somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পুলিশ ও আমাদের মন মানসিকতা!

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


একটা কবিতা দিয়ে শুরু করি," আলো বলে অন্ধকার তুই বড় কালো/ অন্ধকার বলে ভাই তাই তুমি আলো........ রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর। " আমি হয়তো কবির উক্তিদ্বয়ের সঠিক বাখ্যা দিতে পরবা না,তবে লাইন দুইটা থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট বলতে পারি, আর তা হল- আলো আর অন্ধকার একে অপরের পরিপূরক। সুতারাং বলা যায়, সুখ-দুখ, ভাল-মন্দ, পাওয়া-না পাওয়া, ধনী -গরিব সবাই একে অপরের পরিপূরক! এই কথাটা উদাহরণ দিয়ে দিলাম, যেন বুদ্ধিমানরা সহজে বুঝতে পারেন। আমি লিখতে বসেছি " পুলিশ " নিয়ে, তবে অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হল- পুলিশ সম্পর্কে আমাদের মনমানসিকতা খুবই শোচনীয় ও লজ্জাজনক! সাম্প্রতিক সময়ে যারা নিয়মিত পত্রিকাদি ও সংবাদ পড়ে থাকেন তারা সহজেই বুঝতে পারবেন।


২০১৬ সালের প্রথম থেকেই দেশের নামি- দামি কিছু সংবাদ পত্র প্রতিদিন কমপক্ষে একটি হলেও পুলিশের দ্বারা সাধারণ জনগন নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরেছেন। এরমধ্যে রয়েছে চা-দোকানি, সিটি করর্পোরশনের কর্মকর্তা, ব্যাংক কর্মকর্তা সহ আরও অনেকেই। আমি- আপনি হয়তো পুলিশ কর্তৃক জনগন কে নির্যাতনের এই বিষয়/ঘটনা গুলে কাছ থেকে দেখিনি বা জানিনা। আসলে যদি ঘটনা গুলো সত্যিই হয় তার জন্য দায়ী কে? সম্পুর্নপুলিশ বাহিনী, না শুধুমাত্র পুলিশের ঐ সদস্য যে এই ধরনের কার্যকলাপ ঘটিয়েছে? যাইহোক, ধরেনি সাম্প্রতিক সময়ে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে তার জন্য পুলিশের কতিপয় কিছু সদস্য দায়ী। তাই বলে কি, পুলিশ কোন ভাল কাজ করে না? আমরা বা আমাদের পরিবার যখন রাতে ঘুমায় তখন রাত জেগে দেশের সেবা/ নিরাপত্তা বিধান টা কে করে? যেখানে গন্ডগোল/ মারামারি বাধে সেখানে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে অন্যের জীবন বাঁচানোর জন্য কারা আগে ছুটে যায়? সব গুলো প্রশ্নের উত্তর নিশ্চয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তথা পুলিশ।


এবার তাহলে একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করি,,,, যদি সাম্প্রতিক সময়ের পুলিশি নির্যাতনের সব গুলো ঘটনা মিথ্যা হয় কিংবা প্রতিটি ঘটনার জন্য ভুক্তভোগী নিজেই দায়ী সেক্ষেত্রে কি পুলিশ কাজটা ঠিক করেছে? জানি, প্রথম শর্তে যারা বিনা সংকোচে পুলিশের দোষ বলে বেড়াচ্ছেন তারা ভেবে বলবেন, না। আবার অনেকেই বলবেন, হা। যুক্তির অভাব বাঙ্গালী জাতির কোনদিনও ছিল না। সুতারাং, যুক্তি একটা- সাধারণ মানুষ যতই অন্যায় করুক, পুলিশ কাউকে মারতে বা নির্যাতন করতে পারবে না। হায় রে! হাদা রাম বাঙ্গালি- যখন একজন সাধারণ মানুষ পুলিশকে তার মা-বোন ও পরিবার নিয়ে গালাগাল করবে তখন কি তার মনে থাকে সে পুলিশ? সুতারাং সেও সাধারণ জনগন তার ইচ্ছা মত মারতে পারে যদি কেউ তার পরিবার নিয়ে কথা বলে বা গালমন্দ করে। আমাদের দেশের এই সূর্য্য সন্তানরা দিনের পর দিন মানুষের নিরাপত্তা দিয়ে যায়, আর আমরা সুযোগ পেলে তাদের জাত মারি। পুলিশ গালি দিতে আজকাল আমাদের গায়ে লাগে না। ভাই পুলিশরাও তো আমাদের পরিবারের - সমাজের অংশ। আসুন আমরা পুলিশের সম্পর্কে আমাদের ধারনাকে ইতিবাচক করি।


