত্যু হয়-ামি অনামিকার সখ।