যারা যারা যাইগ্যা আছেন, প্রণতি জানাই_
ইহা কিন্তু ফর্ম নয়, বরঙ ভড়ঙ বলা যায়।
চানদো-সূর্য-পিরথিবীরে দিয়া নমস্কার_
লইলাম এখন আমি কার আশিব্বাদ।
মায়ে কয়- ‘পুত্র আমার দিয়া দে বাদ,
ওইসব হইলো ভাদ্দরের ছাই-পাশ।'
এইখানে আছেন যতো ময়-মুরূব্বী_
চোখের পরতে রাখেন খালি, ইট- সুরকি।
মাইন্যা নিলাম নগরের এইরূপ কর্ম-কীর্তি,
সেনাক্যাম্পে উইঠা আছে মোগো টাকা-কড়ি।
রিক্সাআলা দুপারে খায় বাশি বনরূটি।
এর মধ্যেই কেউ রাগ কইরেন না ভাই,
চলেন দেহি আরেট্টু সামনে আগাই...
কহনোই কই নাই এক সুরে কমু কথা;
কইতে গেলে ব্যাডা জাগে ভীষণ ব্যাথা_
শিল্পের মুখোশ পরে পাছায় মারে খোঁচা।
শোনেন, শোনেন আরো কিছু সঙগ্রামী সাথী,
আহেন ভাই মুড়ি খাই, তবু একলগে থাহি।
যদি আপনার রাজনৈতিক পারমিশন পাই_
এট্টা কথা ছিলো, একবার প্রাণ খুইলা কই,
শিল্পই বাঁচায় শিল্পীকে, কোনো সঙগঠন নয়।
প্রাণ প্রিয় বান্ধবীরা যদি কেউ ফিরি থাহেন,
মনোযোগ দিয়া পিলিজ মোর কথা হোনেন।
উর্বশীর ঢঙে আইস্যা যদি করো ঋদয় খরণ,
ভেতর থিয়া নাইম্যা যাইবো বিদিক প্লাবন_
এখন একলা খাটে তাই কারো প্রয়োজন...
আসিলে আসিবেন বন্ধু, না আসিলে নাই
শিশু কাঁদলে মায়ে ঠিকই দুধ দিয়া যায়।
কতোকথা বিড়ম্বিত, যন্ত্রনার আড়ম্বনা ছলে
আপনাগো কি দিলাম দুঃখ, এই সুখ জাগে!
যদি বলেন আমায় একটা পার্ভারটেড গাই,
গরু হতে রাজি আছি তবু গরাদেতে নাই।
এই শর্তে আমায় যদি তুমি তুইলা লও_
তোমারে বর দিমু কও কি তুমি চাও?
কি চাও? কি চাও_ মোর লাজরাঙা বধূ
তোমারে কি দেখিবো না কোনোদিনও, কভু?
নিভু-নিভু আলো জ্বেলে ওঠা কাঁথা- বালিশে
কিসের উন্মাদনা বাড়ে রাতে, মানুষে মানুষে...
ভুল হইলে মাফ কইরেন জ্ঞানী-জ্ঞনী জন
বেবাকটিরে দিলাম আমার ভড়ঙের টোন।
এই টোন লইয়া যদি গালি দ্যান ভাই,
তাইলে কিন্তু আমি আবার স্মার্ট হয়া যাই।
মেলা কথা কইয়া ফেললাম অহন মাফ চাই,
এই সব তাল-ছন্দ-বাক্য লইয়া চলুক লড়াই।
৯ অক্টোবর, ২০০৯.