পুলিশের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেছেন যারা,তারা সত্যিই বাহ বা! পাওয়ার যোগ্য। তবে এতটা না, যা সাংবাদিক ভাইয়েরা করেছেন,, আপনারা প্রতিদিন পুলিশের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ নির্যাতনের যে চিত্র তুলে ধরেছেন তার বিপরিতে পুলিশের সাথে সাধারণ জনগন যে দুর্ব্যবহার করে তারও কিছু চিত্র তুলে ধরেন। এতে করে পুলিশের প্রতি জনগনের আস্থা ও ভক্তি বেড়ে যাবে এবং ইতিবাচক ধারনা তৈরি হবে। তবে আমি এটাও বলছি না যে, পুলিশ মাত্রই ধুয়া তুলশী পাতা! পুলিশের মধ্যে কিছু নষ্ট মনমানসিকতার লোক আছে, এবং মানুষ হিসেবে থাকাটা স্বাভাবিক।


পুলিশের সাথে মানুষ অনেক খারাপ ব্যবহার করে যা পত্রিকায় আসেনা। পুলিশ কে সবাই ঘুষ খোর অপবাদ দেয় যা সত্যিই খারাপ লাগার বিষয়। তবে পত্রিকাওয়ালারা এগুলো লিখে না। আর যে সব পুলিশ প্রকৃত পক্ষে খারাপ বা মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করে তার কারন কি? সেই কথাটা ও পত্রিকায় আসেনা বা কেউ লিখে না। এই খারাপ পুলিশ গুলোকেও প্রশ্রয় দেয় কারা সেই কথাটা ও পত্রিকায় আসেনা। আমাদের দেশে পুলিশ হয়ে পড়েছে রাজনৈতিক শক্তিধর সরকারের হাতে জিম্মি, যখন যে সরকার আসে সেই সরকার পুলিশ কে নিজের মত করে ব্যবহার করে। সেখানেই অন্তনিহিত একটা কারন বিদ্যমান। কিছু পুলিশ অপরাধ করে রাজনৈতিক পরিচয়ে বিচার থেকে রেহাই পায়, যার কারনে কতিপয় পুলিশ সদস্য উগ্রপন্থী হয়ে সাধারণ জনগনের সাথে খারাপ আচরণ করে নিজেদের অসৎ দাবি মিঠানোর চেষ্টা করে। যদি রাজনৈতিক দলগুলো সরকার থাকাকালীন সময়ে পুলিশ কে নিজের সুবিধামতে ব্যবহার না করে পুলিশ হিসেবে দেখতে এবং যেকোনো পুলিশের অপরাধ কেও তারা সঠিকভাবে বিচার করতে পারত। আসুন আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টায়!
পুলিশ কারও শত্রু নয় বরং সবার বন্ধু!
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো
অজানার পথে আজ হারিয়ে যাব
কতদিন চলে গেছে তুমি আসো নি
হয়ত-বা ভুলে ছিলে, ভালোবাসো নি
কীভাবে এমন করে থাকতে পারো
বলো আমাকে
আমাকে বলো

চলো আজ ফিরে যাই কিশোর বেলায়
আড়িয়াল... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকরি বয়সসীমা ৩৫ বৃদ্ধি কেনো নয়?

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪২



চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি এটা ছাত্র ছাত্রীদের/ চাকরি প্রার্থীদের অধিকার তবুও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ভোটের সময় ঠিকই এই ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ভোটের অধিকার নিয়ে সরকার গঠন করে। ছাত্র ছাত্রীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×