পেচ্ছাবে ঢেকে থাকা এ শহরে মুখোশ বিক্রেতার কাছে আমাদের প্রত্যেকের অবয়ব ঘুরে বেড়ায় পথে পথে। গোলাপী ঠোটের সেক্সী বিলবোর্ডের ঝলসানিতে অবদমিত পথচারী_রোড এক্সিডেন্টে প্রাণ ত্যাগ করলে সংবাদ সংস্থার কাটতি বাড়ে। যেভাবে দেশে মহামারী রোগ এলে ডাক্তারদের ঈদ লেগে যায়। তাদের সন্তান খায় মাম-এর পানি।
স্রেফ আড়াইশো টাকায় একবার পতনের তৃপ্তি শেষে কিংবা ছোট্ট পিলটি ধুয়ো করে টেনে নিলে একপ্রকার উন্মাদনা পাওয়া যায় এই মিডলক্লাস যাদুঘরে। একন বলো কি করবে তুমি... হে মাতাল, উন্মাদ কোথাকার!
দূরে ফেলে আসা ট্রেন লাইন থেকে বাউলের গান আসে ভেসে। আখড়ার নিভু-নিভু আলোর ভিতর হঠাৎই কল্কির মাথায় ফণা তোলে আগুন; আমি তার রং-এ রঙ্গীন হয়ে উঠি। সুরের চিত্তানন্দে জেগে ওঠে আমার গহীনে বয়ে চলা সাগরের ঢেউ। আমি ঢেউ-এর কাছে যাই, হাত দিয়ে ছুয়ে বলি স্রোত ভালবাসি।
তবু চতুর্দিকে বাজে হিপক্রেসির ঘন্টাধ্বনি!!!
আসলে ওখানেও আমি এক আগুন্তুক, যেমনটা এখানেও। ঠিক যেইভাবে প্রত্যেকটি গাছ স্বতন্ত্র থেকে প্রকৃতিকে ভালবাসে। আমিও তো গাছের ন্যায় শিকড় গজিয়ে ক্রমশঃ যন্ত্র সভ্যতার ডাস্টবিনে পরে চিৎকার করছি আর বলছি_
এখানে এসো না কেউ বিস্ফোরণ ঘটে যাবে যে কোনো সময়...
০১.১০.০৯
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:২৫