রাতে না ঘুমানোও না কি এক বিস্ময়বোধক অসুখ,
যে অসুখ পুঁজি করে মৃত্যুময় দেয়ালের গায়ে হেলান-
দিয়ে চিৎকার করে বলি ওই কালপুরুষেরে; তুমি কেন
এত দূরে থেকেও করে যাও নিস্তব্ধ মানুষের সাথে আলাপ।
অন্ধকার নৈঃশব্দের পৃথিবী আমায় একের পরে আরেক
মুখোশ দেখাতে থাকে আর আমিও যেন মন্ত্রমুগ্ধ এক-
কিশোর বালক; পকেটে গোজা প্রথম প্রেমের চিঠিখানির শব্দ নিয়ে
ফিরতি পথে দেখি সামনে আরাধ্য দেয়ালের গায়ে ওষুধের বিজ্ঞাপন।
আরো কতো প্রকার অসুখ জমে আছে এই পরিত্যক্ত দেহের প্রকোষ্ঠে
না জানি খোঁজ, তাঁর না জানি ঠিকানা! কি ভাবে বলি, বলো-
উদ্ভিন্ন নিমগ্নতার ছলে ভাঙানো যায় কি অন্যান্যের ঘুম? কে জানে বলো,
মাত্র একুশ গ্রাম ওজন কমে গেলে ঘুম খানির যাত্রা কতো হবে!
একটা গুপ্তনক্সার ভিতরে উবু হয়ে পরে আছে ঘুমশিকারী, আর
রাতের একাকীত্ব নির্জনতার বলয়ে ধরা দেয় মৃন্ময় মীনকুমারী।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০০৯ ভোর ৪:৪৭