বিজেপি'র এবারের বিজয়ের সাথে ভারতের রাজনৈতিক আকাশে দুস্ট-গ্রহ মোদীর আবির্ভাব ঘটেছে; মোদী ২০০২ সালে গুজরাট হতয়াকান্ড ঘটায়েছিল 'হিন্দুবাদ'কে জাগিয়ে তোলার জন্য। পরবর্তীতে এই হত্যাকান্ডের বিপক্ষে জোরালো অবস্হান নেয় ইশরাত জাহান; ইশরাত জাহান ও তার আরো ৩ জন সাথীকে হত্যা করে মোদীর স্বরাস্ট্র মন্ত্রী অমিত সাহা; পুলিশ বলেছিল, মোদীও এতে যুক্ত ছিল। আরেক প্রতিবাদী কন্ঠ ছিল সোহরাব শেখ; সোহরাব শেখ ও তার স্ত্রীকে হত্যা করে অমিত সাহা; সোহরাবকে তুলে নেবার সময় তুলসী প্রজাপতি দেখে ফেলে, পরে সে সাক্ষী দেয়; মোদী ও অমিতের হুকুমে তুলীকে হত্যা করা হয়।
আদালত মোদীকে ছেড়ে দিয়েছে, কিন্তু তার স্বরাস্ট্র মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয়েছে; স্বরাস্ট্রমন্ত্রী অমিত যা করেছে সবই মোদীর প্রত্যক্ষ অনুমোদনে ঘটেছে।
মোদী বারাণসী থেকে ভোটে দাঁড়ানো মানে হিন্দুবাদীদের শক্তি বৃদ্ধি করা; এটা ভারতে জন্য কোনভাবে সুফল বয়ে আনবে না; ভারতের মোদী নেতৃত্ব বিশ্বের বুকে ভারত সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
ভারতে ক্যাপিটেলিজমকে শক্তভাবে প্রতিস্ঠিত করার জন্য পশ্চিম অনেক আগে থেকে চেস্টা করে আসছিলো; কংগ্রেস ছোট কয়াপিটেলিজমে বিশ্বাস করতো: ফলে, কংগ্রসের ভেতরে আধা ক্যাপিটেলিস্ট ও আধা সোস্যালিস্টদের মিলন ঘটেছিল; কংগ্রেস তাই মাঝামাঝি একটা পথে চলছিল; সেটা ভারতের মত দেশের জন্য ভালোই ছিল; হঠাৎ করে সোনিয়া ও রাহুল দেশের ভেতরের ক্যাপিটেলিস্টদের দখলে চলেগিয়েছিল; তাতে, দেশে দুর্নীতি বেড়ে গিয়েছিল; এবং কংগ্রেস তার মোকাবেলা করতে পারেনি; কারণ, রাহুলের কারণে দীর্ঘদিনের নেতারা পেছনের সারিটে চলে গেছে।
ক্যাপিটেলিস্টরা সব রাজনৈতিক দলের সাথে হাত রাখে; এবার তারা মোদীর সাথে হাত মিলায়েছে; মোদী বিরাট কনস্ট্রাকসন প্রকল্পসমুহের কথা বলছে: নতুন শহর গড়া, হাইওয়ে, রেল লাইন, দ্রুত রেল, আন্তর্নদী সংযোগ: এগুলো হাজার বিলিয়ন ডলারের কাজ; তাই কর্পোরাশনগুলোও মোদীর কপালে সিঁদুর লাগাচ্ছে।
হিন্দু ধর্ম অনেক অনেক ধর্ম থেকে পুরাতন, এবং মোটামুটি পরকাল থেকে বর্তমানের জীবনের উপর প্রধান্য দেয়; এই আধুনিক যুগে বারাণসী থেকে হিন্দুবাদকে সারা ভারতে রপ্তানী করার জন্য যদি এই দুস্ট গ্রহের আবির্ভাব ঘটে, তবে ভারতীয়রা সামনে না গিয়ে পেছনে চলে যাবে।
মনে হচ্ছে, মোদী সহজে অন্য দেশ ভ্রমণ করবে না; কারণ বেশীর ভাগ দেশে তাকে কেহ সাদরে গ্রহন করবে না। হয়তো আফ্রিকা যেতে পারে একবার।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:১৮