somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আধুনিক গবেষনায় দেশের সায়েন্স ও টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির দীর্ঘ ব্যর্থতা।মূল কারনটা কোথায়? যোগ্যতা-প্রতিভার অভাব না অন্যকিছু? কিস্তি-১

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পত্রিকাতে লেখালিখি করেন ।খাবার টেবিলেই কথা হচ্ছিলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কারিগরী শিক্ষার মান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে। সবার মত তিনিও হতাশ। হতাশা আমারও আছে ,তবে ধরনটা ঠিক আর সকলের মতো নয় সমস্যাটা এখানেই। আমার মূর্খতায় রাগান্বিত হয়ে বলেই ফেললেন যে দেশের শিক্ষার মান যদি এতই ভাল, তবে আজ পর্যন্ত তো শোনা গেলোনা দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবিষ্কৃত টেকনোলজি বা সফটওয়্যার সারা বিশ্বকে এই দেশ সর্ম্পকে নতুন করে মুল্যায়ন করতে বাধ্য করেছে বা বর্তমানে করছে ইত্যাদি ইত্যাদি ।

খুব ঢালাও একটা অভিযোগ । হরহামেশাই শোনা যায় বিভিন্ন জায়গায়, ভিন্ন ভিন্ন তরিকায়। মুখবন্ধের জন্য চরম দাওয়াই না হলেও একটা পর্যায় পর্যন্ত আমার মত দূর্বল প্রতিপক্ষকে কনফিউজড্ করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ।যাহোক, মেহ্‌মানকে জ্ঞান বিতরণ আমার দেশের কালচারে কোনদিনও শোভনীয় ছিলোনা, আজও নাই ।সুতরাং মাছের মাথাটা উনার প্লেটে তুলে দিয়ে মূল্যবান বক্তব্য শোনায় মন দিলাম ।

এরপরে অনেকদিন থেকেই সেই প্রশ্নে আলোচনার ইচ্ছা পোষন করে আসছি ।আজ প্রথম কিস্তিটা লিখে ফেললাম।কয়েকটি পর্বে এটা শেষ করার ইচ্ছা আছে।কারন মূলতঃ দুটি ।প্রথমত সময়ের অভাব আর দ্বিতীয়ত খুব লম্বা পোষ্ট পাঠকের ধৈর্যচ্যুতি ঘটায়। তবে সকলের সুচিন্তিত মতামত পেলে মনে হয় আলোচনাটা ফলপ্রসূ হয়ে উঠতে পারে।আর সেই সঙ্গে সকলের সুচিন্তিত মতামতে আমারও অজানা অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলবে বলে আশা করি।

বিষয়বস্তু কারিগরী ও নিউটনিয়ান সায়েন্স এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যায়। পরে সময় সুযোগ মতো অন্য পাঠ্য বিষয়সমূহ ঢুকে পড়তে পারে, তবে এখন আপাতত না। আরেকটি কথা, কোন বিষয়ই সমসাময়িক ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বাইরে নয়, আলোচ্য বিষয়বস্তুতো নয়ই। তারপরেও উদ্দেশ্য থাকবে তৃতীয় বিশ্বের প্রচলিত দলীয় অস্থিরতার (রাজনৈতিক বলা হয়তো ভুল হবে) বাইরে গিয়ে আর কোন কোন মূল বিষয় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে উল্লিখিত বিশ্বমানের আবিষ্কার বা মৌলিক চিন্তা থেকে দূরে ঠেলে রাখছে সেটা অনুধাবনের প্রচেষ্টা। প্রথমে এই চেষ্টার অংশ হিসাবে কিছু বিমূর্ত ধারণাকে আমাদের দৈনন্দিন ধরা-ছোঁয়ার মাঝে বোঝার কসরত করা যাক সংক্ষেপে ।

শিক্ষার মানটা কি?

যে শিক্ষার মান নিয়ে আমাদের প্রতিদিনের আক্ষেপ, সেই শিক্ষার মান টা আসলে কি? ঠিক কি কি বিষয়ের সমাহারে একটা শিক্ষাব্যবস্থা কুলীন হয়ে উঠতে পারে? এই একটি প্রশ্নেই কুতর্কের খাতা খুলে বসা যায়। তবে কুতর্কের খোয়ায়েশ যদি না থাকে তবে এদেশের পরিপ্রক্ষিতে ধরে নেয়া যায় যে একটা যুগপোযোগী সিলেবাশ, খুব অত্যাধুনিক না হলেও বেসিকটা হৃদয়ংগম করার উপোযোগী প্রয়োজণীয় সংখ্যক ল্যাবরেটরী ও অবকাঠামো আর এক ঝাঁক সত্যকার অর্থে সেই বিষয়ে উচ্চশিক্ষিত ও নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক এর প্রধান উপাদান।

বুঝলাম।তবে উচ্চশিক্ষিত শিক্ষক কারা?

যাদের আন্তর্জাতিক জার্নাল বা কম করে হলেও কনফারেন্স প্রসিডিং গুলিতে প্রধান অথর (কোঅথর নয়)হিসাবে বছরে একটি বা দুইটি প্রকাশনা প্রকাশিত হবে।হবে মানে হতে থাকবে। এক দশক বা এক যুগ পূর্বে কোন এক শুভলগনে পিএইচডির সময় দেশে বা দেশের বাইরে তাঁরা কি তাজমহল টা গড়েছিলেন সেটার পূণঃপুণঃ প্রকাশ বড়ই বিরক্তিদায়ক, এতে বর্তমানে শিক্ষার সঙ্গে তাঁদের দীর্ঘদিনের বিচ্ছিন্নতা ও দৈনতাই প্রমাণ করবে।আপটুডেট গবেষনার সংগে জড়িত থাকলে খই ভাজার মতো গুরুত্বপূর্ন কর্মকান্ডের সময় না পাবারই কথা।এতে শিক্ষার্থীই উপকৃত হবে প্রত্যক্ষভাবে।

এ নিয়ে বক্তব্য দীর্ঘ না করি। এইতো গেল মূল বিষয়। উচ্চশিক্ষার জন্য আলোচিত উপাদান গুলি ছাড়া আরকি কিছুই লাগেনা?লাগে।নিঃসন্দেহে লাগে।কিন্তু আপাতত সেগুলি ইমপ্লায়েড বা অনুচ্চারিত মৌলিক প্রয়োজনের ঘরেই রাখলাম । বাঁচতে গেলে যে পানি আর বাতাসের প্রয়োজন সেই রকম অনুচ্চারিত কিছু সত্য। বারেবারে উল্লেখ করলে বেকুব মনে হয়, আলোচনা তার মূল গন্তব্য থেকে বিচ্যুত হয় ।
চলবে-
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬
৭টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×