১৮৮৫ সালে প্রতিস্ঠিত কংগ্রেস'এর এবারের পরাজয় হলো সবচেয়ে উলংগ পরাজয়; এ পরাজয়ে অনেক কারণের মাঝে বড় কারণ:
অর্থনৈতিক: ভারতের অরথনীতির 'স্লো-ডাউন ফেইজ'এর মাঝে এবারের ভোট হয়েছে; যোগ-বিয়োগে, অর্থনীতি এখনো উর্ধমুখী; কিন্তু গত ৩ বছর স্লো-ডাউন ফেইজে অবস্হিত।
এ অর্টনীতিকে উর্ধমুখী করার মতো প্রোগ্রাম দেয়ার মতো দক্ষতা রাহুলের নেই; সে প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদদের নিয়ে কোন প্যানেল গঠন করে, নতুন প্রোগ্রাম তুলে ধরার কথা ভাবেনি।
রাহুল কংগ্রেসের বয়সী নেতাদের ডিংগিয়ে ঘাস খেয়েছে; এতে অনেক নেতা গা-লাগিয়ে ছিলেন, কিন্তু ভোট আনেননি।
অন্যদিকে বিজেপি, ১০০ নতুন শহর স্হাপন, লক্ষ মাইল হাইওয়ে, দ্রুত রেল, নদী সংযোগ, মাতা গংগাকে যুবতী করার প্ল্যান দিয়েছে; এতে ৫/৬ কোটী নতুন চাকুরীর সৃস্টি হবে; বিজেপি কর্ণেল ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতিবিদ এনে অর্থনৈতক প্ল্যান করায়েছে।
বিজেপি সোনিয়াকে 'অহিন্দু ও বিদেশিনী' ও রাহুলকে 'অর্ধ-ভারতীয় ও ছেলে মানুষ' হিসেবে তুলে ধরেছে।
রাহুল বয়সী নেতাদের পেছনে ঠেল দিয়েছে; বয়সী নেতাদের নিয়ে মিটিং করেছিল একবার।
রাহুল নির্বাচনী অফিস নিয়ে গেছে নিজ বাড়ীতে।
সোনিয়া নিজকে পেছনে সরায়ে রেখে রাহুলকে সামনে নেয়ার চেস্টা করেছে।
সোনিয়া সঠিক সময়ে কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরে যায়নি।
কংগ্রেস বিজেপির সুনাম করে, মোদীকে তার কৃতকর্মের জন্য ভৎসনা করতে অক্ষম হয়েছে, বা ভয় পেয়েছে।
রাজ্যের চীফ মিনিস্টাদের ক্ষমতা হরণ করেছিল কংগ্রেস।
মনমোহনের স্বাধীনতা ছিল না; এক সময়ের ভারত কাঁপানো অর্থনীতিবদকে ২য় বার একই পোস্টে রেখে তাঁর সৃজন ক্ষমতার অপচয় করেছে।
মধ্যপন্হী কংগ্রেস ক্যাপিটেলিজমের দিকে প্রবলভাবে ঝুঁকে পড়েছে, যার ফলাফল দুর্নীতি।
ভারতের বড় সংখ্যক শ্রমজীবি মানুষ ভাবছে যে, কংগ্রেস আর দরিদ্র মানুষের দল নেই, কংগ্রেস আমেরিকান পন্হী হয়ে যাচ্ছে।
ভারতীয়রা চীন বিরোধী হলেও চীনের উন্নয়ন মডেল তারা পছন্দ করে; মোদী নিজেই চীনের মত দ্রুত উন্নয়নের কথা বলে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:১৯